আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মঙ্গলের বুকে রহস্যজনক মেঘের সন্ধান

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক এবার মঙ্গলের বুকে রহস্যজনক মেঘের সন্ধান পেয়েছেন মহাকাশচারীরা। গত সপ্তাহে তারা এর সন্ধান পান। এ খবরে অনেকেরই হতবুদ্ধি হওয়ার অবস্থা। অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার ওয়েন জেসিকি তার ওয়েবসাইটে বস্তুটিকে একটি ‘আশ্চর্য ধরনের গঠন’ উল্লেখ করে বলেছেন, এর আকার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ বিষয়ে মাইক্রোসফট অ্যান্ড দ্য ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানিকে (এমএসএনবিসি) দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ও এর মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযাত্রা বিষয়ক মার্স স্পেস ফ্লাইট ফ্যাসিলিটি দলের প্রধান মহাকাশচারী জনাথোন হিল এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘মেঘের গঠনের মতো দেখতে বস্তুটি শুধু সুন্দরই না বরং এর অভ্যন্তর ভাগের তাপমাত্রাও দারুণ।

যা দেখে মহাকাশে গবেষণার কাজে ব্যস্ত আমাদের গবেষকরা দারুণ আনন্দিত। ’ এমএসএনবিসিকে দেয়া জোনাথোন হিলের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলের বুকে ওই উদ্ভট বস্তুর খবর প্রকাশ করেছে ডিসকভারি চ্যানেল। মঙ্গলের বুকে মেঘের মতো দেখতে ওই রহস্যময় বস্তুর সুলুক সন্ধানে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের এখন ভীষণ ব্যস্ততা। এটি আসলেই মেঘ, নাকি চোখের ভুল? ওটা আসলেই কি মঙ্গলের পৃষ্ঠতল থেকে ১৫০ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত? কে ওটাকে দোলাচ্ছে? মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে ওই অদ্ভুত বস্তুর ছাপ কেটে যাওয়ার আগেই ওইসব প্রশ্নের সমাধানের চেষ্টা করছেন সৌখিন ওই অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার ওয়েন জেসিকি ও সহকারীরা। অবশ্য এ ব্যাপারে মহাকাশ বিজ্ঞানী জনাথন হিল বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত নয়।

তবে এটা যা আশা করেছিলাম তার চেয়ে বড়। আমাদের গবেষকরা এর প্রতি দৃষ্টি রাখছে’। তিনি ও তার সহকারীদের নজর এখন একটাই মঙ্গলপৃষ্ঠের নতুন ওই মেঘের ঘনঘটার উন্মোচন করা। এক্ষেত্রে হিল ও তার সহকারীরা থার্মাল এমিশন ইমার্জিং সিস্টেম বা থেমিস ব্যবহার করবেন। যেটা মঙ্গল গ্রহের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো নাসা’র মহাকাশ যান মার্স অডিসি স্থান করা অন্যতম যন্ত্র।

থেমিস রহস্যাবৃত ওই মেঘের দৃশ্যমান বা আলো অবহেলিত ছবি (ইনফ্রারেড ইমেজ) ধারণে সক্ষম বলে দাবি করেন হিল। এ কারণে তাদের ছেলেরাও বেশ উত্ফুল্ল বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, থেমিস মঙ্গলের দক্ষিণাংশে রহস্যময়ী ওই মেঘের বিভিন্ন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে তাদের তথ্য দেবে। রহস্যময়ী ওই মেঘের ছবি তোলা হয়েছে অডিসিতে স্থাপিত ক্যামেরার সাহায্যে, যা মার্স কালার ইমেজার (এমআরসিআই) নামে পরিচিত। এটি পরবর্তী সময়ে এ সম্পর্কে নতুন নতুন সব তথ্য (ক্লু) তাদের সরবরাহ করবে।

অন্যদিকে সৌখিন মহাকাশচারীরা পরে তা গবেষকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেবে, যাতে তারা সামনের দিনগুলোতে এর গতিবিধির দিকে তীক্ষষ্ট নজর রাখতে পারেন। সূত্র এমএসএনবিসি ও হিন্দুস্তান টাইমস। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.