আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চীনে বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য স্কলারশীপ

ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না চীনে স্কলারশীপ পাওয়ার জন্য কয়েক উপায়ে আবেদন করা যায়- ১। সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে বাংলাদেশে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ভাষা শেখায় তাদের মাধ্যমে আবেদন করা। কারন এক্ষেত্রে চীনে আসা যাওয়ার খরচ সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। ওখানকার চায়নিজ টিচাররা রিকমেনডেশন করে বাংলাদেশস্হ চাইনিজ দূতাবাসের মাধ্যমে, কাগজ পত্রের কোন ঝামেলা নাই, দূতাবাসে ভাইবা দেওয়ার ও প্রয়োজন নাই। তাই সংশ্লিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটার নিতে হয় না, এটা পজিটিভ পয়েন্ট।

কেননা বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটে চায়নিজ টিচারদের সাথে যোগাযোগ করা অনেক কঠিন। এই বৃত্তিগুলো চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল (CSC) এর আন্ডারে দেত্তয়া হয়। চীনের এডুকেশন মিনিস্ট্রি সুপারিশ করে এদের জন্য। আর তাই কোন টেনশন করতে হয় না। এয়ারপোর্ট সহ সব জায়গায় চাইনিজ গভঃ এর লোক থাকে রিসিভ করার জন্য।

গাড়ি, বেইজিং এ অবস্হান অবশেষে সংশ্লিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছে দেয়ার জন্য ট্রেনে উঠিয়ে দেয়া। আর গন্তব্যের ট্রেন স্টেশনে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি অপেক্ষা করে রিসিভ করার জন্য। আলিশান ব্যবস্হা যেন রাজ অতিথি। এই বৃত্তির আত্ততায় সবকিছু ফ্রি [টিউশন, ডরমিটরি, এডুকেশন ম্যাটেরিয়াল , হেলথ্ ইন্সুরেন্স ] আর লিভিং এ্যালাউয়েন্স হিসেবে - (১) অনার্স - ১৪০০ ইউয়ান (২) মাস্টার্স - ১৭০০ ইউয়ান (৩) পি এইচ ডি - ২০০০ ইউয়ান পি এইচ ডি, মাস্টার্স ছাত্ররা ফ্যামিলি নিয়ে আসতে পারেন কিন্তু অনার্স রা পারে না। সবই ভাল কিন্তু সমস্যা একটাই বাংলাদেশ থেকে চাইনিজ ভাষা কিছু শিখে আসতে হয়; বাংলাদেশে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ভাষা শেখায় সেগুলো : (১) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাবি (২) কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, এন এস ইউ (৩) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (৪) CRI ক্লাসরুম, শান্তা মরিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ২।

সরাসরি চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল (CSC), বেইজিং অফিসে আবেদন করা। তবে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটার নিতে হয়, বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটে চায়নিজ টিচারদের সাথে যোগাযোগ করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে অবশ্য আগে থেকে চাইনিজ ভাষা জানার প্রয়োজন নেই। সুযোগ সুবিধা উপরে ১ নং এর মতই কিন্তু যাতায়াত খরচসহ সংশ্লিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছা নিজ দায়িত্বে । ৩।

সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বৃত্তির জন্য আবেদন করা। এক্ষেত্রেও ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকের কাছ থেকে ইনভাইটেশন লেটার নিতে হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটে চায়নিজ টিচারদের সাথে যোগাযোগ করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে অবশ্য আগে থেকে চাইনিজ ভাষা জানার প্রয়োজন নেই। সুযোগ সুবিধা উপরে ১ নং এর মতই লিভিং এ্যালাউয়েন্স দেয় কিন্তু ডরমিটরি তে থাকার জন্য নিজেকে খরচ বহন করতে হয় , এটা একটা বড় সমস্যা কেননা ডরমিটরি ফি অনেক যেমন কোথাও ৬০০ ইউয়ান। আর এডুকেশন ম্যাটেরিয়াল [ল্যাবের খরচ সহ] ও নিজেকে কিনতে হয় এবং যাতায়াত খরচসহ সংশ্লিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছা নিজ দায়িত্বে ।

এছাড়াও হেলথ্ ইন্সুরেন্স খরচ নিজের। |চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল (CSC) ওয়েবসাইট] View this link ৪। স্কলারশিপ নিয়ে ১ বছরের জন্য শুধু চীনা ভাষা পড়ার জন্যও আসা যায়। এক্ষেত্রে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। সুযোগ সুবিধা উপরে ১ নং এর মতই কিন্তু যাতায়াত খরচসহ সংশ্লিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছা নিজ দায়িত্বে ।

চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিলের (CSC) মাধ্যমেও করা যায় - আবেদন করার নিয়ম এবং সুযোগ সুবিধা উপরে ১ নং এর মতই । বাংলাদেশে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ভাষা শেখায় সেগুলোতে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা কমপক্ষে এইচ এস সি পাশ। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাবি তে ভর্তি হতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় কিন্তু অন্য ৩টা তে দিতে হয় না, গিয়ে সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়। কারন ঢাবি তে খরচ কম, ১ বছরের জুনিয়র কোর্স করতে সব মিলিয়ে ৩০০০ টাকা। দেশের যে কোন পাবলিক, বেসরকারি কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স (সম্মান) করে আসলে এখানে মাস্টার্স করা যায়।

কিন্তু ডিগ্রী করে আসলে এখানে মাস্টার্স করা যায় না। পুনরায় অনার্স করতে হয় । প্রতি বছরের এপ্রিল মাসে আবেদন করতে হয়। আরো বিস্তারিত জানতে Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।