আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইএসআই কেন বিএনপিকে টাকা দিবে?

........... কেস স্টাডি ১: ১৯৯১ সাল থেকে ৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্র যে অগ্রগতি হয়েছে তা হলো:১) অবাধে পাকিস্তানী পণ্যের বাজার সৃষ্টি হয়েছে। ভারত-পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য ঘাটতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির হার ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। মুক্তবাজার অর্থনীতি চালুর আগেও বাংলাদেশকে পাকিস্তানী পণ্যের বাজার হিসাবে পরিণত করা হয়েছে। যেমন: বাংলাদেশে ফল, পোশাক আমদানি করা ছাড়াও ফ্যানের একচেটিয়া বাজার দখল করে আছে পাকিস্তান। সূত্র : বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেস স্টাডি ২: পণ্যের যেমন হাট-বাজার আছে অনেকে শুনলে হয়তো অবাক হবেন যে নারীপাচারের মতো জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য মানুষকেও নিলামে তোলা হয়।

ইসলাম কায়েমের নামে বিভিন্ন দেশ থেকে লোকবল জোগাড় করে তাদেরকে নিলামে বিক্রি করা হয়। উগ্রপন্থী সংগঠনগুলো এ জঙ্গিদের ক্রয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করে। জাহাজ ব্যবসায়ে জড়িত সাকা চৌধুরীর মতো অনেকে এই কার্যক্রমে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশকে অস্ত্র পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার বিশ্বের অস্ত্র বাজারের অন্যতম প্রধান ক্রেতা পাকিস্তান। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকার কারণে বাংলাদেশকে অস্ত্র পাচারের রুট হিসাবে ব্যবহার করার অন্যতম প্রমাণ উদ্ধারকৃত দশ-ট্রাক অস্ত্র।

কেস স্টাডি ৩: বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যেরও আধিপত্য আছে তবে তা মূলত তিনদিকে সীমান্ত থাকার কারণে। কিন্তু পাকিস্তান বা অন্য কোন দেশকে এই সুবিধা ভোগ করার জন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকা প্রয়োজন। উল্লেখ্য চীন থেকে আমাদের অনেক আমদানি হয়ে থাকে। তার বিনিময়ে সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান বাংলাদেশকে কোনো ক্ষেত্রে প্রকাশ্য সহায়তা করেছে তা উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না।

তাহলে বিএনপি আমলে অন্য কোন দেশ ছাড়া শুধুমাত্র পাকিস্তানকে সহায়তা দেয়া হয়েছে কেন? আইএসআই'এর টাকা দেয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমাদের না বোঝার কোন কারণ নেই যে বিএনপি পাকিস্তানকে প্রভাবিত করতে পেরেছে এবং তাদের পক্ষে প্রভাবিত করা কঠিন কোন কাজ নয়। জানা যায় বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোন সহযোগিতা করবে না এমন একটি সংবাদ পাকিস্তানকে জানানোর পর পাকিস্তান সরকারীভাবে তাদেরকে রক্ষার উদ্যোগ নেয়। শত কোটি টাকা আদান-প্রদান করার মতো সম্পর্ক থাকলে এটি গোপন রাখার চেষ্টায়ও উভয়ের সহযোগিতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে প্রতীয়মান যে দুররানি বিষয়টি প্রকাশ করে ফেললেও পাকিস্তান নিজেদের স্বার্থেই তা অস্বীকার করার উদ্যোগ নিয়েছে। তাছাড়া এ্যাবোটাবাদের সেনানিবাস এলাকার ভিতরে লাদেনের ঘাঁটি শনাক্তের পর পাকিস্তান সরকারের কথা কারও কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.