দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈয়বার “বোমা বিশেষজ্ঞ” আব্দুল করিম টুন্ডা এ দাবি করেছেন বলে পুলিশের এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় এনডিটিভি।
এক বছর আগে করাচিতে দাউদের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন টুন্ডা।
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ২০ সন্ত্রাসীর অন্যতম টুন্ডাকে শুক্রবার ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে, প্রথমবারের মতো, পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পাকিস্তানে দাউদের উপস্থিতি স্বীকার করেন, কিন্তু এর কয়েক ঘন্টা পরই তিনি নিজের বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেন।
দাউদ পাকিস্তানে আছেন, একথা অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা হামলায় মুম্বাইয়ে ২শ’ ৫৭ জন নিহত ও ৭শ’ মানুষ আহত হওয়ার পর দাউদ মুম্বাই থেকে পালিয়ে করাচিতে ঘাঁটি গাড়েন।
দিল্লি পুলিশের সূত্রটি আরো জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার প্রধান পরিকল্পক বলে কথিত জামাত উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদ ও দাউদের সঙ্গে টুন্ডার নিয়মিত দেখা হত।
টুন্ডা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত এবং সংস্থাটির জন্য লোক যোগাড়ের কাজ করতো বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
পাকিস্তানে একটি মাদ্রাসা নেটওয়ার্কও পরিচালনা করতো টুন্ডা।
দিল্লি পুলিশের বিশ্বাস, পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সম্পর্কে টুন্ডা গভীরভাবে অবহিত। বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিস্ফোরক ও মানুষ পাঠানোর অত্যন্ত কার্যকরী একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতো সে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইস্যুকৃত পাকিস্তানি পাসপোর্টসহ ধৃত টুন্ডা মঙ্গলবার থেকে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে আছেন।
অত্যন্ত বাগ্মী ৭০ বছরের টুন্ডার নামে ভারতে ২১টি মামলা আছে। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বোমা হামলারও অন্যতম অভিযুক্ত সে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।