Click This Link
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক নেত্রী কিছু দিন ধরে শুধু মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। তিনি বারবার বলছেন, বিএনপি আইএসআই-এর টাকা এনে নির্বাচন করেছে। আমি বলতে চাই, বিএনপি কখনও বিদেশী টাকায় নির্বাচন করেনি। আইএসআই’র কাছ থেকে টাকা নেয়ার খবর বানোয়াট। বরং ইকোনোমিস্ট পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী আওয়ামী লীগ বস্তা বস্তা টাকা এনে নির্বাচন করেছে।
৯৬ সালে আইএসআই-এর কাছ থেকে তারাই টাকা এনেছিল। বিএনপি’র প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার কিছুদিন পরপর ইস্যু পরিবর্তন করে জনগণের দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করে। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাসসকে দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে এটা করে কোন লাভ হবে না।
এমনিতেই মহাজোট সরকার থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরে গেছে। ভারত থেকে আওয়ামী লীগ বস্তা বস্তা টাকা আনার ব্যাপারে ইকোনোমিস্ট যে রিপোর্ট চেপেছে সরকার তার কার্যকর প্রতিবাদ করতে পারেনি। তারা যে প্রতিবাদ করেছে তা ধোপে টেকেনি। তিনি বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদেশী পত্রিকায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জনগণ জানতে পেরেছে তারা ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের যোগসাজশে এসেছে। মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের কাছে আমাদের চাওয়ার কিছুই নেই। দাবি একটাই- নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সরকারই সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, এখন তাদেরকেই সংশোধন করে তা বহাল করতে হবে। অন্যথায় কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তা জনগণ জানে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে শেয়ার বাজার লুট করা হয়েছে, অন্যদিকে লুটেরাদের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিয়ে খুশি করা হয়েছে। নতুন ১৫টি ব্যাংকের মালিকদের নামের তালিকায় সব মহাজোটের আত্মীয়স্বজনের নাম দেখা যায়। এছাড়াও এরশাদ এবং মইনউদ্দিনের ভাইয়ের নামেও ব্যাংক দেয়া হয়েছে। দেশে অর্থনীতির ‘বিপর্যস্ত অবস্থার’ মধ্যেও সরকার নতুন ব্যাংক লাইসেন্স দিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি কিন্তু কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট বানিয়ে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
গণমাধ্যমের উপর সরকারি হস্তক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা আলমগীর বলেন, ১২ই মার্চ বিএনপি’র মহাসমাবেশ সরাসরি সম্প্রচারে বাধা দেয়া হয়েছে। ১৪ই মার্চ ১৪ দলের সমাবেশ সবগুলো চ্যানেলকে সরাসরি দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। এক দেশে দুই নীতি শুধু আওয়ামী লীগকে দিয়েই সম্ভব। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু প্রমুখ বক্তব্য দেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।