সৎ ভাবে চলা। দেশের জন্য কাজ করা। অপরের সাথে শেয়ার করা।
সংবিধানের ধারা সমুন্নত রাখার প্রয়াসে আওয়ামীলীগ সরকার অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি-কে বাদ দিয়েই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে, নির্বাচনকে বর্জন করে এটিকে প্রহসনের নির্বাচন দাবী করে ইতোমধ্যেই হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচী দিয়েই যাচ্ছে বিএনপি।
অন্যদিকে নিজেদের নির্বাচিত সরকার দাবী করে আওয়ামীলীগ ইতোমধ্যেই মন্ত্রীসভা গঠন করে ফেললেও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে শর্তজুড়ে দিয়েছেন যে জামায়াতকে ছাড়তে হবে এবং সংলাপের মাধ্যমেই মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের পূর্বে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে সাক্ষাৎ করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট। অন্যদিকে নির্বাচন পরবর্তী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অভিনন্দন এবং সমর্থন এই দুই মিলে ভীষণ বেকাদায় ফেলে দিয়েছে বিএনপিকে। সরকারের অনঢ় অবস্থান এবং বিশ্বনেতৃবৃন্দের অভিনন্দনে বেকাদায় পড়া বিএনপি এখন কিছুটা নমনীয় আচরনের পথে পা বাড়াচ্ছে।
একসময় জামায়াত-শিবির সম্পর্কে এইদেশবাসী “রাজাকার” সম্বোধনটিকে হালকাভাবে নিলেও গেল বছর পাঁচ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে শুরু হওয়া “গণজাগরণ মঞ্চ”-এর পরবর্তী সময় থেকে গুরুত্ব সহকারে নিতে শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের এই আন্দোলন আজ সারা বাংলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গণজাগরণের ফলে ধর্ম ব্যবসায়ী জামায়াতে ইসলামী কোণঠাসা হয়ে পড়লে আরেক ধর্ম ব্যবসায়ী “হেফাজতে ইসলাম” গোষ্ঠীকে তথাকথিত ধর্ম রক্ষার ফতোয়া দিয়ে মাঠে নামিয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে তাতেও ব্যর্থ হয়ে যায় বিএনপি এবং ১৮ দলীয় জোট। কেননা তারা জেনে গিয়েছিলো এই গণজাগরন ঠেকানো না গেলে জামায়াতের অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে যাবে। এই লক্ষ্যে জামায়াত-বিএনপি যৌথভাবেই তাদের সমস্ত রসদ এবং শক্তি একীভূত করে মাঠে নেমে পড়ে।
অথচ তাদের ভূলটা হয়েছিলো কৌশল অবলম্বনে। জন্মগতভাবেই নৃশংস জামায়াত-শিবিরের কৌশল অবলম্বন করে এইদেশের সাধারণ মানুষের উপর হামলে পড়ে বিএনপি-জামায়াত। যেখানে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করাটা ছিলো রাজনৈতিক নিয়ম সেখানে জনগনকে হরতাল-অবরোধের নামে দিনের পর দিন ভোগান্তি তথা ক্ষয়ক্ষতি করাতে সমস্ত দিক থেকেই লোকসানে পড়ে গিয়েছে বিএনপি।
লাগাতার অবরোধ-হরতাল দিয়ে জনজীবনকে একদিকে যেমন জিম্মি করে রেখেছে বিএনপি-জামায়াত তেমনি জনসাধারণের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে আরো বেশী জনবিমুখ হয়ে পড়ছে বিএনপি। এসবের ক্ষতি এখন আর কোন শ্রেণীগত জনগোষ্ঠীর মাঝে নেই বরং বাংলাদেশের সকল স্তরের জনগন এইসকল ক্ষতির কবলে পড়েছে।
দেশের গড় শিক্ষার হার বাড়াতে এইদেশের জনগন এখন অনেক বেশীই সচেতন। রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন কি উদ্দেশ্যে তা এখন সহজেই অনুধাবন করতে পারছেন এই দেশের জনগোষ্ঠী, পাশাপাশি সরকারী সম্পদের ক্ষতি মানে জনগণের সম্পদের ক্ষতি তাও এখন জানে এইদেশের জনগন।
বিএনপি’র সাথে জামায়াতের সখ্যতা এইদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যেমন মেনে নিতে পারেনি তেমনি একইভাবে মেনে নিতে পারেনি বিএনপির আভ্যন্তরীন অনেক নেতা-কর্মীগণ। অথচ অর্থের লালসায় জামায়াতকেই প্রধান সহযোগী দল বানিয়ে মাঠে নেমে পড়ে বিএনপি এবং ২০০১ সালে জোট বেঁধে নির্বাচনে নেমে আইএসআই (পাকিস্তানি গোয়েন্দা)-এর বিপুল অর্থ ব্যয় করে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় ঐক্যজোট। আইএসআইয়ের বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে আনতে এইদেশে ঢেলে সাজানো হয় দূর্নীতি, দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয় এইদেশ, পরপর তিনবার দূর্নীতিতে শীর্ষস্থানের তালিকায় এসে হ্যাট্রিক করে বাংলাদেশ।
বিএনপির ভাইস চেয়্যারম্যান তারেক জিয়াকে সামনে রেখে গোপনে দূর্নীতিতে এইদেশকে শীর্ষে নিয়ে যায় আইএসআই তথা পাকিস্তানের খাস অনুচর জামায়াত। সেই থেকে অঢেল অর্থের লালসা এবং মোহ ছাড়তে পারেনি বিএনপির চেয়্যারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারই পুত্র বিএনপির ভাইস চেয়্যারম্যান তারেক জিয়া সহ তার সহযোগী অন্যান্য বেশকিছু নেতৃবৃন্দ। দিনের পর দিন অর্থের মুখে জামায়াতের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি বিএনপির এইসকল নেতৃবৃন্দ বরং জামায়াতীয় সুরেই ধর্মকে পুঁজি করে জামায়াতের স্বপক্ষে যায় এমন বক্তব্যই বেশি রেখেছে বেগম জিয়া।
একসময়ের লেজুড় থাকা দলটি যখন ১৮ দলের অন্যতম শীর্ষ দলে পরিণত হয় এবং তাদেরই নকশা করা পথে চলার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি চেয়্যারপার্সন ঠিক তখনই জামায়াতকে ছাড়লে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন শর্ত জুড়ে দেয় আওয়ামীলীগ আর তাতেই বিএনপিতে শুরু হয়ে যায় দলীয় কোন্দল। আওয়ামীলীগের এমন শর্তেও জনগণের সমর্থন চলে আসে আর এর জন্য তরুণ প্রজন্মের “গণজাগরণ মঞ্চ”-এর ভূমিকা অপরিসীম।
একদিকে জনবিরোধী কর্মসূচি অন্যদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের চাপ, পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রের চাপে বর্তমানে জামায়াতকে ছাড়ার একটা আভাস দিচ্ছে বিএনপি। আবার অনেক বছর যাবত দেশের বাইরে থাকা তারেক জিয়া অর্থের লালসায় জামায়াতকে ছাড়তে নারাজ হওয়াতে বেশ বিপাকেই পড়েছে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া। ফলে আগের মত তেমন একটা “হার্ডলাইন” ধাঁচের কর্মসূচীতে নেই বিএনপি কেননা ইতোমধ্যেই তারা পরিষ্কার বুঝতে পেরেছে যে এইসকল জামাতীয় পন্থায় আন্দোলন চালিয়ে গেলে দিনের পর দিন বিএনপিই জনবিমুখ একটি দল হয়ে পড়বে। আবার পরিষ্কারভাবেও জামায়াতকে ছেড়ে দিবেই এমন কিছুও বলছে না বিএনপি।
কথায় আছে “যাহা কিছু রটে তার কিছুটা হলেও বটে” আর এই সুত্র ধরেই স্পষ্টভাবে বলা যায় বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক এখন টানাপোড়নে।
জামায়াতের দলীয় নেতৃবৃন্দদের বাঁচানোর যে শর্ত ছিলো সেটি ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে গেছে যুদ্ধাপরাধীদের রায় দেওয়া এবং কাদের মোল্লার রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যেই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার এবং তাদের দল জামায়াত-ই-ইসলাম। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়াতে চাপ এসেছে আইএসআইয়ের থেকেও আর এর প্রমাণ হলো কাদের মোল্লার ফাঁসির পর পাকিস্তানের সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহন। একদিকে সহসাই নির্বাচন না করতে পারলে আগামীতে বৃহৎ দল হিসেবে নিজেদের টিকিয়ে রাখা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে এমন শংকাতেও পড়েছে বিএনপি কিন্তু নির্বাচনে যেতে হলে যেহেতু জামায়াতকে ছাড়তে হবে আওয়ামীলীগের শর্ত তথা নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী তাই জামায়াতকে ছাড়ার পরিকল্পনা হাতে নিলেও ইতোমধ্যে গ্রহণকৃত অর্থের কারণে সহসাই জামায়াতকে ছাড়তে পারছে না বিএনপি। সহসাই ছাড়তে গেলেও আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে বিএনপি।
অর্থ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি তার আশানুরূপ ফলাফল পাবে না এটিও জানে তারা ফলে চরম এক বিপাকে পড়েছে বিএনপি।
একদিকে অর্থের লালসায় মগ্ন তারেক জিয়া যেমন জামায়াতকে ছাড়তে নারাজ অন্যদিকে দলের শীর্ষস্থানীয় দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধাদের জামায়াতবিহীন বিএনপি এবং জনগনের কাছে আবারো ফিরে যাবার চাপে বিপাকে পড়ে খেই হারাচ্ছে বিএনপি। ইতোমধ্যেই জামায়াত অনেকাংশেই বুঝে নিয়েছে বিএনপি তাদের গোপন কৌশল ধরে ফেলেছে। অনবরত বিএনপির কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি ছোঁড়ার প্রচেষ্টা এখন তাই অনেকটা ব্যর্থ হচ্ছে তাদের, ফলে বিভিন্ন বিদেশী জঙ্গীগোষ্ঠী এবং আইএসআইয়ের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা যেমন বন্ধের পথে তেমনি পূর্বে গ্রহণ করা অর্থসমূহ ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা। জামায়াতকে ছাড়ার আভাস পাওয়ার পর থেকেই বিএনপির দলীয় কর্মসূচী এখন অনেকটা শিথিল হয়ে পড়েছে।
যেহেতু তাদের প্রধান সঙ্গী জামায়াতের নির্দেশনা মোতাবেক পথে এগুচ্ছে না আন্দোলন তাই তারা আর্থিক সহায়তা দেওয়া স্থগিত করে দিয়েছে আর এর ফলেই বর্তমানে হরতাল-অবরোধে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গিয়েছে।
বর্তমানে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জামায়াতকে ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনেকদূর এগিয়েছে বিএনপি। বিএনপির দলীয় প্রভাবশালী এক নেতার বরাত দিয়ে জানা গেছে বিএনপিকে যদি নির্বাচনে আসতেই হয় তাহলে আওয়ামীলীগের শর্তে নয় বরং নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধপ্রেমিক মানুষের কাছে ফিরে যাবার লক্ষ্যেই জামায়াতকে ছাড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জামায়াতের সাথে আর্থিক লেনদেন থাকলে আইএসআইয়ের সাথে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে এড়িয়ে গিয়েছেন এই নেতা।
২০০১ সালে আইএসআই যে নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বিএনপি এবং জামায়াত জোটকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিলো এটি খোদ পাকিস্তানেই প্রমাণিত হয়েছে।
আইএসআই এই অর্থ মূলত বিএনপিকে নয় বরং জামায়াতকেই দিয়েছিলো আর বিপুল পরিমাণ এই অর্থ জামায়াত কিছুতেই ছেড়ে দিবে না। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানা আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলো আইএসআই। এমনকি লাগাতার অবরোধ-হরতালেও ব্যাপক পরিমাণে অর্থ যোগান দিয়েছিলো তারা। ইতোমধ্যেই আইএসআইকে দিয়ে জামায়াত বিএনপিকে চাপ দিতে শুরু করেছে অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য। বর্তমানে বিএনপি সেই অর্থের হিসাব করতে শুরু করে দিয়েছে এবং যতদ্রুত সম্ভব সেই লেনদেন চুকিয়ে ফেলে জামায়াত বিহীন নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত হতে চাইছে বিএনপি মধ্যম সারির নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার এত বিপুল পরিমাণ হজম করা টাকা আদৌ ফেরত দেওয়া কি সম্ভব? একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে বিগত পাঁচ বছর লন্ডনে তারেক জিয়া বিলাসী জীবন-যাপন ও কোকো’র যাবতীয় খরচের যোগানদাতা ছিল পাকিস্তানী এই গোয়েন্দা সংস্থা। জামায়াতের সাথে বিএনপি সম্পর্কের ইতি টানলে আইএসআই গত পাঁচ বছর বিএনপি’র নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্রদ্বয়ের পিছনে লগ্নীকৃত বিপুল টাকা জামায়াতের মাধ্যমে ফেরত চেয়েছে। সুত্র থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া’র বিপুল পরিমাণ টাকা মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের ব্যাংকে বিভিন্ন নামে জমা আছে। লুকিয়ে রাখা ঐ টাকার সন্ধানও আইএসআই ইতিমধ্যে জানে বলে জামায়াতের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কের ইতি টানলে আইএসআই ঐ টাকা ছাড়াও গত পাঁচ বছর তারেক জিয়া ও কোকো’র জন্য যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেছে সেটাও ফেরত চাচ্ছে।
খরচ হয়ে যাওয়া এই বিপুল পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া কি খালেদা-তারেক জিয়ার পক্ষে আদৌ সম্ভব?
এখন বিএনপিই নির্ধারণ করবে কোন পথে এগুবে তারা। নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে জামায়াতকে ছেড়ে নির্বাচনে আসবে নাকি জামায়াতের সাথে থেকেই এক সময় নিজেরাই অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে।
- See more at: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।