(কাহিনীর সব কথা কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে মিলে গেলে কেউ দায়ী না)
অনেক অনেক দিন আগের কথা। একটা খুব সুন্দর দেশ ছিল। দেশে কোন রাজা রানী ছিল না। সেই দেশে ছিল গনতন্ত্র।
দেশের সবাই নির্বাচনে দাড়াতে পারত। তবে দেশের প্রধান দুই দল ছিল আহাম্মক লীগ আর বেসিক্যালি নন্সেন্স পার্টি। তবে যেহেতু সবাই নির্বাচন করতে পারত তাই আরও দল ছিল। এই যেমন জাতীয় লুচ্চা পার্টি, জাতীয় পাগল সংঘ, স্বেচ্ছাসেবক দল। তাঁদের আবার ছাত্রপ্রতিনীধিও ছিল।
দেশটির গনতন্ত্র খুব শক্তিশালী। পর পর দুই বার কেউ ক্ষমতায় যেতে পারে না। তবে সমস্যা হল নন্সেন্স পার্টি আর আহাম্মক লীগ ছাড়া আর কেউ ক্ষমতায় যায় না। অন্যরা এদের সাথে জোট করে ক্ষমতায় যায়। তো যা বলছিলাম, দেশের মানুষ খুব রাজনীতি সচেতন।
তাই একবার একে পরের বার ওকে নির্বাচিত করে। নির্বাচনের আগে দলগুলোর নেতা কর্মীরা মানুষের খুব কাছে ছলে যায়। কিন্তু সমস্যা হল মানুষ যেহেতু সমধর্মী তাই একে অপরকে বিকর্ষণ করে। ফলে নির্বাচনের পর তারা বিকর্ষীত হয়ে দূরে চলে যায়।
মূল দল দুইটা হলেও এদের শরিক দলগুলোও কম না।
বিশেষ করে নন্সেন্স এর স্বেচ্ছাসেবক । তবে লুচ্চা পার্টির ঠিক নাই,একেকবার একেক দিকে যায়। নন্সেন্স পার্টি দেশের আপামর জনতার ধর্ম রক্ষা করতা চায়, তাই ধর্মের প্রতি তাঁদের ভালবাসা তাঁদের বক্তৃতায় ফুতে উঠে। তবে বাস্তবে ধর্ম নিয়ে কিছু দেখা যায় না। দেশটার পাশের দেশের প্রতি প্রবল ঘৃণা দেখায় কিন্তু এখানেও কাজে কিছু পাওয়া যায় না।
আর আহাম্মক লীগ পাশের দেশের খুব ভক্ত। কারণ তারা ওই দেশের এক যুদ্ধে তাঁদের সাহায্য করেছিল। আর স্বেচ্ছাসেবক আবার যার সাথে যুদ্ধ হয়েছিল তার পা চাটা কুকুর। আর দুই দেশের ধর্ম এক হওয়াতে মানুষকে ভুলভাল বলে ভোট নিয়ে নেয়। হাজার হলেও দেশের মানুষ খুব ধর্ম প্রিয়।
আর তাই নন্সেন্স আর স্বেচ্ছাসেবক এর অনেক ভক্ত। সেচ্ছসেবক এর ছাত্র প্রতিনীধিরা আবার খুব ধর্ম প্রিয়, অন্যদের চেয়ে এক মাত্রা বেশি। কেউ ধর্মের কথা(মানে দলের কথা) না শুনলে তার হাত পায়ের রগ কাঁটা হয়। তবে এটা বেশি হয় ক্ষমতায় থাকলে। ঠিকই তো করে, কথা শুনবে না তো ভোট কেন দিছে??আর অন্য ধর্মের মানুষকে অত্যাচার করা বাদ দিলাম।
আহাম্মক লিগ আবার ধর্ম নিরপেক্ষ, তবে ধর্ম নিরপেক্ষ কাকে বলে তাই ঠিক মত জানত না। তাই সেচ্ছাসেবকদের মত দেখতে হইলেই হইছে, জেলে পাঠানো হত। আর তাঁদের ছাত্র প্রতিনিধিরা তো দেশের সেরা! একবার এক ছাত্রকে যা মারল!!মারবে না কেন, দেশের সেরা সন্তানদের অনুষ্ঠানে ঢুকতে দিবে না,সাহস কত!!! আবার আরেক জায়গায় মারল খাওয়া নিয়ে। আরে দেশের কত জন খাইতে পায় না আর তোমরা সামান্য খাওয়া নিয়ে এত হই চই!টাকা দিছো তো কি??আমরা দেশের সেরা। আমরা যা করি ঠিক করি!!!
দুই দলের দুইটা দেশের প্রতি খুব ভালবাসা।
তারা যায় যেন তার একটা প্রদেশ হয়ে যায়। কিন্তু তারা বুঝু না রক্ষিতা রাখা সহজ। আর দুই দেশ তাই করতেছে।
প্রত্যেকবার যে ক্ষমতায় যায় না, তারা সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু সরকার আবার সুপার গ্লু নিয়ে ক্ষমতায় যায়।
পরেরবার আসার ব্যাবস্থা করে কিন্তু কেউই পারে না।
এক সরকারের আমলে কোথাও যদি কেউ মরলে তা নিয়ে বেশ কাহিনী বানায় সরকার। সাহিত্যে নোবেলটা যে কেন পায়নি তারা নোবেল কমিটি জানে। আর আরেক সরকারেরও অবশ্য নোবেল পাওয়া উচিৎ। তবে তাঁদের পদার্থে।
কিভাবে সময় সঙ্কুচিত আর প্রসারিত হয় তার এত সুন্দর উদাহরণ আগে কেউ দেয় নি। নোবেল কমিটির জবাবদিহি করা উচিৎ ছিল বিশ্ববাসীর কাছে।
দেশের জনতার কথা তো বলা হল না। ,আজ হাতে একদম সময় নেই,আরেকদিন বলব সময় পেলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।