বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ঝগড়া নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ভারতের আন্তনদী সংযোগ উদ্যোগের প্রতিবাদে আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল মকসুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের গাঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভারত একতরফাভাবে এ সম্পর্ক নষ্ট করলের তা হবে দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি চীনের কারণে ব্রহ্মপুত্রের পানি শুকিয়ে যায় কিংবা কোনো ক্ষতি হয়, তার নিন্দা জানাই। একইভাবে ভারতের কোনো প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি হলে তা আমরা মেনে নিতে পারি না। ’ তিনি আশা করেন, ভারত এ দেশের মানুষের আবেগ-উত্কণ্ঠা বুঝতে পেরে ব্যবস্থা নেবে।
প্রকৃতপক্ষে এই ধারণাটি খুবই ভুল। বড় প্রতিবেশী কখনো ছোট দেশের বন্ধু হতে পারে না।
আসলে আমরা যতই বলি না কেন ভারত আমাদেরকে বাজার বলেই মনে করে বন্ধুত্ব যতটুকু ততটাই ব্যবসায় স্বার্থ নির্ভর। জলে বসবাস করে যেমন কুমিরের সাথে শত্রুতা করা যায় না তেমনি আমরাও ভারতের সাথে শত্রুতা চাই না। কিন্তু ভারতের সাথে বন্ধুত্ব দূরের কথা নিরপেক্ষ সম্পর্ক সম্ভব কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার।
বন্ধুত্ব শব্দটি মহান এবং এটি কখনোই একতরফা নয়। বাংলাদেশ কেন এই একতরফা সম্পর্কটি রাখতে চায়? এটির একমাত্র কারণ আবেগ।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের এত ভালবাসার প্রমাণ তো মমতা দিয়েছেনই। মমতার কাছে যেখানে মমতা নেই সেখানে অবাঙালী ভারত শাসকদের মমতা থাকবে কেন?
আবুল মকসুদ সাহেব অত্যন্ত সজ্জন এবং ত্যাগী মানুষ কিন্তু গান্ধীকে ভালবাসলেই ভারতের বর্তমান শাসকদের ভালবাসতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বন্ধুত্ব বা শত্রুতার কোনোটিরই প্রযোজন নেই। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে একবারে জিরো সম্পর্ক থাকাটাও খারাপ কিছু না। আবেগের বেগে অন্ধ না হয়ে আসুন একটি মর্যাদাশীল সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করি।
ভারতের জনগণের সাথে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বন্ধুত্ব এক জিনিস নয়--- এটা মনে রাখাই উত্তম।
আর ভারতের আচরণে দুঃখ পাওয়ারও কিছু নাই। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হলে তাকে না পাওয়ার বেদনা মনে না করে ভারতের প্রতি করুণা প্রকাশই উত্তম। কারণ কারো যদি বন্ধু হওয়ার যোগ্যতা না থাকে তার দায় অন্যরা কেন নেবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।