একতরফা সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। চলমান রাজনৈতিক বৈরী আবহাওয়ার মুখেও তোড়জোড় চলছে দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার। আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে ইসি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করলেও ইসি তাদের জন্য অপেক্ষা করবে না। এ জন্য সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় আইন-কানুনও সংশোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকরাই (ডিসি) শেষ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে ইসির পরামর্শ অনুযায়ী তফসিলের আগে প্রশাসনে রদবদল করা হতে পারে।
দ্রুত ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থী চূড়ান্ত শেষে ব্যালট পেপার ছাপার কাজ অতিদ্রুত করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এদিকে একতরফা নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ রবিবার বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশন কারও দিকে তাকিয়ে নেই। তিনি বলেন, যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর জন্য কমিশন প্রস্তুত আছে। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
নভেম্বরের মধ্যে এ তফসিল ঘোষণারও ইঙ্গিত দেন সিইসি। আগামী জানুয়ারির শুরুতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হতে পারে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি রয়েছে। ২৪ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জানুয়ারির শুরুতেই এ নির্বাচন করতে চায় ইসি। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা দেওয়ার জন্য ডিসিদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করলেও কমিশন তাদের জন্য অপেক্ষা করবে না। বিরোধী জোটকে নির্বাচনে আনার জন্য কোনো উদ্যোগও নেবে না। যে কয়টি দল নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের নিয়েই নির্বাচন করবে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচনের পরিকল্পনায় মাঠ কর্মকর্তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কারণ, মাঠের কর্মকর্তারা বিএনপি আমলের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে ভোট বর্জনকারীদের হাতে নাজেহাল হয়েছিলেন।
এবারও তারা সেই আশঙ্কা করছেন।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষণার আগের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তফসিলের পরবর্তী সময়ের সব কাজ শেষের দিকে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ, সরবরাহ, মুদ্রণ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহারের সময়সীমা ধরে ভোটের ফল ঘোষণা ও গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য ইসির নির্দেশনা দিয়ে শুধু পরিপত্র জারি করা হবে।
এ ছাড়া নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এরই মধ্যে শেষ হবে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তফসিলে আগে বসার পরিকল্পনাও নেই এখন।
সূত্র জানিয়েছে, নবম সংসদের চেয়ে এবার ১ কোটি ৯ লাখের মতো বেশি ভোটার থাকায় প্রয়োজনীয় সব কিছুই অপেক্ষাকৃত বেশি করে সরবরাহ করে রাখছে ইসি। দশম সংসদে ৩০০ আসনে ভোটার তালিকাভুক্ত ৯ কোটি ১৯ লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি ভোটার রয়েছে। এবার ৭০ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬০০ সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৩৮ হাজারের বেশি ভোট কেন্দ্র, ২ লাখের মতো ভোট কক্ষ, ৬ লাখের মতো ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) প্রয়োজন হতে পারে।
বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় স্বচ্ছ ব্যালট বাঙ্, মার্কিং সিল, অমোচনীয় কালি, স্ট্যাম্প প্যাডসহ প্রয়োজনীয় নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যালট পেপার মুদ্রণ করতে হবে। ভোটের অন্যতম উপকরণ নির্বাচনী আইন সংস্কার, ছবিসহ ভোটার তালিকা ও সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ কাজ শেষ হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ পর্যাপ্ত রয়েছে এবারও।
নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের সব উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে ইসির মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা জোরদারে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধও জানানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পরীক্ষা শেষ ও ভোট কেন্দ্রের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ সেরে নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আচরণবিধি এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হলেই সংশোধিত আরপিওর সঙ্গে সমন্বয় রেখে তৈরি করে রাখা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, সংশ্লিষ্ট ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, ফরম, প্যাকেট, মনোনয়নপত্র মুদ্রণ দ্রুত শেষ করা হবে। নির্বাচন ব্যবস্থাপনার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, তফসিল ঘোষণার পর পরই পরিপত্র জারি করে রিটার্নিং কর্মকর্তা-সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, তাদের প্রশিক্ষণ, চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্রর গেজেট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার বৈঠক, আইনশৃঙ্খলা বৈঠক, জনবল নিয়োগ, ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিকল্পনা মেনে শেষ হবে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সরকারের যে কোনো বিভাগ/সংস্থার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা চাইবে ইসি।
পাঁচ দিন মাঠে থাকবে সেনা : নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা বৈঠকের পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে-পরে অন্তত পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় থাকে সেনাবাহিনী। তবে বহুল আলোচিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ও বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে বেশি সময় মাঠে ছিল সশস্ত্র বাহিনী।
সামরিক শাসন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দীর্ঘ দিন সেনা মাঠে থাকলেও ভোটের জন্য পাঁচ-সাত দিন অবস্থানের রেওয়াজ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত সদস্যরা সাধারণ নির্বাচনে পাঁচ দিন এবং উপনির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচনে চার দিন এলাকায় থাকেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নবম, ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে পাঁচ-সাত দিন মাঠে ছিল সেনাবাহিনী। রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্তাপের মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোটের প্রচারণা থেকে অন্তত দুই সপ্তাহর বেশি সময় সেনা মোতায়েন ছিল। ২০০৬ সালের বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারির ভোটের আগে ৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে নামে সেনাবাহিনী।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ওপর এবারও সেনা মোতায়েনের সময়সীমা ও এলাকা বাছাই করা হতে পারে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল সংগ্রহ : নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, দশম সংসদ নির্বাচনে ফলাফল দ্রুত সরবরাহের জন্য দুটি সফটওয়্যার ব্যবহার করবে ইসি। আগের মতো ম্যানুয়ালি ফলাফল পাঠাবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। দুটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হয়েছে। এ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কেন্দ্রভিত্তিক ফলও ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুত সংগ্রহ করবে ইসি।
প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য, কেন্দ্রভিত্তিক ভোট মাঠপর্যায়ে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ইসিতেও পাওয়া যাবে এতে। এর ফলে কেন্দ্রভিত্তিক নির্ভুল ফল ঘোষণার পাশাপাশি গেজেটে প্রকাশের কাজও কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হবে।
মালামাল প্রস্তুত : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ শেষ করেছে ইসি। ভোট কক্ষ অনুপাতে সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, কালি, নতুন ৪০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাঙ্সহ মোট ৩ লাখ ৫ হাজার বাঙ্ জেলায় জেলায় পেঁৗছে গেছে। এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি হয়ে গেছে, ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত রয়েছে।
এবারে লাল গালা ১৭ হাজার ৩০০ প্যাকেট (৩ হাজার ৪৬০ কেজি), অফিশিয়াল সিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০০, মার্কিন সিল (সংসদ নির্বাচন) ২ লাখ ৩১ হাজার ও ব্রাশ সিল ১৮ হাজার নির্বাচনে ব্যবহার হবে। ইসির এক কর্মকর্তা জানান, নতুন স্বচ্ছ ব্যালট বঙ্ ও লক আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সারা দেশে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, মালামাল পাঠানোর প্রথম পর্যায়ে রংপুর অঞ্চলে ৩ হাজার ৫০০, রাজশাহী অঞ্চলে ৪ হাজার, খুলনা অঞ্চলে ৩ হাজার, বরিশাল অঞ্চলে ২ হাজার, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৪ হাজার ৫০০, ঢাকা অঞ্চলে ১৪ হাজার ৬৬০, ফরিদপুর অঞ্চলে ২ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ২ হাজার, কুমিল্লা অঞ্চলে ১ হাজার ৮৪০ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ২ হাজার ৫০০টি স্বচ্ছ ব্যালট বঙ্ পাঠানো হয়েছে। তফসিল ঘোষণা ও প্রার্থী চূড়ান্তের পর ব্যালট পেপার ছাপার কাজ শুরু করবে কমিশন।
বিএনপি ও হুদার অভিযোগ আমলে নেবে না ইসি : বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ নিয়ে বিএনপি ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার 'অনানুষ্ঠানিক' কোনো অভিযোগ আমলে নেবে না নির্বাচন কমিশন।
বিএনএফের নিবন্ধন বিষয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রমাণাদিসহ আপত্তি জানানোর সময় রয়েছে। বিএনপি ও নাজমুল হুদা এখনো লিখিত আপত্তি জানায়নি। দলটির নিবন্ধনের বিষয়ে কারও আপত্তি থাকলে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ইসি সচিবালয়ে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
ইসি সচিবালয়ের নিবন্ধন বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মেছবাহউদ্দীন আহমদ জানান, ৮ নভেম্বর আপত্তি আবেদন আহ্বানের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত কোনো দরখাস্ত জমা পড়েনি। নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো অভিযোগ আইনগতভাবে আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ লিখিতভাবে আপত্তি জানাতে হবে।
নির্ধারিত এ সাত দিনের বাইরে কোনো আপত্তি আমলে নেওয়া হবে না। অবশ্য নিবন্ধন প্রত্যাশী বিএনএফ নিয়ে বেশ আগেই (জুলাইয়ে) আপত্তি তোলে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সেই সঙ্গে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নাজমুল হুদা দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে 'বিলুপ্ত' ঘোষণাও করেন। নিবন্ধন বাছাইয়ের সময় বিএনপি ও নাজমুল হুদার পক্ষ থেকে বিএনএফকে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়। বিএনপি ও হুদার এসব অভিযোগ কমিশন সভায় বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা যাবে না বলে মত দেন ইসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
'কোনো দলের মতামত পাইনি' : আচরণবিধি সংশোধনে রাজনৈতিক দলের মতামত না পাওয়াকে 'প্রত্যাখ্যান নয়' বরং ইসির কার্যক্রমে সম্মতি রয়েছে বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন। খসড়া আচরণবিধি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। দলের মতামত না পাওয়াকে 'ইতিবাচক' বলেই মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, সবার কাছে মতামত আহ্বান করলেও বড় কোনো দল তো দেয়নি, পাওয়া যায়নি কোনো নিবন্ধিত দলের সুপারিশও।
অডিট রিপোর্ট প্রকাশে মত নিচ্ছে ইসি : বার্ষিক লেনদেনের হিসেব জনসম্মুখে প্রকাশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিচ্ছে ইসি। গত ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য দলগুলোর সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান। ২০০৮ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর দলগুলো প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসির কাছে দিয়ে আসছে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে অনেকে আবেদন করছে ইসির কাছে এবং অডিট রিপোর্ট ইসির নিজস্ব তথ্য নয়। এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের লিখিত বা মৌখিক মতামত নিতে হবে।
'খতিয়ে দেখা প্রয়োজন' : অডিট রিপোর্ট প্রকাশের বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী দলগুলোর অডিট রিপোর্টসহ এ সংক্রান্ত তথ্যাদি জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।