আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একতরফা নির্বাচন হতে দেয়া হবে না: মোশাররফ

সরকার একদলীয় নির্বাচন করতে চাইছে দাবি করে শনিবার এক আলোচনা সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, “সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বিএনপির মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে এদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর আগামী নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান দলের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে আওয়ামী লীগের অবস্থান।

অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি সংবিধানে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কটের হুমকি দেয়া বিএনপির নেতা মোশাররফ বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই।
“সরকার বুঝে গেছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে না। সেজন্য নিজেদের অধীনে নির্বাচনের নানা ষড়যন্ত্র করছে তারা। ”
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো তাতে কোনো সাড়া দেখা যায়নি।

উপরন্তু আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেছেন, বিএনপি না এলেও সংবিধান সমুন্নত রাখতে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
খন্দকার মোশারফ নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ঈদের পর আন্দোলনের জোর প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তের ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘চিন্তাপ্রসূত আগামীর বাংলাদেশ ও নতুন প্রজন্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছেলেকে ‘আগামী দিনের নেতা’ অভিহিত করে মোশাররফ বলেন, “সুখী, সমৃদ্ধ একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ নির্মাণে তারেক রহমান নেতৃত্ব দেবেন। সেজন্য আওয়ামী লীগ তাকে ভয় পায়।

তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ”
তবে ওই সভায় বক্তব্যে সাংবাদিক শফিক রেহমান ব্যক্তি বন্দনা বন্ধের জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন।  
“ব্যক্তি বন্দনা বন্ধ করুন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়া কখনো বন্দনা পছন্দ করতেন না। তারেকও ব্যক্তি বন্দনা পছন্দ করেন না।

এরকম বন্দনা করে তাকে বিপদের দিকে ঠেলে দেবেন না। ”
‘তারেক রহমান তারুণ্যের অহংকার’- এই স্লোগানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, “তারেক তরুণ নন। তার বয়স ৪৮ বছরের ওপরে। অহংকার তারেকের জন্য প্রযোজ্য নয়, এটা কেবল শেখ হাসিনাকে মানায়। ”
তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাঈদা রহমান লন্ডনে কার্ডিওলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান শফিক রেহমান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা জিন্নাতুন নেসা তাহমিনা বেগম,  অধ্যাপক আবদুল আজিজ,  অধ্যাপক ইয়ারুল ইসলাম, ড. মাইমুল হাসান খান, ড. আবদুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপিকা নাসরিন সুলতানা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
নাসির উদ্দিন অসীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।