আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উপচে পড়া দেশ প্রেম চুপসে যাওয়া ফাঁটা বেলুন!

তত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবীতে বিরোধীদলের গনমিছিলে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানাগেছে, গতকাল রাজশাহীতে পুলিশের গুলিতে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে সরকার পুলিশকে খুনির ভূমিকায় নামিয়েছে। এরই নাম কি দেশ প্রেম? এরই নাম কি জন সেবা।

সারা দেশে আওয়ামীলীগ ও এর সকল সহযোগী অংগ সংগঠনের কর্মীরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করেছে। তার উপর দেশের শেয়ার বাজার অস্থিতিশীল। সরকার সেখানে কোন কিছু করতে পারছে না। অথচ বিরোধীদলের গণ মিছিলে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা এটা তাদের বাকশালী মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনেকরি। যে ৫ জন মায়ের বুক খালি হলো তাদের হাহাকার কি শেখ হাসিনার কানে পৌছবে? হয়তো পৌছবে না।

তবে এই নির্মম হাহাকারের বিষবাষ্প ঠিকই শেখ হাসিনার উপর আছরে পড়বে। ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সারা দেশে সার নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল সেখানে শেখ হাসিনার ভূমিকায় আমরা অত্যন্ত আশান্বিত হয়েছিলাম। সে সময় তিনি তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে অনেক গরম গরম বক্তৃতা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তা সবই ছিল ভন্ডামী। আমাদেরও চর্ম চক্ষু খুলতে শুরু করেছে।

সে দিন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেল ষ্টেশনে ওয়াগান ভর্তি সার লুট করতে এসে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুবরণ করে এক যুবক। তার নাম টুকু। সে সময় ঘটনার পর দিনই শেখ হাসিনা মহিমাগঞ্জে ছুটে আসেন এবং বিশাল জন সভায় নিহত টুকুর পিতা-মাতাকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন। আমরাও আম পাবলিক দিলাম জোড়ে হাততালি। কেউ আবার দু’ফোটা অশ্রুও বিসর্জন দিলাম।

পরবর্তী নির্বাচনে এক জোট হয়ে দিলাম আওয়ামীলীগ কে ভোট। দিন যায় আর আওয়ামীলীগের খোলনলচেও পাল্টে যায়। আমরাও বিষ্মিত হই। পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছি ঐ সার সংকটের নেপথ্যের নায়ক আওয়ামীলীগের নেতারা। আর সার লুট করতে এসে নিহত টুকু কোন কৃষক পুত্র নয়।

সে সার চুরি করতে এসেছিল। কিন্তু তার পরও যেকোন অপকর্মের দায় সরকারের উপরই বর্তায়। সে সময় বিএনপি সরকারও তা থেকে মুক্তি পায়নি। পরবর্তীতে দিন বদলের ধুয়া তুলে এবং দেশটাকে ডিজিটাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটা সত্যিকার ডিজিটাল হলো নাকি ডিজিটালের ডিজি উঠে গিয়ে শুধু টাল হলো তা জনগন হারে হারে টের পেয়েছে। সেই সময় নিহত টুকুর পিতা মাতাকে জড়িয়ে শেখ হাসিনার কান্না শুধুই লোক দেখানো ছিল।

ভোট পাওয়ার জন্য ছিল। তা না হলে শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে এরকম নির্মম গুলি কিভাবে তারা মেনে নেন। রাজনীতির নামে ভন্ডামী দূর হোক। রাজনীতি বিদদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।