হ্যা আমি সেই সত্যবাদীকে সত্যবাদী মনে করি যেসব কাপড় দেহের নিম্নাংশে ঝুলন্ত থাকে যেমন-লুঙ্গি, সালোয়ার, প্যান্ট, জুববা, কামিজ, আবা ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিধান হল, পুরুষের জন্য এসব কাপড় টাখনুর রাখতে হবে, টাখনু ঢাকা যাবে না ও টাখনুর নিচে ঝুলানো যাবে না। এটি একটি সাধারণ ও ব্যাপক বিধান। টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলানো কবীরা গুনাহ। কিন্তু কেউ কেউ মনে করেন, তাকাববুরের নিয়তে করলে হারাম। যদি তাকাববুরের নিয়ত না থাকে তাহলে কোনো অসুবিধা নেই।
মনে রাখবেন, এই ধারণা ঠিক নয়। তাকাববুরের নিয়ত না থাকলেও এটা নাজায়েয। আর তাকাববুরের নিয়তে করা তো আরো মারাত্মক গুনাহ। হাদীস শরীফে এ কাজটিকেই তাকাববুরের আলামত বলা হয়েছে। সুতরাং এ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
আর শার্ট-প্যান্ট তো মূলত মুসলমানের পোশাক নয়। এটা এসেছে বাইরে থেকে। তাই তা থেকে এমনিতেই বিরত থাকা উচিত। তারপরও যাদের প্যান্ট পড়তেই হয় তাদের উচিত প্যান্টের পা টাখনুর উপর বানিয়ে নেওয়া।
মাশাআল্লাহ দ্বীনের প্রতি আগ্রহী অনেক ইংরেজি শিক্ষিত ভাইকেও টাখনুর উপর প্যান্ট পড়তে দেখা যায়।
এটি দৃষ্টিকটুও নয়, আবার কেউ তাকে মন্দও বলে না।
এটা ভুল ধারণা যে, পশ্চিমা ফ্যাশনের দ্বারা ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধি পায়। বাস্তবতা এই যে, মুসলমান যদি নিজেদের সভ্যতা-সংস্কৃতি ছেড়ে অন্যদের সংস্কৃতি ধারণ করে তবে এটাই তার লাঞ্ছনার কারণ। নিজেদের মাঝেও সে লাঞ্ছিত হবে এবং অন্যদের কাছেও।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক উপলব্ধি দান করুন এবং ইসলামী লেবাস-পোশাক খুশিমনে গ্রহণ করার তাওফীক দান করুন।
আমীন।
মুফতি আবুল হাসান আবদুল্লাহ সম্পাদিত আলকাউসার এর জানুয়ারী ২০১২ সংখ্যা থেকে সংকলিত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।