আগুন্তক পুঁজিবাদ ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সৃষ্ট নয়। যন্ত্রের আবিস্কারের সাথে সাথে ইউরোপে এর উৎপত্তি। পুঁজিবাদ ইসলামী ব্যবস্থায় প্রবেশ করে যখন ইসলামী সম্রাজ্য ইউরোপীয়দের অধীনে ছিল। তখনকার ইসলামী সমাজ ছিল দারিদ্রতা, অজ্ঞতা এবং পশ্চাদপসরতায় জর্জরিত। উন্নয়নের স্রোতের সাথে একাত্ম হতে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা পুঁজিবাদ গ্রহন করে।
অনেকে মনে করে থাকেন যে, ইসলাম পুঁজিবাদের ভাল এবং খারাপ দুটি দিকই সমর্থন করে এবং ইসলামের কোন নিয়ম নীতিই পুঁজিবাদের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। এর উত্তরে একটি কথাই বলা যায় যে পুঁজিবাদের দুটি আবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে সুদ এবং একচেটিয়া ব্যবসা বা মনোপলি এবং এই দুটি ব্যাপারই ইসলামে নিষিদ্ধ পুঁজিবাদ সৃষ্টির হাজার বছর আগেই।
প্রশ্ন এসে যায় যে যদি ইসলাম পুঁজিবাদের এই আবিচ্ছেদ্য দুটি অংশ সমর্থন না করে তাহলে যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপারটাকে ইসলাম কিভাবে গ্রহন করবে? কর্ম এবং উৎপাদন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইসলামের রীতিনীতি কেমন হবে? চলুন বিষয়টি আরও গভীরভাবে ভেবে দেখা যাক।
পুঁজিবাদের বিপক্ষে অর্থনীতিবিদদের কিছু মত আছে। প্রথম অবস্থায় পুঁজিবাদ উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে আসে।
উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি হয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয় এবং জাতীয় সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার সম্ভব হয়। মানুষের জীবনযাত্রার মানও বৃদ্ধি পায় এসবের সাথে সাথে। কিন্তু এই গৌরবময় অবস্থাটি খুব বেশী দিন স্থায়ী হয়না। কারন মালিক পক্ষের মধ্যে বেশী উৎপাদন কিন্তু সে অনুযায়ী শ্রমিকদে উপযুক্ত পারিশ্রমিক না দেয়ার মানসিকতা গড়ে উঠে। তারা তাদের লাভ বাড়তে যে কোন পথ বেছে নেয় এবং দুর্নীতিপরায়ণ হতে থাকে।
সম্পদ এক শ্রেণীর মানুষের কুক্ষিগত হয়ে থাকে। দরিদ্র জনসাধারণের তেমন কোন উন্নতি হয়না বা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়না। এছাড়া যখন উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি হয় তখন অনেক উৎপাদিত বস্তু উদ্ধৃত থেকে যায়। ফলে ঐ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার দেশটি নতুন মার্কেট এর খোজে থাকে যা উপনিবেশ স্থাপনের অন্যতম প্রধান কারন হয়ে দাড়ায়। এর সাথে সাথে শুরু হয় বিভিন্ন জাতী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব , যুদ্ধ ইত্যাদি।
অনেকে এর পক্ষে সাফাই দেন যে এসব রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্রুটি, পুঁজিবাদের না। কিন্তু তারা এটি এড়িয়ে যান যে পুঁজিবাদই এই পথে যেতে উৎসাহিত বা বাধ্য করে। কারন লোভ মানুষের চিরসঙ্গি। আপনি লোভকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবেননা। আপনি পারবেন লোভের প্রভাবক সমূহ নিশ্চিহ্ন করে লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
পুঁজিবাদ তেমনই একটি অন্যতম প্রভাবক।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে ইসলাম পুঁজিবাদের ভাল এবং উন্নয়নশীল দিকগুলো সমর্থন করে। কিন্তু ইসলাম পুঁজিবাদকে যথেচ্ছ বা স্বাধীন ভাবে চলতে দিতে চায় না। ইসলাম পুঁজিবাদকে কিছু নিয়মনীতির অন্তর্ভুক্ত করে যাতে পুঁজিবাদের খারাপ দিকগুলো এড়ানো যায়। ইসলামী অর্থনীতিতে মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে লাভের অংশ বণ্টিত হয়।
এখানে মালিক তার সম্পদ বিনিয়োগ করে এবং শ্রমিক তার শ্রম বিনিয়োগ করে। লাভের পরিমাণ এই দুই পক্ষের মধ্যে সমভাবে বণ্টিত হয়। এই নিয়মটি ইসলামের সাম্যবাদী শাসনের একটি চমৎকার উদাহরণ। এর ফলে কোন পক্ষই কারো উপর অর্থনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটাতে পারেনা। তাছাড়া বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যেও দ্বন্দ্বের সম্ভবনা মুছে যায়।
ইসলামের এই ব্যবস্থার ফলে শ্রম এবং অর্জিত সম্পদের মধ্যে সমানুপাতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যা পুঁজিবাদের মাধ্যমে ইউরোপে গড়ে উঠা সম্ভব হয়নি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, পুঁজিবাদের বর্তমান খারাপ দিকটি সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় ঋণের বর্ধিত নির্ভরতার ফলে। এর প্রেক্ষিতে ব্যাংকের সৃষ্টি হয়েছে যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে প্রধান ভুমিকা রাখে। এসব ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের অগ্রিম ঋণ দিয়ে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীকে এই ঋণের অর্থ নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ সহ পরিশোধ করতে হয়। এই সুদ নির্ভর ব্যবস্থাটিই ইসলামে নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে, পুঁজিবাদের একটি অবস্থা হচ্ছে উৎপাদকদের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতা যা ছোট কোম্পানিগুলোর ধ্বংসের কারন বা উন্নতির পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায়। এই অবস্থা মনপলি বা বাজারে একচেটিয়া ব্যবসার সৃষ্টি করে। আর এই মনপলি ব্যবস্থাটি ইসলামে নিষিদ্ধ। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এ সম্পর্কে বলেছেন ““He that monopolizes is a wrong-doer”
এখন আসি সুদ নিয়ে। কোরআনে এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে
“ যে সূদ তোমরা দিয়ে থাকো, যাতে মানুষের সম্পদের সাথে মিশে তা বেড়ে যায়, আল্লাহর কাছে তা বাড়ে না ৷ আর যে যাকাত তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকো, তা প্রদানকারী আসলে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করে৷” [ আল কোরআন (৩০:৩৯)]
হে ঈমানদারগণ ! এ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে ।
[ আল কোরআন (০৩:১৩০)]
যারা নিজেদের ধন-সম্পদ দিনরাত গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তাদের প্রতিদান রয়েছে তাদের রবের কাছে এবং তাদের কোন ভয় ও দুঃখ নেই। কিন্তু যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে৷ তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ ব্যবসা তো সুদেরই মতো ৷” অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম ৷ কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে ৷ আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে , সে জাহান্নামের অধিবাসী ৷ সেখানে সে থাকবে চিরকাল ৷ আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত ও বিকশিত করেন ৷ আর আল্লাহ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারীকে পছন্দ করেন না। অবশ্যি যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাদের প্রতিদান নিসন্দেহে তাদের রবের কাছে আছে এবং তাদের কোন ভয় ও মর্মজ্বালাও নেই ৷ হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহকে ভয় করো এবং লোকদের কাছে তোমাদের যে সুদ বাকি রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও , যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো ৷ কিন্তু যদি তোমরা এমনটি না করো তাহলে জেনে রাখো, এটা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ৷ এখনো তাওবা করে নাও ( এবং সুদ ছেড়ে দাও ) তাহলে তোমরা আসল মূলধনের অধিকারী হবে ৷ তোমরা জুলুম করবে না এবং তোমাদের ওপর জুলুম করাও হবে না ৷ [ আল কোরআন (০২:২৭৪-২৭৯)]
কোরআনে ব্যবহৃত “রিবা” শব্দটির অর্থ আসলের অতিরিক্ত যোগ হওয়া। কোরআনে এ আসলের অতিরিক্ত যোগ হওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অনেক মুসলমান আছেন যারা জোর দিয়ে বলেন যে কোরআনে যে সুদের কথা বলেছে তা মানি লন্ডারিং এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ন, যখন মানি লন্ডার মানুষকে ঋণ দেয় এবং মাত্রাতিরিক্ত সুদ গ্রহন করে।
তাদের মতে কোরআন মাত্রাতিরিক্ত সুদ ( usury ) নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু interest নিষিদ্ধ করেনি যা বর্তমান ব্যাংকগুলো নিয়ে থাকে। interest অর্থ ঋণের অর্থ ব্যবহারের জন্য আসলের সাথে অতিরিক্ত যে অর্থ দেয়া হয়। “রিবা” শব্দটির অর্থ আসলের অতিরিক্ত যোগ হওয়া, তা কম বা বেশী হোক। কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী মাত্রাতিরিক্ত সুদ ( usury ) এবং interest দুটোই নিষিদ্ধ।
আরও কিছু মুসলমান আছেন যারা বলতে চান সুদ হল একপ্রকার ব্যবসা, তবে তা কেন হারাম হবে।
তাদের জন্য কোরআন স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে,
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে।
তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। [ আল কোরআন (০২:২৭৫)]
কোরআন কেন সুদ মুক্ত অর্থনীতির ব্যাপারে জোর দিল? কেন যে কোন প্রকার সুদকে হারাম করলো? এর কারন, প্রথমত যদি অর্থনীতিকে কল্যাণকর করতে হয় তাহলে ইসলামের উদার অর্থনৈতিক জীবন যাপনের সাথে সামঞ্জস্যশীল হতে হবে। দ্বিতীয়ত , অন্যায় অবিচার দূর করার জন্য। তৃতীয়ত, সম্পদের সুষম বণ্টনের জন্য। চতুর্থত, সামাজিক দিক থেকে ব্যাক্তির স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য।
ইসলাম একজন মানুষকে আল্লাহ্র আনুগত্যের ব্যপারে উৎসাহিত করে এবং নিজে স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। ইসলাম সার্বজনীন ভাতৄত্ব এবং ন্যায়পরায়ণতার উপর জোর দেয়। ইসলাম গুটি কয়েক ব্যক্তির নিকট সম্পদের পুঞ্জিভূত হওয়াকে সমর্থন করে না। ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস করার জন্য ইসলাম এ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। কেননা, ধনি-দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য না কমলে তারা শত্রুতে পরিণত হবে।
এজন্য ইসলাম যাকাতের মত মহৎ ব্যবস্থার প্রচলন করেছে। সম্পদের সুষম বণ্টন এবং দারিদ্র বিমোচনে এই ব্যবস্থার প্রবর্তন। যদি প্রত্যেকে এই ব্যবস্থা মেনে চলত তবে কোন মানুষই ক্ষুধায় মারা যেত না বা দারিদ্রতায় ভুগতে হত না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের বেশিরভাগ মুসলিমই এই ব্যবস্থা মেনে চলে না।
ইসলাম শিক্ষা দেয় সঠিক কর্মসংস্থানের এবং ন্যায্য মজুরী দেয়ার।
ইসলাম অনুসারে একজন মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে, কোন লোক বা কেউ, এমনকি রাষ্ট্রও তার স্বাধীনতাকে রহিত করতে পারেনা যতক্ষণ না সে সমাজের জন্য ক্ষতিকর কোন কার্যক্রম করে থাকে।
সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থায় অনেক মন্দ ফলাফল রয়েছে, যে কারনে কোরআন সুদকে হারাম করেছে। উদাহরণস্বরূপ, কোন ব্যাক্তি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করলো ব্যবসা করার জন্য এবং সে চাইবে ব্যবসায় লাভ করতে এবং তাকে সুদও পরিশোধ করতে হবে। তখন সে উৎপাদন খরচের সাথে লাভ এবং সুদ যোগ করবে। অর্থাৎ বিক্রয়মূল্যের সাথে সুদ যোগ হয়ে বিক্রয়মূল্য বেড়ে যাবে।
বিক্রয়মূল্য বেড়ে গেলে দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পাবে। চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় তার যোগান কমে যাবে। এভাবে উৎপাদন কমে যাবে। তখন বিভিন্ন সমস্যা, বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। আবার কোন ব্যাক্তি ঋণ গ্রহন করলে সে লাভ করুক আর নাই করুক তাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদ সহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
প্রায় সময়ই তা দারিদ্র্যের সৃষ্টি করে।
অন্যদিকে আধুনিক ব্যাংকের কোন সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকেনা শুধু সুদের কারনে। সমাজের কল্যাণ অকল্যাণ তাদের বিবেচনার বিষয় নয় বরং তাদের মুল লক্ষ্য হলো অধিক লাভ পাওয়া। যে ব্যবসায় লাভ বেশী তাতে বিনিয়োগ করতে ব্যাংক তত উৎসাহী হয়। সমাজের জন্য তা সুফল না কুফল বয়ে আনবে তা তাদের ভাবনার বিষয় হয় না।
সুদের আরও একটি কুফল হল সুদ সমাজে অলস পূঁজি সৃষ্টি করে। সুদ যেহেতু নিশ্চিত তাই মানুষ অর্থ লেনদেন না করে, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার না করে পূঁজিকে অলস বসিয়ে রাখে। ফলে তা সমাজে অকল্যাণ বয়ে আনে। সুদ অর্থ ও সম্পদ গুটিকয়েক ব্যাক্তির নিকট পুঞ্জিভূত হওয়ার প্রধান কারন। সুদ সম্পদের অসম বণ্টনকে ত্বরান্বিত করে।
ইসলামী বিধানে উৎপাদনে জড়িত উপকরণ চারটি। ভুমি, শ্রম, মূলধন এবং সংঘটন। পুঁজিবাদের সাথে ইসলামী অর্থনীতির পার্থক্য শুধুমাত্র ৩য় উপকরন অর্থাৎ মূলধন নিয়ে। পুঁজিবাদে মূলধনের ক্ষেত্রে সুদ দেয়া হয়। আর ইসলামী বিধানে মূলধনের প্রাপ্য হলো লাভ-লোকসান বা অংশীদারিত্ব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।