মোল্লা বাহার দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন আজকের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পর থেকে এই একটি মাত্র দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যে ক্যাম্পাসে ছাত্র সংঘর্ষ কিংবা ছাত্র- কর্মচারী কিংবা কোন ছাত্রের রক্তে রঞ্জিত হয়নি ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাস। কিন্তু অপমৃত্যু বা দুর্ঘটনা কাঁদিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, কর্মকর্তাদেরকে। এখনো প্রতিবছর ১৩ মার্চ খুবি ক্যাম্পাসকে শোকের আবরনে ঢেকে দেই কটকা ট্রাজেডি দিবস। এখনো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, কর্মকর্তারা ভুলতে পারিনি বুয়েট এর ২ জন সহ খুবি’র ৯ জন তরুণ স্থ্যপতিকে।
এখনো প্রতিবছর ১৩ মার্চ এলে শোকে মুহ্যমান হয়ে যায় খুবি ক্যাম্পাস। শোকের মিছিলে আবার সংযুক্ত হল আরেকটি দিন ২৭ শে ডিসেম্বর। ঝরে গেল আরেকটি তাজা প্রান, মেধাবী মুখ ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাম হাদিউল ইসলাম। সহপাঠী, সিনিয়র আর শিক্ষকদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেল তার আপন ঠিকানাই, যেখান থেকে আর খুবি ক্যাম্পাসে ফিরে আসা যাবে না। ঘাতক বাস কেড়ে নিল হাদিউল ইসলামকে সকলের কাছ থেকে।
শোকে কাঁতর আজ খুবি, সন্তান হারাবার বেদনায়। রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত মুক্ত ক্যাম্পাসে আর কত চোখের পানি ফেলবে সহপাঠী, সিনিয়র, জুনিয়র আর শিক্ষকরা ? এর জবাব কি কেউ দিতে পারবে। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমাদের প্রার্থনা ,আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে তুমি আর শোকাহত করো না, তারুন্যের উচ্ছ্বাসে মুখরিত করে দাও আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে।
লিঙ্ক ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।