রাত আটটা। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর বাসায় ফেরেন আজমত উল্লা। ততক্ষণে ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে। আর তাতে একের পর এক নিজের পিছিয়ে পড়ার খবর শুনছেন ১৭ বছর টঙ্গী পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আজমত।
আজমতের টঙ্গীর বাসভবনে তখন সাংবাদিকদের ভিড়।
সবার কৌতূহলী চোখ ১৪ দল-সমর্থিত প্রার্থীর দিকে। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে সোজা বাসভবনে ঢুকে পড়লেন আজমত। অনেকটা ক্লান্তি আর বিষণ্নতার আভা ফুটে উঠল তাঁর চোখে-মুখে।
রাত ১০টায় এ প্রতিবেদক মুঠোফোনে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি আজমতের সঙ্গে। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের দীর্ঘ লাইন আরও দীর্ঘায়িত হয়।
কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির।
মেয়র হিসেবে আলোচিত আজমত, ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে যার রাজনৈতিক জীবনের শুরু, ব্যক্তি হিসেবেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। আর সে জনপ্রিয়তায় আকস্মিক ভাটাকে তাই অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন এলাকাবাসী। তাঁদের ধারণা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি ব্যর্থতা আর অন্তর্কোন্দল যেমন ধস নামিয়েছে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায়, তেমনি আজমতের মতো প্রার্থীদের ভোটেও যেন ভাটা ফেলেছে। ফলে তিলে তিলে গড়া আজমত-দুর্গে ১৮ দল-সমর্থিত মান্নানের হানা এখন অনেকটাই বাস্তব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।