দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী! আজ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর রেজাল্ট , চারিদিকে সাফল্যের ছড়াছড়ি। যারা A+ পেয়েছে সেই সকল মেধাবীদের নিয়ে মাতামাতি। প্রথমেই সেই সকল মেধাবীদের জানায় অভিনন্দন।
আজ ইন্টারনেটে বসে একটা রেজাল্ট দেখলাম, রেজাল্ট ১.১৬! অনেকেই ভাবছেন এত খারাপ? কিন্তু আমি সেই ছেলেটিকে জানাচ্ছি অভিনন্দন।
প্রথমেই বলি ছেলেটি অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের, অনেকে আছে যারা দরিদ্র হয়ে মেধাবী, ভাল রেজাল্ট করে।
কিন্তু এই ছেলেটি হয়ত মেধাবী না। মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়া একটা ছেলে... সে একটা ব্যাংকে ফরমাইশ খাটে। অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মত তাকেও আসতে হয় সকাল ১০টায় যেতে হয় সন্ধ্যা ৬ টায়।
তার কাজ হয় একে চা এনে দাওয়া, ওকে পানি এনে দেওয়া,এর জন্য বাহির থেকে একটা জিনিস কিনে আনা তো ওর জন্য কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়া। এইভাবে ১০ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত তাকে ছুটোছুটির উপর থাকতে হয়।
কারও মন অনুযায়ী কাজ করতে না পারলে তো হাল্কা ধমক আছেই কপালে।
এইভাবে সারাদিন খেটে রাতে বাসায় যেয়ে একটা নাইট স্কুলে পরে, তিন বেলার খাবারটা খুবই সামান্য। এইভাবে সে তার সৎপথে আয় করা টাকা দিয়ে সংসারে সাহায্য করে। ছেলেটার নাম শিহাব। বয়স কত ১১/১২ ।
এইভাবে সে দিন পার করে পরীক্ষা দিয়ে ১.১৬ পেয়েছে। তাকে আমি জানাচ্ছি অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন। আপনি কি করতেন জানি না কিন্তু এই ভাবে জীবন পার করে আমি ঐটুকু রেজাল্টও আনতে পারতাম না।
শিহাব বৈষ্যমে ভরা এই সমাজে তুমি এগিয়ে চল এই আমার কামনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।