Digital Bangladesh Warriors - fb.com/openbd
শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাংসদ সানজিদা খানমের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
গতকাল জুরাইন মাজার গেটে শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে ওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধান অতিথি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ঘোষণা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দুই মন্ত্রী সমাবেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনে তাঁরা আর যাননি।
গতকাল বেলা সোয়া তিনটায় তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করছিলেন সানজিদা খানম। সমাবেশের শুরু থেকে মাইকে নেতাদের নাম ঘোষণা ও বিভিন্ন নেতার বক্তব্য দেয়া কে কেন্দ্র করে কিছু কর্মী হট্টগোল করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ অবস্থায় কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ওরফে ফালানের সমর্থকদের দাবির মুখে তাঁকে বক্তব্য দিতে মঞ্চে ডাকেন সানজিদা খানম। মাসুদ রানা মাইক্রোফোন হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খলিলুর রহমান মঞ্চে মাসুদ রানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে কে বা কারা তাঁর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন।
এর পরপরই তুমুল মারামারি বেধে যায়। এ সময় সাংসদ সানজিদা খানম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। তিনি নেতা-কর্মী ও পুলিশ পরিবেষ্টিত হয়ে মঞ্চের পেছনে গিয়ে আশ্রয় নেন।
কিছুক্ষণ পর সানজিদার সমর্থকেরা সংঘবদ্ধ হলে তিনি আবার মঞ্চে যান। তখন আবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
একপর্যায়ে সানজিদাসহ মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এরপর সানজিদার সমর্থকেরা মাজারের দিকে এবং তোফাজ্জলের সমর্থকেরা কদমতলী এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়। দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিলে তোফাজ্জলের সমর্থকেরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আর সানজিদার সমর্থকেরা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সানজিদা অভিযোগ করেন, তোফাজ্জল পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটান। তিনি কয়েক দিন ধরেই বিএনপির লোকজন নিয়ে বৈঠক করে সমাবেশ পণ্ড করার পরিকল্পনা করেন। জানতে চাইলে তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোর কাছে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘সানজিদা খানম বিএনপির লোক এনে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা সাজানো। তাঁর ভাই একজন চাঁদাবাজ।
’ দলীয় সূত্রগুলো জানায়, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তোফাজ্জল হোসেন ও সানজিদা খানমের মধ্যে এই বিরোধ দীর্ঘদিনের।
মন্তব্যঃ টিভির খবরে দুটাকেই দেখেছে দেশবাসি। দেখে মনে হয়েছে সমাজে সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই এই দুইটার জন্ম হয়েছে। জংলী অসভ্য বরবর এই দুই নর নারী যেভাবে নির্লিপ্ত নির্লজ্জ্বের মত ক্যামেরায় মুখস্ত বুলি আওরালেন তাতে বোঝা গেছে এই লেভেলের নেতা কর্মীর কোন কালেই পরিববর্তন সম্ভব না। এরা এটাকেই রাজনীতি মনে করে।
সন্ত্রাসী, মারামারি, শোডাউন এই এদের যোগ্যতা। এর আমাদের যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। নেতার প্রিয় পাত্র হতে যুবকেরা সন্ত্রাসীর প্রতিযোগিতা করছে। অথচ তোফাজ্জল সানজিদা নিজে মারামারি করছে না। চলুন আমরা চৌরাস্তার মোরে রেসলিং রিং বানিয়ে এই দুইটাকে আন্ডারপেন্ট পরাইয়া কুস্তির আয়োজন করে লাইভ বিশ্ববাসীকে দেখাই।
অনেট হিট পাওয়া যাবে।
দেশ জাতি ও নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে এদের রাজনীতি থেকে বিতারন করা আজ অপরিহার্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।