তাশফী মাহমুদ
খেলার ভূবনে অন্যতম আকর্ষণ ছিল আমার কাছে আন্না কুর্নিকোভা । যার পদচারণায় এই অঙ্গন ফিরে পায় অন্য রকম আমেজ। সেটা যেন মনটাকে উথাল-পাতাল করে দেয় বার বার মাঠে আসার জন্য। একটু ভিন্ন মাত্রার চোখের দৃষ্টির পিপাসা মিটাবার লক্ষণই বটে! যা সব সময় বজায় থাকে ক্রীড়া পাগল প্রেমির মাঝে। তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এমন আকর্ষণের পরিশ্রমী যুদ্ধে তাদের প্রচারটা হয় মধুর ভাষায়, যাদের স্থান দেয়া যায় অতুলনীয় কোটায়। সে কথা সকলে স্বীকার করবেন এক বাক্যে। অবশ্যই তা অন্তর থেকে।
কারণ এরা যে সুন্দর বস্তুর পুজারী, এতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ নেই। এমন ধারায় পরখ করা চাই সৌন্দর্যের বস্তুটি।
সে জন্যই তো টেনিস কোর্টের গ্যালারীর আসনে তাদের সরব উপস্থিতি। সত্যি! এই খেলার মূল আকর্ষণ পারফরম্যান্স। যা অন্যান্য ক্রীড়ার ন্যায়। তা বলাবাহুল্য। সেটা জানা আছে সবার।
এরপরও লাস্যময়ী চেহারার দর্শনের টানে অনেকে ছুটে যেতেন সেই কোর্টে। যেখানে বিরাজ করে নীরবতার পরিবেশ। পাশাপাশি দেখা যায়, কোলাহল মুক্ত ভদ্র মানুষের করতালির আওয়াজ। যা খেলাটির সম্মান বাড়িয়ে চলেছে যুগ যুগ ধরে।
খেলাসুলভ মনকে উরু উরু পন্থায় সতেজ রাখে।
এর ইতিহাস সেটাই বলে। যা শতভাগ সত্য কথা। র্যাকেট এবং লাফানো ছোট্ট বলের মধুর লড়াইয়ের আকর্ষণ এ অঙ্গনের সুন্দরী ললনারা, যাদের নামের তালিকাটা মন্দ নয়। গ্ল্যামারের বিবেচনাই অনায়াসে অভিহিত করা যায় তারাই টেনিসের প্রাণ। তা স্বীকার্য জনে জনে।
এই ধারায় তাদের নিয়ে আলোচনার জোয়ার উঠে মিডিয়ার পাতায়। আন্না কুর্নিকোভা। সুখময় এবং শারীরিক সৌন্দর্যে অসাধারণ যিনি। তাই তরুণদের কাছে স্বপ্নের রাণী ছিল সে। তার টানা টানা হরিণী চোখ মন কেড়ে নিতো সবার।
টেনিস কোর্টে তা ফুটে উঠে একাধিকবার। সাফল্য পেলেও গ্র্যান্ডস্লাম জুটেনি রাশিয়ান তারকা আন্না কুর্নিকোভার ভাগ্যে। অবশেষে তিনি মডেলিং পেশার জোকে অবসর গ্রহণ করেন ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে!
কিন্তু সাফল্য ছাড়াও শুধু রূপের ফুলকি ছড়িয়েও কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উপার্জন করছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে আদর্শ দৃষ্টানত্ম অবশ্যই আরেক সুন্দরীতমা আনা কুর্নিকোভা। তিনি নেহায়তই রূপ এবং গস্ন্যামার দিয়ে জয় করে রেখেছেন টেনিসের আকাশ।
টেনিসে কুর্নিকোভার সাফল্য বলতে এক যুগ আগে তার অভিষেক উইম্বলডন টুর্নামেন্ট। ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত সে টুর্নামেন্টে তিনি প্রথমবার অংশ নিয়েই সেমিফাইনালে পদার্পণ করেছিলেন।
আনার টেনিস ক্যারিয়ারে এখন পর্যনত্ম বড় সাফল্য বলতে এটুকুই। এ সাফল্য ভাঙিয়েই তিনি তরতর করে উপরে উঠে গেছেন। মাঝখানে ইনজুরির কারণে ঠিকমতো কোর্টে বিচরণ করতে পারেননি।
অর্থাৎ এখানেই শেষ তার টেনিস ক্যারিয়ার। এরপর টেনিসে মনোযোগ না দিয়ে তিনি আকৃষ্ট হলেন বিজ্ঞাপন এবং অন্য জগতে। মডেলিং, স্পন্সর কিংবা ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডরদের লোভনীয় দৃষ্টি পড়ল কুর্নিকোভার ওপর। ফলস্বরূপ নিমিষেই অনন্য এক উচ্চতায় আসীন হলেন আন্না।
আর স্বাভাবিকভাবেই অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে চলল তার ব্যাংক ব্যালেন্স।
তার অর্থ উপার্জনটা এতই বেশি যে, এখনকার অনেক কোর্ট মাতানো তারকাই তার নিকট মস্নান। গত তিন-চার বছর তো আনা কোর্টে না নেমেই টাকার কুমির বনে গেছেন। আর যদি মাঠে নামতেন তাহলে যে কি হতো সেটা সহজেই অনুমেয়। তবে এসব তারকারা টাকার ওপর ঘুমালেও এখনও মহিলা টেনিসের কিংবদনত্মি স্টেফিগ্রাফকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। এখন পর্যনত্ম সর্বকালের সেরাদের তালিকায় প্রাইজমানির দিক দিয়ে প্রমীলাদের মধ্যে তিনি রয়েছেন এক নম্বরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।