আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিপর্যয়ের মুখে কানাডার শ্রমবাজার, বেকারের সংখ্যা ১৪ লাখ

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম গত তিন বছরের মধ্যে কানাডার শ্রমবাজার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। গত এক মাসেই সব মিলিয়ে ৫৪ হাজার পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বেকারত্বের হার দুই ধাপ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক তিন শতাংশে। প্রায় ১৪ লক্ষ কানাডিয়ান বর্তমানে বেকারত্বের ঘানি টানছে। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার শুক্রবার প্রকাশ করা প্রতিবেদনে কানাডায় বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার খবরে দিনের শেষভাগে দ্রতই মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলারের মূল্যমান এক সেন্ট নিচে নেমে ৯৮ দশমিক ২৮ মার্কিন সেন্টে দাঁড়ায়।

বিশ্লেষকেরা কানাডার অর্থনীতির গতি অব্যাহত গতিতে শ্লথ হয়ে পড়ার এই পরিস্থিতিতে বেকারত্বের হার বেড়ে আট শতাংশে দাঁড়ানোর ভবিষ্যৎ বাণী করছেন। সর্বশেষ কর্মসংস্থান পরিসংখ্যান চিত্রে দেখা যায়, ২০০৯ সালের মার্চের পর গত সেপ্টেম্বরের এক মাসে কানাডার সর্বোচ্চ পরিমাণ চাকরিযোগ্য পদ হারাতে হয়েছে। ইউরোপের ঋণ সংকট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূর্বল অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পরিস্থিতি এবং এশিয়ায় মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে কানাডার অর্থনীতি আবারও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এই অবস্থায় ফ্রান্সের কানে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষে দেশের কর্মসংস্থান বাজারের সর্বশেষ বিপর্যয়ের খবরে প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে এর জন্য অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনীতিকে দায়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হার্পার ও অর্থমন্ত্রী জিম ফ্লাহারটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে উদ্দীপনামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তবে অটো ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কেন লিওয়েনজা কানাডার রাজনীতিবিদদের অন্য দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে নিজেদের নিষ্ক্রিয়তা ঢাকার চেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অক্টোবরের কর্মহীনতার চিত্রে পরিষ্কার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কানাডার দ্বিধাগ্রস্ত অর্থনীতি আরও নাজুক অবস্থার দিকে যাচ্ছে। স্ট্যাট কানাডার বিস্তারিত প্রতিবেদনে চাকরি হারানোর খবরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের জন্য আরও হতাশা বয়ে এনেছে পূর্ণকালীন চাকরিতে বড় ধরনের আঘাতের বিষয়টি। গত এক মাসেই কর্মসংস্থান বাজার থেকে ৭১ হাজার ৭০০ চাকরির সুযোগ অদৃশ্য হয়ে গেছে, এর মধ্যে একমাত্র অন্টারিওতেই হয়েছে ৭৫ হাজার ৪০০টি। খণ্ডকালীন কিছু চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কর্মংস্থানের এই চিত্র কিছুটা রুচিশীল পর্যায়ে রয়েছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে, তবে তা ১৫ হাজারের বেশি নয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে এক লাখ ২৯ হাজার চাকরিজীবীকে চাকরি হারাতে হয়েছিল। এরপর গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে এসে বড় ধরনের এই ধাক্কা সবাইকে উদ্বিগ্ন করছে। ব্যাংক অব কানাডার অর্থনীতিবিদ ডগলাস পোর্টার বলেন, বর্তমান অবস্থা সত্যিই অর্থনীতির জন্য চরম সতর্কবার্তা বয়ে এনেছে।

ক্রমান্নতির ধারায় আকষ্মিক ও ব্যাপক অবনতিতে বোঝা যায়, অর্থনীতিতে দ্রুত সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। স্কটিয়াব্যাংকের ডেরেক হল্ট বলেন, কর্মসংস্থান চিত্রের পক্ষে-বিপক্ষে যে কথাই বলা হোক না কেন, প্রতিবেদনের সবকিছুই নেতিবাচক ও নৈরাশ্যজনক। কার্যকর ও সুচিন্তিত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে কর্মসংস্থানের চিত্র আরও বেহাল দেখাবে। তথ্যসূত্র- Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.