আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশলীনা] ১৭ :: ভিন্ন আয়োজনে অন্য সাময়িকী

আকাশলীনা] মুক্ত প্রাণ, স্বপ্নের সোপান আকাশলীনা] অগ্রহায়ণ ১৪১৮ :: নভেম্বর ২০১১ :: বর্ষ ০২ :: সংখ্যা ০৫ ---------------------------------------------------------------------------------- :: পাঠ-পূর্বক বিজ্ঞপ্তি :: আকাশলীনা- এটি একটি ছোট পত্রিকা। তবে, বন্ধুকে কাছে পাওয়া, বন্ধুর সঙ্গে থাকা; গান-সিনেমা-বই; আড্ডা আর গল্পে মজতেই আকাশলীনা-র জন্ম। বন্ধুর কাছে মনের কথা বলার মূলমন্ত্র নিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও, এখন এটি মুক্ত প্রাণ আর স্বপ্নের সোপানের প্রত্যাশী। প্রতি বাংলা মাসের প্রথম সপ্তাহে মুদ্রণ কাগজে এটি প্রকাশিত হয়। বলা যেতে পারে, সাদাকালোয় প্রকাশিত ২৪ পৃষ্ঠার এটি এক রঙিন স্বপ্নের গল্প! যে কোনো বিষয়ে, যে কেউই লিখতে পারেন এখানে।

লেখক-পাঠক আর বন্ধুতার মেলবন্ধন সৃষ্টি করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ০২. এখানে মূল পত্রিকার বর্তমান সংখ্যাটি অনলাইন পাঠকদের জন্য সরবারাহ করা হয়েছে। ভালোলাগা-মন্দলাগা বিষয়ে যে কেউই মন্তব্য করতে পারেন। পত্রিকাটির মুদ্রিত কপি নিয়মিত পেতে চাইলে; ফোন নম্বরসহ ডাক-ঠিকানা লিখে জানাতে পারেন। নতুন সংখ্যা প্রকাশের পরপরই পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়... আমাদের সম্পাদনা পরিচিতি এবং সরাসরি যোগাযোগ করার ঠিকানা এই লেখার নিচে উল্লেখ আছে।

ধন্যবাদ। -সম্পাদক। [] ---------------------------------------------------------------------------------- মূল পত্রিকা এখান থেকে শুরু- ---------------------------------------------------------------------------------- :: সম্পাদকীয় :: জীবনানন্দ দাশ বলে গেছেন- অঘ্রাণ এসেছে আজ পৃথিবীর প্রান্তরে। হ্যাঁ, ঋতুচক্রের পালাবদলে, কার্তিক শেষে তাই আবারো অগ্রহায়ণ হাজির। রোদ্দুরে সোনারঙ, বাতাসে নতুন ধানের গন্ধ, প্রাণে শীতার্ত অনুভূতি- হেমন্তের এই মধ্যক্ষণে দাঁড়িয়ে, অগ্রহায়ণকে রাঙাতে, আকাশলীনা তাই বরাবরের মতোনই সেজেছে হেমন্তের আয়োজনে।

০২. দেশের ক্ষণজন্মা যেসব মহাপুরুষ, বাংলা সাহিত্যকে নিজেদের সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ করেছিলো, তাঁদের মধ্যে মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার অন্যতম। উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা দিয়ে এঁরা আমাদের সাহিত্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৪ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর হাতে এ তিনজনই শহীদ হন। যে কারণে, এই দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আকাশলীনা তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।

০৩. ১ ডিসেম্বর এইডস দিবস। বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- অর্থ সংগ্রহ, সচেতনতা সৃষ্টি; এবং এ ব্যাপারে যেসব কুসংস্কার মানুষের মনে রয়েছে, সেসবকে দূর করার জন্য উদ্যোগ নেয়া ও শিক্ষাদান। আমরা মনে করি, প্রতিটি মানুষকে এই ঘাতক রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ। ০৪. ঈদের লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়ে, আকাশলীনা-র স্বাভাবিক প্রকাশনা এবার একটু দেরিতেই হলো।

এ জন্য আমরা দুঃখিত। সবশেষে, সকলকে অঘ্রাণের শুভেচ্ছা। ভালো হোক সবার- এই শুভকামনা... [] ---------------------------------------------------------------------------------- :: হেমন্তের কবিতা :: সুপ্ত আভা গাজী আশরাফ উদ্দিন পঞ্জিকার পাতায় চোখ মেলে দেখি হেমন্ত এসেছে মাত্র কটা দিন হয়- জানালা খুলেই বিস্তৃত দিগন্তে চেয়ে তাই হেমন্তের আভা খুঁজছি দুচোখ দিয়ে। ‘হেমন্ত তুমি কোথায়?’ দ্বিধাময় মনে আকাঙ্ক্ষিত এ হৃদয় খঁজছে তোমায়। হঠাৎ বৃষ্টির অস্পষ্টতায় জেগে উঠি বাইরে তাকিয়ে দেখি মেঘের ক্রন্দন! মেঘের বিরহ, নাকি অঘ্রাণের কুয়াশা- বুঝে উঠতে পারি না আকাঙ্ক্ষিত, দ্বিধাময় অস্থির হৃদয়।

তবে কি মেঘও কাঁদছে একাকী, স্তব্দ হয়ে হেমন্তের শিরশির আভা পেতে? আমিও উধাও হয়ে যাওয়া মেঘের অপেক্ষায় আছি কুয়াশা কুয়াশা ভোর, শীতার্থ অনুভব আর হলদেটে হেমন্তের নবান্নতা খুঁজে পেতে। তবে কি হেমন্ত সুপ্ত হয়েই এসেছে, স্বচ্ছ নীলাকাশ কুয়াশার ঘোরে আবছা হয়ে! [] :: দাগনভূঁইয়া, ফেনী ---------------------------------------------------------------------------------- :: হেমন্তের গদ্য :: এলো শিশিরভেজা হেমন্ত আশীষ-উর-রহমান কুয়াশার মলিন আঁচল সরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রভাতি রোদের কিরণ। হেমন্ত এলো ঋতুচক্রের পালায়। চোখ জুড়ানো কিংবা মন মাতানো ফুলের বাহার নেই, নেই পাখির কলগুঞ্জন কিংবা গ্রীষ্মের মতো বজ্রনির্ঘোষে চরাচর কাঁপিয়ে দেয়ার শক্তি- এমনই এক ঋতু হেমন্ত। স্তববস্তুতি জোটেনি তার, বরং নিন্দা-মন্দ-কটু ভাষণের ঘাটতি পড়েনি কখনো।

অভাবের কার্তিক এলো এক অশনি সংকেতের মতো। বাংলার মঙ্গা কবলিত জনপদে তার আগমনে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের মনে আতঙ্কের শীতল স্রোত বয়ে যায়। সেই কার্তিক শেষ। তাহলে কী আছে হেমন্তের? কেনো লোকে মুগ্ধ হবে তার প্রতি? শরতে তবু আকাশজুড়ে ছিলো সাদা মেঘের ভেলা। নিদারুণ যান্ত্রিক শহরেও মুখ তুলে ওপরে তাকালে মন প্রসন্ন করা সেই মেঘমালা দেখা যেতো।

হেমন্তে সেই মেঘও উধাও হবে দিনে দিনে। স্বচ্ছ নীলাকাশ কুয়াশার ঘোরে আবছা হয়ে আসবে ছানিপড়া চোখের দৃষ্টির মতো। ম্লান হয়ে আসবে ঝলমলে রোদ। হারাবে তার চনমনে ভাবটিও। অজস্র বারিধারায় যে তরু-পল্লব নিবিড় সবুজ প্রাণন্ত হয়ে উঠেছিলো, তাদের এখন দেখাবে মলিন, বিমর্ষ।

পায়ের তলার মাটি তৃষ্ণায় শুকিয়ে খটখটে। ধূলিময়। ঘাসের রং জং ধরা টিনের মতো। এই অগ্রহায়ণও যেনো পণ করে এসেছে- সবটুকু জল, সমূহ সবুজ সে শুষে নেবে এক অপার্থিব শোষণ যন্ত্রের মতো। ইয়োরোপের কবি এপ্রিলকে অপবাদ দিয়েছিলেন তাঁদের ঋতুর নিষ্ঠুর মাস বলে।

হেমন্তের প্রথমার্ধ কার্তিককে বাংলার কবিরা তেমন করে বলেননি বটে, তবে ওর ঝুঁলিতে প্রশংসাপত্রও তেমন নেই। এতো যে প্রকৃতির রূপমুগ্ধ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, তিনিও বড়ই সংযত হেমন্তের প্রতি, অতিশয় মিতবাক। ব্যতিক্রম কেবল জীবনানন্দ দাশ। জগৎ-সংসারে জীবন-মৃত্যুর নিয়ত নিঠুর দ্বন্দ্বের ভেতর দিয়ে যে প্রাণপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে, হেপ্রন্তর ক্রূরতা, ক্ষয়িষ্ণুতার ভেতরে তার স্বরূপকেই তিনি অন্বেষণ করেছিলেন। হেমন্তের করাল রূপ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের অচেনা ছিলো না।

কিন্তু তিনি যেনো বেশি দেখেছেন তার অন্য রূপ- শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা রেখে/ অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের ক্ষেতে;/ মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার,/ চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,/ তাহার আস্বাদ পেয়ে পেকে ওঠে ধান। এই ধান ফিরিয়ে আনবে অভাবী কৃষকের ঘরে সুখ-সচ্ছলতার হাসি, চোখে মেখে দেবে স্বপ্নের অঞ্জন। জীবন এগিয়ে যাবে সব প্রতিবন্ধকতাকে ফেলে, এমনকি মৃত্যুকেও। হেমন্তের কুজ্বটিকাময় আবরণের আড়ালে জীবনের এই সোনালি সোপানের আভাস যখন পাওয়াই গেলো, তখন তার দিকে একটু অন্যভাবে তাকানো যেতেই পারে। দুঃখের পরে সুখ বলে বহুকাল থেকে যে প্রসিদ্ধ আপ্তবাক্যটি চলে আসছে, প্রেন্ত তার সাক্ষাৎ প্রমাণ।

করাল কার্তিকের পর সমৃদ্ধির অগ্রহায়ণ। হেমন্তের তখন এক অন্য রূপ। মাঠে মাঠে হাওয়ায় মাথা দোলানো সোনালি ধানের ছড়া। জনজীবনে জেগে ওঠা নতুন কর্মোদ্দীপনা। মাঠে মাঠে ফসল কাটার ব্যস্ততা।

পথে পথে ধানের আঁটি নিয়ে কৃষকের পথচলার দৃশ্য। বাড়ির আঙিনায় নতুন খড়ের স্তূপ। নারীরাও ব্যস্ত শস্য মাড়াই নিয়ে। ফসল কাটার পর মাঠে মাঠে ঝরে পড়া ধানের শিষ কুড়াতে নেমে পড়া কিশোর-কিশোরীদের চপল চঞ্চল ছোটাছুটি। ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে সেখান থেকে তার সঞ্চয় হাতিয়ে নিতেও ব্যস্ত হয়ে পড়ে কেউ কেউ।

শালিক, চড়–ই আরো কতো পাখি ঝাঁক বেঁধে আসে শস্যের দানা খুঁটে খেতে। তাদের কেউ কেউ নতুন বাসা বুনতে সায়াহ্নের আবিররাঙা আলোয় ডানা মেলে উড়ে যায় খড়কুটো মুখে নিয়ে। দূরে গ্রামের গাঢ় সবুজ রেখার ওপর জমে থাকে রান্নাঘর থেকে ওঠা ধোঁয়ার কু-লী। বাতাসে গা শিরশির করা শীতের স্পর্শ। মাঠের প্রপ্রন্ত খড়বিচালি জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় কেউ কেউ।

কমলা রঙের লকলকে শিখার ওপর পাক খেয়ে ওঠা ধোঁয়ার স্তম্ভ নিচু হয়ে আসা কুয়াশার চাদরে মিশে গিয়ে রহস্যময় ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে রাখে। সেসব ভালো করে একটু তাকিয়ে দেখার সময়ও কি দেবে ক্লান্ত দিবাকর! দিন ছোট হচ্ছে। তার এখন তলিয়ে যাওয়ার তাড়া। দেখতে দেখতেই ডিমের কুসুমের মতো সোনালি থেকে সিঁদুরের মতো লাল। দিগন্তে অকাতরে লাল, কমলা, গৈরিক রঙের ছোপছাপ মাখিয়ে টুপ করে লাপাত্তা।

সূর্যহারা আকাশে কিছুটা সময় রঙিন মেঘে আলোর আভা। দ্রুত ঘনিয়ে আসা অন্ধকারের আবছায়ায় সেই আভা মিলিয়ে যেতে সময় লাগে না। নিচের অন্ধকারে নিমজ্জিত গ্রামে এদিক-ওদিক জ্বলে ওঠে কিছু আলোর বিন্দু। দিবাবসানের এমন মায়াময় দৃশ্য হেমন্ত ছাড়া অন্য সময় এতো মনোরম হয়ে দেখা দেয় না। [] :: লেখাটি আমাদের বিশেষ সংগ্রহ থেকে প্রকাশিত ---------------------------------------------------------------------------------- :: শ্রদ্ধাঞ্জলি :: হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রেরা আলমগীর কবীর এ দেশের সাহিত্যের যে কয়জন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ বাংলা সাহিত্যকে নিজেদের সৃজনশীলতায় সমৃদ্ধ করেছিলো, তাঁদের মধ্যে মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার অন্যতম।

উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, কবিতা দিয়ে এঁরা আমাদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৪ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর হাতে এ তিনজনই শহীদ হন। যে কারণে, এই দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয় দেশে। বিশেষ এ রচনাটির মধ্য দিয়ে আমরা আরেকবার তাঁদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। মুনীর চৌধুরী : মুনীর চৌধুরীর পুরো নাম আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।

শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী হিসেব তাঁর সুনাম রয়েছে। তিনি মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী তাঁর বড় ভাই এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফেরদৌসি মজুমদার তাঁর ছোট বোন। ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও ১৯৪৭ সালে মাস্টার্স করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় তিনি বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।

বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিকতা বাতিল করা হয়; তিনি পিতার আর্থিক সাহায্য থেকেও এ সময় বঞ্চিত হন। মুনীর চৌধুরী বেতারে নাটক লিখে টাকা আয় করতেন। খুলনা ব্রজলাল কলেজ, জগন্নাথ কলেজে চাকরি করার পর, তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৩ সালে রাজনৈতিক কারণে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থায় তিনি কবর নাটক রচনা করেন।

কারগারে থাকাবস্থায় ১৯৫৩ সালে বাংলায় মাস্টার্স পরীক্ষা দেন এবং এ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসলে, তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি, বাংলা বিভাগে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হন মুনীর চৌধুরী। তাঁর রচিত নাটকের মধ্যে রয়েছে রক্তাক্ত প্রান্তর, চিঠি, পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য, কবর, দণ্ডকারণ্য।

এছাড়া তিনি বেশকিছু অনুবাদ নাটক প্রকাশ করেছেন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে এ দেশের রাজাকাররা তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ০২. আনোয়ার পাশা : আনোয়ার পাশার জন্ম বর্ধমান জেলার বহরমপুরের ডবকাই গ্রামে। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে, তাঁকে মিরপুর বধ্যভূমিতে নিয়ে রাজাকার আলবদর বাহিনী হত্যা করেছিলো।

তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসের মধ্যে নীড় সন্ধানী, নিষুতি রাতের গাথা, রাইফেল রোটি আওরাত, এছাড়া তাঁর কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে নদী নিঃশেষিত হলে, সমুদ্র শঙ্খলতা উজ্জয়নী; গল্পগ্রন্থের মধ্যে নিরূপায় হরিণী, সমালোচনা গ্রন্থের মধ্যে সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল, রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা। সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমী মরণোত্তর সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন। ০৩. শহীদুল্লা কায়সার : শহীদুল্লা কায়সারের জন্ম ১৯২৬ সালে ফেনী জেলার মজমপুর গ্রামে। তিনি বাঙালি লেখক ও বুদ্ধিজীবী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সহযোগী আলবদরের হাতে অপহৃত হন।

ধারণা করা হয়, তিনি অপহৃতদের হাতেই নিহত হন। শহীদুল্লা কায়সার কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে ¯ স্নাতক ডিগ্রি নেন। মাস্টার্সে ভর্তি হলেও লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সমর্থ হননি। শহীদুল্লাহ কায়সার বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন।

দুবার বিয়ে করেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যমন্ত্রী আর আহমেদের কন্যা জোহরার সাথে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে, তিনি পান্না চৌধুরীকে বিয়ে করেন। পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁদের দুই সন্তান অমি কায়সার ও শমী কায়সার। শহীদুল্লা কায়সারের বিখ্যাত দুটি উপন্যাস সংশপ্তক ও সারেং বৌ।

বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৬২ সালে তিনি আদমজী পুরস্কার ও একই বছর বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। [] ---------------------------------------------------------------------------------- :: কবিতা :: সুমন আখন্দ-এর দুটি কবিতা সব হারিয়ে শব পাওয়া শবের সঙ্গে দেখা হয়, সবের সঙ্গে নয় মা আমার সব ছিলেন, তারপর হয়েছেন শব তাকে কবর দেয়ার মত মাটি আমার মাঝেই ছিল শুধু কষ্ট করে হৃদয় খুঁড়তে হয়েছিলো; গোরস্থান হবার পর সমাজে আর ঠাঁই হলো না একঘরে হয়েও আমার বাঁচার সাধ গেলো না! বদলিত হওয়ায় পরিচিতরা পদলিত করে পড়শিরা ঘুরে ঘুরে করে টিজ- শয়তানের থুতনিতে দাড়ি উঠেছে, মাথায় টুপি সতর্ক হও হে স্বর্গের অপ্সরী! বিকিনি পরা হুরের বিকিকিনি হয় কিনা আমি জানি না- জানে, সমাজের সর্বভূক মোড়ল এবং মসজিদের ভাড়াটে ইমাম। মা মারা যাবার পর বুঝেছি আমার সাথে ঈশ্বরের নাড়ির সম্পর্ক তারই স্বীকৃতি দিতে ধুলাবালি হয়ে নেমেছি পথে উড়ে যাবো যেখানে খুশি, হে পথ, থামো! শেষবারের মতো সতর্ক করি- আমার সবই তো গেছে, এবার একটু নড়ি-চড়ি! ০২. আমরা ওকে, সে তাকে- কামড়ে দিচ্ছি সুযোগ পেলে নেতা-মন্ত্রীদের কথা তো আগেই বাদ! লেখক-অধ্যাপক আর ভাদ্রের কুকুর উনিশ-কুড়ি, খুব একটা পার্থক্য নেই; এদের ধ্যানে-জ্ঞানে কোথাও নিরপেক্ষতা দেখি না- জ্ঞানের আলোটা যদি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় সারা আকাশে আগুন লাগায়, হয়তো দেখা যাবে নিরপেক্ষতা! এদের মাঝে রোগ ছড়াবার হিংস্রতা সহজলভ্য ফুল ফোটাবার ধৈর্য্য কারোরই নেই যা না-বোঝার আমি বুঝে গেছি- নিজের সাথে যুদ্ধ ছাড়া আমার মুক্তি নেই। [] :: সহকারী অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট > অভিসার ফরিদা ফারহানা নবো আলোর দীপ্তিময় শিখা নিয়ে পূবাকাশে আজ পুরোনো সূর্যটা দেখছি নতুন করে। প্রতিটা সুন্দর সকালের প্রত্যাশায় লিখছি তোমার দোরগোড়ায়- কেমন আছো স্বপ্নময় ভালোবাসার জানা-অজানা নানা কথার ভিড়ে, তোমার কথা মন বলে নিশিদিন।

তুমি কি কখনো ক্লান্ত পথিকের চোখে আশার আলো দেখেছো? আমার পথচলা তোমার সীমানা বরাবর হয়তো দিন শেষে তোমায় পাবো মুক্তোমালার মতো কিংবা হঠাৎ ঝড়ে থমকে দাঁড়াবো; জীবনের এই পথে এলে চাওয়ার কোনো কমতি নেই তবুও মনের জানালায় ছায়া পড়ে চাই একটুখানি ভালোবাসার অঞ্জলি। এখন ভাবনা মানে শুধু তার স্বপ্নগুলো মনের রঙে সাজিয়ে নিয়ে অজানা সুরে চলে যেতে চাই; কথামালায় তোমাকে চাই অনেকখানি বিশেষ দিনে বিশেষ করে চাই তোমার সবটুকু ভালোবাসা দিবে কি সাড়া মনের আঙিনায় ভালোর থাকার অপার। [] :: পান্থপথ, ঢাকা > একজন নারী খুঁজছি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন আমি একজন নারী খুঁজছি বন্য নারী নয়; সহজ-সরল পাহাড়ি নারী। যার গায়ে সভ্যতার আঁচড় লাগেনি সভ্যতার বিপুল পাপ যাকে স্পর্শ করেনি সেই রকম নারী। যার মাঝে পাহাড়ের বিপুল ঔদার্য আর নদীর বহমানতাই মুখ্য যে দুঃখে-কষ্টে শুধু হাসতে জেনেছে কাঁদতে জানেনি কভু।

যার মঝে এ সভ্য পৃথিবীর হিংসা-দ্বেষ নেই; সেই রকম নারী। দরকার নেই তার সভ্যধারার শিক্ষাদীক্ষা যে শিক্ষা মানুষকে ভালোবাসতে জানায় না যে দীক্ষা শুধু ঘৃণা করতে শিখিয়েছে যে সভ্যতা শুধু মানবতাহীন করেছে জাগিয়েছে নিরন্তর অবিশ্বাসের ভাব। আমার কথাই বলি- মানুষ হিসেবে আমি ভালো নই হিংসা-দ্বেষ মিশ্রিত এক পাপিষ্ঠ মানুষকে ভালোবাসতে জানিনে পাষাণ হিসেবে উচ্চতর ডিগ্রির অধিকারী। সভ্য জগতের কোনো নারীই ভাব জাগাতে পারেনি তাদের শরীরে শুধু মাংসের গন্ধ পাই ভালোবাসার গন্ধ যেখানে নিতান্তই মেকি! তাই একজন পাহাড়ী নারীর অপেক্ষায় যার ভালোবাসার নিষ্কলুষ বন্ধনে আমি প্রাণ পাবো আর নিজেকে ভাসিয়ে দেবো তার প্রেমের কল্যাণ স্রোতে। [] :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ---------------------------------------------------------------------------------- :: ইচ্ছেলিপি :: কথোপকথন নাসির আহমেদ - কবি, তুমি আকাশের বুকে স্বপ্নজাল বুনে-বুনে কী এমন সুখ পাও? কোন সে জাহাজ ভিড়াতে চাও স্বপ্নীল বন্দরে? আজ আমায় সব খুলে বলতে হবে।

: বেশ, তোমার ইচ্ছেই পূর্ণ হোক। শোনো তাহলে- আমি যে তেলহীন মাটির চেরাগ জ্বালিয়ে রাখি, তা কি তুমি স্বচোখে দেখেছো কখনো? - না, দেখিনি। : শব্দের গাথুনিতে যে পাহাড় গড়ে তুলি, তার উচ্চ শিখরে যখন পদচিহ্ন এঁকেছি, মনে পড়ে? - না, তাও মনে পড়ে না। : আলোকিত মানুষ দেখতেই কবির অনন্ত চেষ্টা, বুঝেছো নারী? - কিছুটা বুঝেছি। তারপরও কেমন যেনো গোলক ধাঁধার ভেতর ডুবে যাই।

এই যে, এইমাত্র নারী বললে আমাকে। নারী শব্দ উচ্চারণ না করে নদী বলতে পারতে! : বলি তো। কেনো, তুমি পড়োনি- নদী-নারী একই সূত্রে বাঁধি আমি। - বেশ, তাহলে এবার বলো। বৃষ্টির মুখরিত রিমঝিম শব্দকে নির্জনতার উপমায় ভাসাও কেনো? : বাউলের একতারা সুর যখন আমার মন শান্তিপুরের প্রান্তরে পতাকা ওড়ায়, তখন প্রাণপনে মহাকালের শূন্যতা পূরণে ব্যস্ত হয়ে যাই।

আলোর পরশ বুলাই মানুষের অন্তরে। সবাই যেনো ভ্রাতেৃত্বের বন্ধনে পথ চলি। - তাই বুঝি? অথচ তুমি এটা জানো না, উপেক্ষার অন্তহীন জ্বালার নিঃস্ব অসহায় রূপ দ্রুতবেগে তোমার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তোমাকে ক্ষত-বিক্ষত করতে চায়। : তাও জানি।

নতুন চর যেমন জেগে উঠেই স্বর্ণালি দিনের পানে মুখ তুলে চায়; তেমনই জীবনের তালি মারা পকেটে নাগের ফনায় হাত রেখেও আমি স্লোগান দিয়ে যাবো আমৃত্যু- ভালোবাসা দীর্ঘজীবি হোক। - তথাস্তু! আর্শীবাদ করি তোমায়, কবি। ০২. : বাতাস বইলে, গাছের পাতা কেমন করে নড়ে, লক্ষ করে দেখেছো কখনো? - হঠাৎ এ প্রশ্ন করলে কেনো? : করলাম এ জন্য যে- ভাবো তো, আমার হৃদয় একটা গাছ। তুমি বাতাস। কাছে এলে দোলা দাও, আমি অবচেতনেও নড়ে উঠি।

- অসুস্থ হয়ে যাও না তো! : তা কিছু যাই বৈকি। কিন্তু আমি এও জানি, শুশ্রষা তোমারই হাতে। আমার বুকের নিভৃতে ওই মিষ্টি মুখে কবিতার শব্দরা যখন পূর্ণিমার আলো-স্পর্শ করবে, তখন আমি আঁতকে ওঠে সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করবো। - তুমি উঠে দাঁড়ালেই যে, আবার মধ্যরাতে হাঁটবে কবিতার পথে। রঙ্গের ব্যঞ্জনায় অভিজ্ঞতাকে সাজিয়ে নীরব নদী, ছোট্ট সভ্য গ্রামের প্রস্তাব রাখবে কাগজে-কলমে।

: ঠিক তাই। কলমের ডগায় এলোমেলো ভাবনারা ঋতু বদলের খেলায় মেতে রবে। আমিত্বের দীর্ঘ ছায়াকে টেনে আকাশের নীল মেঘবলাকার সঙ্গে ভাসিয়ে নেবে। কখনো কখনো আমার হৃদপিণ্ডকে ছিদ্র করে অদৃশ্য রক্ত ঝরাবে। কোন সে শূন্যতার হাহাকার দোয়েলে শিসের সাথে অবিরত একাত্মতা ঘোষণা করবে, আমার জানবার কথা নয়।

- ওটা চিত্তের উত্তরাধিকার। শতো চেষ্টাতেও ওই অলংকার তুমি খুলে ফেলতে পারবে না, জনাব! : কবি বললে না কেনো? - ভুল হয়েছে। সমব্যথী আমি, কবি! আমায় ক্ষমা করো। [] :: বানরগাতি, মেটেপুল, খুলনা ---------------------------------------------------------------------------------- বন্ধুর কাছে মনের কথা মেয়েটির জন্য ছেলেটি নিঃস্ব হতে রাজি মো. জামসেদুর রহমান সজীব ঘুম চোখে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকাই। খুব পরিচিত একটা নম্বর ভেসে ওঠেছে স্ক্রিনে।

কলিং হচ্ছে মোবাইলে, কিন্তু শব্দ হয় না। সাইলেন্ট মুড অন করা। লাইনটা এক সময় কেটেও যায়। আবার কল আসে। আবার কেটে যায়।

কল-কল খেলা দেখি কিছুক্ষণ। ক্লান্ত হয়ে যাই। তবু কলটা রিসিভ করা হয় না! বিছানা ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে বেরিয়ে পড়ি বন্ধুদের উদ্দেশ্যে। ভবঘুরে জীবন আমার। একটু আড্ডা না দিলে বাঁচবো কেমন করে! একে একে সাতজন বন্ধু জড়ো হয়ে যাই।

জুড়ে দিই গল্প। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস উপচে পড়ে আমাদের মাঝে, কথার খই ফুটছে। ভালোলাগে খুব। কি যেনো কানে গেলো, হাসি পেলো খুব। হাসতে হাসতে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করি।

স্ক্রিনে চোখ পড়তেই ধীরে ধীরে হাসি উবে যায়। মলিন মুখটা যেনো কষ্টের রঙে রঙিন হয়... বন্ধুদের একলা করে এগিয়ে যাই সামনে। কল আসে ফোনে। কেটে দিই। নিজেই ফিরতি কল দিই সেই নম্বরে।

কল রিসিভ হতে সময় লাগে না। ওপাশে কান্নার রোল পড়ে যায়। কান্নার আওয়াজ, ফোঁপানি আর কোনো এক মায়াবী কণ্ঠের কারো না বলা আকুলতা ঝরে পড়তে থাকে। আমি কোনো কথা বলি না। চুপচাপ শুনে যাই।

ওপাশের মানুষটির কথা যেনো ফুরাতেই চায় না। বলতেই থাকে, বলতেই থাকে... ইশশ! এর কি কথা ফুরোবে না? না ফুরোক, আমি শুনবো। কিন্তু এরপরই লাইনটা কেটে যায়। ব্যালেন্স চেক করে দেখি নিঃস্ব আমি! হাঁটতে থাকি, বাজারের দিকে যেতে হবে। মোবাইলে কল আসে।

রিং বাজতে থাকে, আমার মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু রিসিভ করি না কলটা। মোবাইলের অপরপ্রান্তের মানুষটির জন্যে বলি- একটু অপেক্ষা করো, মোবাইলে ব্যালেন্স লোড দিয়েই তোমায় কল দেবো। তোমার সকল না বলা কথা শুনবো... [] :: চরনারায়নপুর, রাজবাড়ী ---------------------------------------------------------------------------------- আকাশলীনা] অগ্রহায়ণ ১৪১৮ :: নভেম্বর ২০১১ :: বর্ষ ০২ :: সংখ্যা ০৫ কৃতজ্ঞতা :: হিমেল অনার্য সম্পাদক :: নোমান ভূঁইয়া প্রধান সহকারী : আলমগীর কবীর সহযোগী :: জাহীদ ইকবাল, সাবরিনা আহমেদ, শফিক হাসান, মাহবুব আলম মাসউদ আহমাদ, সাফায়েত হোসাইন, মেহেদী ফেরদৌস প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও পষ্ঠাসজ্জা :: রঙছুট শব্দ বিন্যাস ও সমন্বয় :: সৈয়দা সুধন্যা সার্বিক ব্যবস্থাপক :: সাইফুল আমিন যোগাযোগ :: +88 018 18731377 http://www.facebook.com/akashlina.mag মূল্য :: ১০ টাকা সম্পাদক ও প্রকাশক নোমান ভূঁইয়া কর্তৃক সার্কুলার রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত; এবং হাতিরপুল, ধানমণ্ডি, ঢাকা ১২০৫ থেকে মুদ্রিত। ================================================ দ্রষ্টব্য : মূল কাগজে প্রকাশিত সকল লেখা ব্লগে প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে, আমরা দুঃখিত।

-সম্পাদক। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।