অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন প্রবাসী অধ্যূষিত,হযরত শাহজালালের পদস্পর্শে ধণ্য পূণ্যভূমি,সবুজের শ্যামলিমায় ঢাকা সিলেট নগরী দিন দিন মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে । দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই শহরের অধিবাসীরা বাস করছেন নানাবিধ সমস্যার মধ্যে । অপরিকল্পিত নগরায়ণ,অপরিসর রাস্তা,বিপণীবিতানের আধিক্য,যানজট,বিদ্যুত্ ও পানির সমস্যা সিলেটবাসীর জন্য এখন মরণকাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে ।
গত ৫ বছয়ে সিলেট নগরীতে লোকসংখ্যা বেড়েছে অনেক । এত লোকজনকে ঠাঁই দিতে গিয়ে সূত্রপাত হয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়ণের । এক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে সিলেটের হাউজিং ও রিয়েল এস্টেট কোম্পানীগুলো । আর এতে পূর্ণ সহযোগিতা দিয়ে গেছে সিটি কর্পোরেশন । দেশের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প এলাকায় ভবন নির্মাণ বা আবাসন ব্যবস্থা কোডের কোন তোয়াক্কা না করে এসসিসি একের পর এক ভবন ও প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে গেছে ।
সিলেট নগরী এখন যানজটের জন্য দারুণ বিখ্যাত । নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও পয়েন্টগুলো প্রতিদিন নাকাল হতে হচ্ছে জনসাধারণকে । নগরবাসীদের অনেকেই এজন্য রিক্সা,ইজিবাইকের মত পরিবহন ও নগরীর মধ্যে অবস্থিত স্কুলগুলোকে দায়ী করেছেন । অনেকেই বলেন যে আনন্দনিকেতন,স্কলার্সহোম,ব্লুবার্ডের মত অভিজাত স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশই প্রাইভেট গাড়িতে করে আসা যাওয়া করে । কিন্তু এসব স্কুলগুলোর কোনোটিরই পাকিং ব্যবস্থা নেই ।
এতে করে এসব স্কুলের সামনে ক্লাস শুরু ও ছুটির সময় তীব্র যানজট দেখা দেয় । এছাড়াও নগরীর আম্বরখানা,জিন্দাবাজার,চৌহাট্টা,বন্দর এলাকার জ্যামের জন্য দায়ী অবৈধ অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ও ফুটপাতের হকাররা । এসব হকার ও স্ট্যান্ডের লোকজনের কথা বলে জানা যায়,পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলকে ম্যানেজ করে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন । তারপর আছে ভারী পণ্যবাহী ট্রাক । দুপুরের পর থেকে বিশেষ করে বিকেল পাঁচটার দিকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট এসব ট্রাকের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়ে ।
সিলেটের সচেতন নাগরিক সমাজ,কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব ব্যাপারে নজর দিতে সিলেটের নগরপিতা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি প্রতিনিয়ত অনুরোধ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না । অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব দেখার কেউ নেই । এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সিলেট নগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।