সবাইকে সাথে নিয়ে এগুতে চাই। ধূমপান একটি মারাত্মক ব্যাধি, অত্যন্ত ক্ষতিকর ও বিপদজনক রোগ। কিন্তু তিক্ত হলে ও সত্য বর্তমান দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এ ধরনের একটি মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত। এর ভয়ানক পরিণতি সম্পর্ক জানে না, এমন লোক খুবই কম আছে। ধূমপানের ক্ষতি এবং পরিণতি সম্পর্কে জানার পর, তা হালাল বলার কোন অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না।
ধূমপানকারী দেশে সমাজে সর্বমহলে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবেই চিিহৃত হয়। যে ধূমপানের মত বদঅভ্যাসে আক্রান্ত, তাদের যে সব সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় তা এখানে আলোচনা করা দরকার। নিম্নে এর কয়েকটি পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১- ধূমপান আল্লাহর নাফরমানি এবং তার হুকুমের অবাধ্য হওয়া। আল্লাহ নিশ্চয় তাকে শাস্তি প্রদান করবেন।
২- আল্লাহ তাআলা ধূমপান এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ঘৃণা করেন ।
৩- ধূমপানকারী ফেরেশতাদের কষ্ট দেয়।
৪- যে সব ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ ধূমপান করে না, সে তাদের কষ্টের কারণ হয়।
৫- ধুমপান নির্মল পরিবেশকে দূষিত করে।
৬- ধূমপান অযথা খরচ, এতে কোন দুনিয়া ও আখেরাতের বিন্দু পরিমাণও উপকার হয় না।
৭- আর ধূমপান হল অপচয়, আল্লাহ তাআলা অপচয় করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি বলেন: তোমরা অপচয় কর না, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।
৮- এটির মাধ্যমে মন্দ এবং খারাপ কাজে সহযোগিতা হয়। আল্লাহ বলেন: তোমরা ভাল ও তাকওয়াপূর্ণ কাজে সহযোগিতা কর, আর মন্দ ও খারাপ কাজে সহযোগিতা কর না।
৯- ধূমপান দ্বারা ইসলামের দুশমনদের ইসলামের বিপক্ষে সহযোগিতা করা।
১০- ধূমপানকারী গুনাহের কাজকে হালকা করে দেখে। আর এ কথা আমাদের সকলের জানা, গুনাহকে হালকা করে দেখা সাধারণ গুনাহ অপেক্ষা বড় পাপ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমার সকল উম্মতকে ক্ষমা করা হবে, তবে যারা গুনাহকে খাট করে দেখে তারা ব্যতীত।
১১- ধূমপানের সকল সামগ্রী নাপাক ও দুর্গন্ধময় এবং ধূমপানকারীকেও এভাবে নাপাক ও দূর্গন্ধময় করে ।
১২- ধূমপান দ্বারা অনর্থক কাজে মানুষের সময় নষ্ট হয়।
১৩- আর যারা ধূমপানের লেনদেন করে, তারা সাধারণত ইসলামের দুশমনদের সাথে সাদৃশ্য রাখে। কারণ,ধূমপানের আবিষ্কার সর্ব প্রথম কাফেরদের দেশেই হয়।
১৪- ধূমপান একজন মানুষের সম্ভ্রম হনন করে, সম্মান হানি ঘটায়।
১৫- ধূমপান একজন মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিলোপ করে এবং তা তার নির্বোধ বা জ্ঞান-হীন হওয়াকেই বুঝায়। কারণ সে নিশ্চিত জানে যে ধূমপান তার জন্য ক্ষতিকর, তার পরও সে পান করে।
এতে তার বোকামীই প্রকাশ পায়।
১৬- ধূমপানকারী তার ছেলে সন্তান এবং উত্তরসূরীদের জন্য একজন আদর্শহীন ব্যক্তিতে পরিণত হয়।
১৭- আর ধূমপানকারীর জন্য ইবাদত-বন্দেগী করা কঠিন হয়।
১৮- এ কাজটি ধূমপানকারীকে ইল্ম এবং যিক্রের মজলিশ হতে দূরে রাখে এবং তাকে এ ধরনের মজলিশে উপস্থিত হতে দেয় না।
১৯- ধূমপান মানুষকে খারাপ মানুষের সাথে উঠা বসায় বাধ্য করে।
২০- ধূমপানের অভ্যাস একজন মানুষকে রোযা রাখা হতে বিরত রাখে। কারণ, রোযা রাখলে সে ধূমপান করতে পারে না।
২১- ধূমপানের মাধ্যমে যেসব উপার্জন হয়, তা সম্পূর্ণ হারাম। কারণ, ধূমপানের ব্যবসা করা এবং এর লেনদেন সম্পূর্ণ হারাম।
২২- ধূমপান মানুষের অপমৃত্যু ঘটায়।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেন যে, সমগ্র পৃথিবীতে ধূমপানের কারণে যত বেশি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে অন্য কোন রোগ-ব্যাধির কারণে তত বেশি অপমৃত্যু ঘটে না।
২৩- ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার, শরীরে তাপ, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদি রোগব্যাধি দেখা যায়।
২৪- ধূমপানের কারণে কণ্ঠনালিতে ক্যান্সার হয়।
২৫- ধূমপানের কারণে রক্তনালিগুলো দুর্বল হয় এবং অনেক সময় একজন ধুমপায়ীর রক্তের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২৬- এটি স্মরণশক্তি কমিয়ে দেয় এবং মনোবল দুর্বল করে দেয়।
২৭- ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দুর্বল করে; বিশেষ করে ঘ্রাণ নেয়া এবং স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা লোপ পায়।
২৮- অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়।
২৯- মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বার বার সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়।
৩০- হার্ডের সাথে সম্পৃক্ত ধমনিগুলো ব্লক হয়ে যায়।
৩১- বক্ষ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৩২- রক্তের উচ্চ চাপের কারণ হয়।
৩৩- যৌনশক্তি বিলুপ্ত হতে থাকে।
৩৪- হজমশক্তি কমায় এবং ধারণক্ষমতা লোপ পায়, আর তার শরীর ঢিলে হয়ে যায়।
৩৫- ধূমপায়ী সব সময় দুর্বলতা অনুভব করে এবং আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
৩৬- ধূমপানকারীর ঠোঁটে মুখে জিহ্বা গলনালি ইত্যাদিতে ক্যান্সার হয়।
৩৭- পাকস্থলী ক্ষত হতে থাকে।
৩৮- ধূমপানের কারণে যকৃৎ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩৯- ধূমপানের কারণে মুত্রথলিতে ক্যান্সার হয় এবং মুত্রথলি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়।
৪০- কিডনিতে ক্যান্সার হয়।
৪১- পেশাব বিষাক্ত হয়।
এতকিছুর পরও একজন জ্ঞানী লোকের জন্য ধূমপান করা উচিত .............?
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।