কাঁচাপাকা রাস্তার ঠিক মাঝামাঝি, সাইকেলে বসে ছিল নৌকার মাঝি। আজকে একটা লেখা চোখে পড়ল, জনৈক ব্লগার লিখেছেন কোন এক হার"বালীয়" ওয়েবসাইটের রেফারেন্স থেকে অনুপ্রানীত হয়ে-- ধূমপায়ী ভাই(বোন আছে কি না জানিনা)দের জন্য একটি পোস্ট ।
তিনি ধুমপানের ১০টি উপকারী দিক খুজে পেয়েছেন।
১। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ (information process) ক্ষমতা দ্রুত হয়।
২। নিকোটিন scopolamine(এর অর্থ আমি সঠিক জানিনা,তবে ক্ষতিকর কিছু একটা) ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
৩। ধূমপান মানুষের motor skill বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
৪। ধূমপায়ীরা অপেক্ষাকৃত দাঁতের অসুখে কম ভোগে।
৫। ধূমপায়ীদের postoperative deep vein thrombosis(এর অর্থও আমি সঠিক জানিনা,কোন ডাক্তার ভাই পারলে একটু বলে দিয়েন) এ ভোগার সম্ভাবনা কম
৬। ধূমপায়ীরা অপেক্ষাকৃত কম hypertension e ভোগে।
৭। ধূমপায়ীদের রক্তের লোহিত কণিকায় অপেক্ষাকৃত বেশী পরিমাণ glutathione, catalase থাকে যা O2(dioxide) ক্ষতিকর দিক গুলো থেকে আমাদের রক্ষা করে।
।
৮। ধূমপায়ীদের পারকিন্স নামক রোগটা কম হয়।
৯। ননস্মোকারগুলা তুলনামুলক বেশি লুল-প্রজন্ম৮৬
এছাড়া আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে যে ,ধূমপান কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি উত্তম সমাধান।
ধূমপায়ীদের বমি কম হয়।
আসুন দেখি মেডিকেল সাইন্স কি বলে----
১। নিকোটিন একটি ড্রাগ যা কেন্দ্রীয় স্নায়ীতন্ত্রের উপর সরাসরি কাজ করে। কি কি কাজ করে দেখুন-- নিকটিন ইউফোরিয়া এবং রিলাক্সেশন করে এবং এডিকশন তৈরী করে, এই একই কাজ করে হেরোইন এবং কোকেইন। ফলে এক ধরনের ভাল লাগা অনুভুত হয় (বাংলায় যেইটারে পিনিক কয়)।
এবং এই পিনিক কোনভাবেই তথ্যবিশ্লেষন ক্ষমতা বাড়ায় না বরং কমায়।
সিগারেটে শুধু নিকোটিন থাকলে কথা ছিল, আছে অন্যান্য এলকালয়েড যা নিকোটিনের ক্ষমতা কে আর বাড়িয়ে দেয়। তবে অল্প মাত্রায় দ্রুত কয়েক পাফ সিগারেট রক্তে স্বল্প পরিমান নিকোটিন প্রবেশ করায় যা সিগারেট পানকারীকে তাৎক্ষনিক উত্তেজনা, অ্যালার্টনেস প্রদান করতে পারে।
২। নিকোটিন এবং স্কোপোলামিন ২টি বিপরীত ধর্মী ড্রাগ।
তাই তাদের ফলাফল ও বিপরীত। তবে সিগারেটের মাধ্যমে নিকোটিন যেহেতু অহরহ ব্যাবহার করা হয় সেরকম স্কোপোলামিন ব্যবহার হয় না। এটি শুধু ওষুধ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া নিকোটিন সরাসরি স্কোপোলামিনের ক্ষতিকর প্রভাব কাটাতে পারে না।
৩।
মটর স্কিল বলতে মাংসপেশী নড়াচড়া জনিত দক্ষতা বোঝায়। বেশী ডোজে নিকোটিন প্যারালাইসিস করতে পারে, আর রেস্পিরেটরি প্যারালাইসিস হয়ে শ্বাসকষ্টে মারা যেতে পারে। অল্প ডোজে মাংসপেশীর উপর নিকোটিনের তেমন কোন প্রভাব নেই। তবে নিকোটিন ক্ষুধা কমায় এবং মেটাবলিজম বাড়ায় তাই ওজন কমে যেতে পারে।
৪।
দাতের উপর ধুমপানের প্রভাব দেখুন--
১। Bad breath
২। Tooth discoloration
৩। Inflammation of the salivary gland openings on the roof of the mouth
৪। Increased build up of plaque and tartar on the teeth
৫।
Increased loss of bone within the jaw
৬। Increased risk of leukoplakia, white patches inside the mouth
৭। Increased risk of developing gum disease, a leading cause of tooth loss
৮। Delayed healing process following tooth extraction, periodontal treatment, or oral surgery
৯। Lower success rate of dental implant procedures
Increased risk of developing oral cancer
৫।
ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস এর একটি রিস্ক ফ্যাক্টোর (মানে অন্যতম প্রধান কারন) হল ধুমপান। ধুমপায়ী দের অপারেশনের পরে রক্তনালীতে রক্তজমাট বাধার প্রবনতা (ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস) দেখা দিতে পারে।
৬। নিকোটিন শরীরে অ্যাড্রেনালীন এর পরিমান বাড়ায় ফলে হার্ট রেট, ব্লাড প্রেসার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং দীর্ঘদিন নিকোটিন সেবন পাকাপাকি ভাবে উচ্চরক্তচাপ এবং স্ট্রোক ঘটাতে পারে।
৭। ধুমপায়ীদের রক্তে গ্লুটাথিওন এবং ক্যাটালেজ বেশী থাকে এই পর্যন্ত ঠিক আছে তবে সেটি যতটা না অক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে (রক্ষার মেকানিজম আগে থেকেই ছিল) তার চেয়ে বেশী ক্ষতি করে এম্ফাইসেমা, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস এবং পেরিওডোন্টাল ডিজিজ এর মাধ্যমে।
৮। এই কথাটি সত্য, ধুমপায়ীদের পারকিনসন্স ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
৯।
লুলদের ব্যাপারে বলি। কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি লেভেল জরিপ চালালে দেখা যাবে ৭০-৮০% এর বেশী ছেলে ধুমপায়ী। দেশের এত বিরাট অংশ যদি লুল না হইয়া ভদ্র হইত তাইলে ইভ টিজিং শব্দটাই মনে হয় বিলুপ্ত হয়ে যেত!
১০। ধুমপান খাইলে কোষ্টকাঠিন্য কমে এই ব্যাপারে একটা মজার তত্ত্ব দেই। হেরোইনখোর রা সময়মত হেরোইন খাইতে না পারলে হাত পা কাপে, এক ধরনের চুলকানী হয়।
হেরোইন খাইলে ঠিক হয়ে যায়। সেই হিসাবে কেঊ যদি বলে হেরোইন হইল চুলকানীর ওষুধ তাইলে তারা আমার বলার কিছু নাই! ধুমপান যারা ছাড়তে চায় প্রথম দিকে তাদের কিছুটা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
এইবার একটা ২টা লিস্টি দেই দেখেন ধুমপান কি ক্ষতি করে--
1. Stained teeth, fingers, and hair
2. Increased frequency of colds, particularly chest colds and bronchitis
3. Asthma
4. Neuralgia
5. Gastrointestinal difficulties, constipation, diarrhea, and colitis
6. Headaches
7. Nausea
8. Convulsions
9. Leukoflakia (smoker's patch)
10. Insomnia
11. Heart murmur
12. Buerger's disease (inflammation of blood vessel linings)
13. Shortness of breath
14. Arthritis
15. Smoker's hack
16. Nervousness
17. Wrinkles and premature aging
18. Tension
19. Gastric, duodenal, and peptic ulcers
20. Lung cancer
21. Cancer of the lip, tongue, pharynx, larynx, and bladder
22.Emphysema
23.High blood pressure
24. Heart disease
25. Artherosclerosis & arteriosclerosis (thickening and loss of elasticity of the blood vessels with lessened blood flow)
26. Inflammation of the sinus passages
27. Tobacco angina (nicotine angina pectoris)
28. Pneumonia
29. Influenza
30. Pulmonary tuberculosis
31. Tobacco amblyopia
32. impared hearing
33. Decreased sexual activity
34. Mental depression
লিস্ট ২-
Lung cancer
Cancer of the mouth
Cancer of the throat
Cancer of the larynx
Cancer of the oesophagus
Stomach cancer
Kidney cancer
Cancer of the bladder
Cancer of the pancreas
Liver cancer
Cancer of the penis
Cancer of the anus
Cervical cancer
Prostate cancer
Heart attack
Coronary heart disease
Cardiovascular disease
Congestive heart failure
Stroke
Atherosclerosis
Abdominal aortic aneurysm
Peripheral artery disease
Ischaemic heart disease
Angina
Leukaemia
Emphysema
Chronic bronchitis
Pneumonia
Asthma
Diabetes
Stomach ulcers
Cataracts
Gum disease
High blood pressure
Crohn's disease
Premature aging of the skin
Loss of smell and taste
Osteoporosis (women)
Gangrene
Impotence
Reduced fertility
এইবার কয়েকটা ছবি দেখেন।
ডানের ছবিটি ধুমপায়ীর।
এরপরেও যদি ধুম্পানের হাউশ থাকে তাইলে ভাই খান, কিন্তু অন্য মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সেভাবে খান।
সারা পৃথিবীর শুধুমাত্র ভাল খবরগুলো পড়ার জন্য ভিজিট করুন আমার নিউজ ব্লগ সুখবরে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।