সাম্প্রতিক মহাধসের পর কার্যকর ব্যবস্থাসহ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) পুনর্গঠনের জন্য আইন পরিবর্তন না করায় পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। আর এর পেছনে রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক জরিপ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশে ৭০ জন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও উদ্যোক্তাদের মতামত নেওয়া হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অভিমত, ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে বাজারে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে ৮২.৮ শতাংশ সূচক বাড়ানো হয়। এতে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট করে বাজারে আসে। ওই সময় মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে সূচক ৫২০০ থেকে ৮৯১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর আগে সূচক স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে ছিল। জরিপে অংশ নেওয়া ৫৯ শতাংশ মনে করে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম থাকলেও মানতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা না থাকায় এর সুযোগ নিয়েছে কারসাজির সঙ্গে জড়িতরা।
৭৬ শতাংশ মনে করে দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী।
জরিপ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সালের শেষে দেশের পুঁজিবাজারে মহাধসের পর যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও এসইসি পুনর্গঠনের আইন বা বিধি পরিবর্তন করা হয়নি। নতুন কমিশন গঠনের কথা বলা হলেও কয়েকজন কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে মাত্র। পুনর্গঠনের অর্থে যেসব আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে কারসাজিকারীরা তা পরিবর্তন করা হয়নি। এমনকি ছয় মাস কেটে গেলেও এর অগ্রগতি নেই।
যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে বাজারে। এ বিষয়ে সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাজারধসের পরে দৃশ্যমান কিছু নিয়ন্ত্রকমূলক ব্যবস্থা নিয়েই কাজ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। বাজারকে স্থিতিশীল কিংবা শক্তিশালী করতে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আইনকে দ্রুত পুনর্গঠন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।