বুধবার তিনি সংসদে বলেছেন, “অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি জানাতে চাই যে, আমরা বাজারটিকে স্থিতিশীল করেছি এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন সর্বসম্মতভাবে সাধনের পদক্ষেপ নিয়েছি। ”
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
২০০৯ এবং ২০১০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ছিল অস্থির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ মূল্যসূচক বাড়তে বাড়তে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ৮,৯১৮ পয়েন্টে উঠেছিল। ওই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।
এর পরপরই বাজারে ধস নামে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নামেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুনর্গঠনসহ সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও বাজারের ধস ঠেকানো যায়নি।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ছিল ৪৬৬০ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৪৬৬ কোটি টাকার শেয়ার।
গত পাঁচ মাস ধরে এই সূচক ৪০০০ থেকে ৪৬০০ পয়েন্টে ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রতিবেদনে পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, “২০১০ সালের শেষে আমাদের পুঁজিবাজার ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত হয়। এরপর আমরা পুঁজিবাজার সংস্কারে মনোনিবেশ করি। নানা আইন-কানুন, বিধি-বিধান এবং প্রচলিত আচার-আচরণ সংস্কারে আমরা প্রায় তিনটি বছর অব্যাহত প্রচেষ্টা রাখি। ”
এক্ষেত্রে বিএসইসির তৎপরতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমাদের কমিশন এখন আন্তর্জাতিকভাবে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে এবং সত্যিকার অর্থে এখন শক্তিশালী একটি পুঁজিবাজারের সৃষ্টি হয়েছে।
”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।