বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে ধরে আনতে পারবে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত সংস্থার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী এ কথা জানান।
তারেক রহমানকে দেশে আনা প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, ‘এটি দুদকের এখতিয়ার নয়। বিষয়টি দেখবে আদালত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমান সম্পর্কে দুদকের জানার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি রয়েছে। ফলে আগে বলা হয়েছিল তাঁকে বিদেশ থেকে দুদক গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনবে। আসলে কাউকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দুদকের নেই। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হয়। ’
পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, ‘কানাডা থেকে দুদক কোনো তথ্য-উপাত্ত এখনো পায়নি।
আইনে বলা আছে, তারা (কানাডা কর্তৃপক্ষ) কাউকে তথ্য দিতে বাধ্য নয়। দুদকের প্রতিনিধিদল চেষ্টা করেছে তথ্য পাওয়ার। ’
সচিব বলেন, ‘দুদকের প্রতিনিধিদল আরও পাঁচ দিন কানাডায় অবস্থান করলে প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয় হতো। তাই তাঁরা দ্রুত দেশে ফিরে এসেছেন। ’
দুদকের অনেক মামলায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার দুর্বলতা ও গাফিলতির কারণে আদালত থেকে আসামি খালাস এবং মামলা বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এ পর্যন্ত ২৪ জন দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ছয়জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, সাতজনকে অপসারণ, পাঁচজনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং ছয়জনকে পদাবনতি (ডিমোশন) দেয়া হয়েছে।
জুন মাসে দুদকের কার্যক্রম তুলে ধরে সচিব জানান, ওই মাসে ৯১৯টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে আমলে নেওয়া হয়েছে ১২২টি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে ২৬টি। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ১৩টি গ্রহণ করা হয়েছে।
একই মাসে ১৮ জনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা দায়ের হয়েছে। ৪৮ মামলায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে ২৫টি মামলা। আদালতে জুন মাসে সাতটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।