বৃহস্পতিবার দুদকের মাসিক ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সংস্থার সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, তারেক রহমানের অর্থ পাচার মামলা পরিচালনা করলেও তাকে গ্রেপ্তারের সুযোগ দুদকের নেই।
“এক্ষেত্রে (তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার) আমাদের সিদ্ধান্তের কোনো স্কোপ নেই। এই দায়িত্ব আমাদের নয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আমাদের দায়িত্ব মামলা পরিচালনা করা। ”
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে ‘তথ্য বিভ্রাট’ রয়েছে মন্তব্য করে ফয়জুর রহমান বলেন, “গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুদক গ্রেপ্তার করবে।
কিন্তু এটা সঠিক নয়। যে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের।
“আমরা কাউকে অ্যারেস্ট করতে পারব না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি চায় তাহলে তাদের সহযোগিতা করতে পারব। ”
টঙ্গীতে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে ঠিকাদার নির্মাণ কন্সট্রাকশনসের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেকের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে দুদক।
তারেক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে আসামী করে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা ওই মামলার বাদি ছিলেন দুদকের তখনকার উপপরিচালক মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
২০১০ সালের ৬ জুলাই এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০১১ সালে তারেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এরপর দুদকের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২৬ মে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেককে গ্রেপ্তারে আবারো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সেনাসমর্থিত অস্থায়ী সরকারের আমলে ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারেক।
প্রায় দেড় বছর কারাগারে থাকার পর ২০০৯ সালে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে জামিন নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।