ইংল্যান্ডে প্রচণ্ড তাপদাহে গত নয়দিনে ৭৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আর ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলেই সরকারের পক্ষ থেকে চার নম্বর জরুরী সতর্কতা জারি করা হবে।

গতকাল টানা ষষ্ঠদিনের মতো ইংল্যান্ডে দিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রেকর্ড করা হয়।

যা গত সাত বছরের ইতহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকেল মেডিসিনের পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রচন্ড তাপদাহের কারণে প্রথম নয়দিনে শুধু ইংল্যান্ডেই ৫৪০ থেকে ৭৬০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর এই তাপমাত্রা যদি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে তাহলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তাপদাহের ফলে তিন নম্বর সতকর্তার মানে হলো, গরম আবহাওয়ার কারণে বিভিণ্ন ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা। একই সঙ্গে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর জন্য সামাজিক ও স্বাস্থ্যসেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা।



গত নয়দিনে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবহার অন্যান্য সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি নির্বাহী সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে বারবার জনসাধারণকে গরম আবহাওয়ার কারণে নানা ধরনের শারিরীক সমস্যা হতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। সংস্থাটি লোকজনকে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাইরে বের না হতে বলছে। এমনকি কায়িক প্ররিশ্রম না করতেও বলছে। একই সঙ্গে লোকজনকে ঢিলেঢালা সুতি কাপড় পরিধান করতে ও প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছে।


যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কেন্টে রেকর্ড করা হয়। এরপরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০০৬ সালে। সে সময় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ।