আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেওক্রাডং - তাজিংডং - সাকাহাফং সহ বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় গুলোর প্রকৃত উচ্চতা কত ?

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া কোনটি এটি নিয়ে পাহাড় নিয়ে সমান্য জানা শোনাও যাদের আছে তাদের আর দ্বিমত নেই। কেওক্রাডং বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় না! তাজিংডং ও না!! এ নিয়ে একটা পোস্ট ও দিয়েছিলাম। সবচেয়ে উঁচু চুড়ার নাম সাকাহাফং বা মদক তুং । নাম যাই হোক, মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মদক রেঞ্জের এই পিকটির অবস্হান বা পরিচয় এখন পাহাড় প্রেমীদের সবার কাছেই জানা। তবে সমস্যা হচ্ছে এর উচ্চতা নিয়ে।

দেশি অভিযাত্রীদের প্রথম দল জিপিএস – এ যে রিডিং পায়, তাতে দেখা যায় এর উচ্চতা : ১০৫৫মিটার বা ৩৪৬০ ফুট। দলের অন্যতম সদস্য সজল খালেদের বিডিনিউজ -এ পোষ্ট করা একটি লেখায় এটি দেখা যায় । নীচের ছবিটি ইয়াহিয়া খান সাহেবের অভিযানের সময়ের, ছবিটি সজল খালেদ প্রকাশ করেছেন বিডিনিউজ - এ আবার রনি-সালেহীনদের সাথে যাওয়া বিদেশী আরোহীর (Lyngve Skrede) রিডিং ১০৬৩ মিটার । যা প্রায় ৮ মিটার বা ২৬ ফুটের চেয়েও বেশী। উপরের ছবিটি Lyngve Skrede এর অভিযানে তোলা।

তিনি জানুয়ারী ২০১১ তে সেখানে সফর করেন অন্যদিকে 1:250,000 US Army Topographic (Series U502, U.S. Army Map Service, 1955) and 1:200,000 Soviet Military Topographic map. – এতে দেখা যায় মদকের চুড়াটি ৩৪৫৪ ফিট এটাও GPS ডেটার সাথে খুবই মিলে । বাংলাদেশের ২য় / ৩য় উচ্চতম পাহাড়ের উচ্চতা কত? দুমলং বাংলাদেশের ৩য় বা ২য় সর্ববোচ্চ চুড়া । অনেক দিন থেকেই এডভেন্চার কম্যুনিটির লোকজন একে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চুড়া হিসেবেই জানত। নেচার এডভেন্চার ক্লাবের প্রধান ওয়াদুদ মহসিন রুবেল ফেব্রয়ারী ২০, ২০১১তে প্রথম এতে অভিজান চালান এবং তার জিপিএস রিডিং আসে ৩৩১৪ ফুট। এরপর অভিযান চালায় জাকিউল দ্বীপ, তার জিপিএস রিডিং দেখ যায় ৩৩১০ ফুট ।

(http://www.panoramio.com/photo/75204659 ) দুটি রিডিং -ই কাছাকাছি । কাজেই ধরে নেওয়া যায় খুব একট হেরফের হবে না এই ফলাফলে। কিন্তু মুগ্ধ – সুজন ( ডা: তাশদিদ রেজওয়ান মুগ্ধ ও তরিকুল আলম সুজন ) এর শেষ অভিযানে, দেখা যায় জ-ত্লং দুমলং থেকেও উচু (৩৩৫০ ফুট) । যদিও এটাই এখন পর্যন্ত জ-ত্লং এ একমাত্র অভিযান এবং একমাত্র জিপিএস রিডিং তাই সম্ভবনা থাকছেই কিছু কম বেশী হওয়ার । বাংলাদেশের এডভেন্চার ইতিহাসের কালজয়ী এই অভিযানে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মুগ্ধ-সুজনের মৃত্যুর পর একই অভিযানের অপর দুই সদস্য সালেহীন আর মাইনুল অনেক দিন মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়েছেন হাসপাতালে।

সে বেদনার স্মৃতি আজকের লেখার বিষয় নয়। কিন্তু জ-ত্লং এর কথা আসলে ওদের কথা না বলেও কিছু লেখা সম্ভব নয় । তাদের এই কালজয়ী অভিযান আর অসামান্য অর্জনকে চিরদিনের জন্য জানাই শ্রদ্ধা সন্মান আর স্যলুট। Reff : banglatrek.org/ কেওক্রডং ৪র্থ বা ৫ম ! কোন কোন জিপিএস রিডিং-এ একে পাওয়া গেছে ৫ম স্হানে ! তবে এ নিয়ে আরো অনসন্ধান প্রয়োজন । যাই হোক "কেও" এর অবস্হান ৪ এর উপর না কোন ভাবেই! “কেওক্রাডং ” এর উপরের ফলকেও লেখা আছে এটা ৩১৭২ ফুট ।

আর এই উচ্চতা গুলো আর্মির সার্ভে যন্ত্রপাতির সাহায্যে মাপা এবং খুবই সঠিক মাপ দেয়। আর Lyngve Skrede পেয়েছেন ৯১৫ মিটার : আর এত নাম ডাক ওয়ালা পাহাড় তাজিংডং বাংলাদেশের উচু দশটি পাহাড়ের মাঝেও নেই! এই নিয়ে একটি পোষ্ট : তাজিংডং বাংলাদেশের উচু দশটি পাহাড়ের মাঝেও নেই! অন্যদিকে Lyngve Skrede আর তাজিংডং নিয়ে বলেছেন : "According to many sources and maps, Tajingdong is in fact the highest peak of Bangladesh, but it's height on the map (1280m) is almost mistaken by 400 meters. So in reality Tajingdong gets far down the list, being only 870 meters. " কাজ চলছিল বান্দরবনের একটা ট্রেকিং ম্যাপ তৈরী নিয়ে। আকাশ ভাই, রাতুলবিডি আর রাহাতের এর সাথে আরো আছে সজ্জাদ, আবু বকর, সালেহীন । আরো অনেকের সাথেই কাজ করতে চাচ্ছি একটা ভাল গ্রহনযোগ্য রেজাল্ট পাওয়ার জন্য। আর এর একটা প্রাথমিক চ্যালেন্জ বিভিন্ন ডেটা থেকে নিয়ে পকৃত উচ্চতা টা ম্যাপে বসান ।

আর এ বিষয়েই সাহায্য চাইছি সবার : বিষয়টার সুরাহা করা যায় কিভাবে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.