আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুতুলের চোখে জল

su]রফিকুল ইসলাম ঃঃঃঃঃ_____ সায়মা হোসেন পুতুল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। কানাডায় বসবাস করলেও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসহায় শিশুদের কল্যাণে ছুটছেন তিনি। উন্নত শিক্ষাজীবন শেষ করেই সমাজ হিতৈষী হিসেবে পুতুল ভূমিকা রাখতে শুরু করেন অটিজম বা স্নায়ু বৈকল্য শিশুদের জন্য। অটিজমদের কল্যাণে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বজুড়েই এখন পুতুলের পদচারণা।

অবহেলিত অটিজমদের জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন নিরন্তর। মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছেন পুতুল। কানাডা থেকে পুতুল যখনই ঢাকায় আসেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অটিজম কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। পুতুলের অনুরোধে বাংলাদেশে অটিজমদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। অটিজমদের নিয়ে গতকাল ঢাকায় যে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলো তার অন্যতম রূপকার সায়মা পুতুল।

প্রায় এক বছর আগে থেকেই কাজ করে আসছিলেন তিনি। এ সম্মেলন সফল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রাণ গোপাল দত্তকে আহ্বায়ক করা হয়। ড. প্রাণ গোপালের সঙ্গে চমৎকার সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কাজ করেন পুতুল। গতকাল অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অটিজম সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক হিসেবে শুধু সফলই নয়, ভারত-বাংলাদেশের একশ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে পুতুলের এখন আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস জোটের শীর্ষনেত্রী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হওয়ায় সম্মেলনকে ঘিরে ছিল ব্যাপক কৌতূহল।

কূটনীতি পর্যবেক্ষকমহলের মতে, অটিজম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়ার বাংলাদেশ সফর এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। এতে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করেন তারা। সোনিয়ার এই সফরের নেপথ্য আয়োজক পুতুল অনেক আগে থেকেই এরকম একটি সম্মেলনের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছিলেন। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

কেবল সোনিয়াই নন গতকালের অটিজম সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সংসদের স্পিকার ফাহমিদা মির্জা, ইন্দোনেশিয়ার ফার্স্ট লেডি এনি বামবাং ইয়োধোইয়োনো, শ্রীলঙ্কার ফার্স্ট লেডি শিরাস্থি রাজাপাকশে, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রী (সেকেন্ড লেডি) ইয়াম হাসানসহ ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। বিকালে বঙ্গভবনে সোনিয়াকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন পুতুল। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় ও ঐতিহাসিক অবদান রাখার কারণে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে 'বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মামনা পদক' দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনিয়ার হাতে তুলে দেন ঐতিহাসিক এ পদক। অনুষ্ঠানের ফাঁকে যখন মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরার অবদান ও ভূমিকা তুলে ধরে একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয় তখন পুরো অনুষ্ঠানস্থলে বিরাজ করছিল এক আবেগঘন পরিবেশ।

আর প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন পুতুলের চোখে তখন আবেগের অশ্রু। গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে। আর টেলিভিশনের কল্যাণে সবাই প্রত্যক্ষ করেছে পুতুলের চোখের জল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।