আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ণহীন জীবন!!

আমার চার দেওয়ালে বাইরে কী হচ্ছে কিছুই বোঝা যায় না। রাত ১০টার পর সিড়ি ভেঙে বাইরে বের হলাম। দেখি ফিস ফিস বৃষ্টি। মাথায় একটা পুরানো পত্রিকা দিয়ে কোন রকমে বাসে চাপলাম। রাত সোয়া ১০টা নাগাদ বাসটি কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে।

ফিস ফিস বৃষ্টির গতিবেগও বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ চোখ আটকিয়ে গেল ফুটপাতে। সারা দিনের কর্মকান্ত মানুষ এই ফুটপাত দিয়ে হেটে গেছে তার গন্তব্যে। এখন নির্জন। চারিদিকে ময়লা।

বৃষ্টিতে স্যাঁত স্যাঁত করছে। ডাস্টবিনের ময়লা আর্বজনা চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। দুরগন্ধ। এর মধ্যে খাদ্য খুজে বেড়াচ্ছে কুকুর, বিড়াল। দেখলে গা শিহরিয়ে উঠে।

রাজধানীর সড়কে ডাস্টবিনগুলো দেওয়া হয়েছে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য। কিন্তু নগরবাসী কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে ময়লা আর্বজনা তাতে নিপে করে। এতে করে বাইরে পড়ে থাকে অর্ধেক। বর্ষায় ময়লা আর্বজনা দ্রুত পচে গলে আরো বেশী দূরগন্ধ ছড়ায়। যাদের দায়িত্ব এই সব ডাস্টবিনের ময়লা আর্বজনা সরিয়ে নেওয়া- তারাও সে দায়িত্ব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না।

যার যা দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন না করায় জনগণের দুর্ভোগ বেশী পোহাতে হয়। সবাই যদি সচেতন হই, ন্যায় সঙ্গত অধিকারে সোচ্চার হই, যার যা দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করি তাহলে জনদুর্ভোগ কমবে, দেশের সার্বিক উন্নয়ন হবে। দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- আমরা সবাই পাশ কাটিয়ে চলতে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি। এ ফুটপাতে শুয়ে আছে ভাসমান ছিন্নমূল মানুষ।

অন্যদিন তারা মুক্ত আকাশের নীচে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে থাকে। আজ বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ফুটপাতের একপাশের দেওয়ালে রঙিন (কালো কিংবা নীল) পলিথিন ঝুলিয়ে বৃষ্টি থেকে তাদের রঙহীন জীবনকে বাঁচানোর চেষ্টা। কিন্তু এতে কী বৃষ্টি মানায়? দেওয়াল ঘেষে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টি। বর্ণহীন এ জীবনের প্রতি তাদের কোন অভিযোগ নেই?? হয়তো আছে আবার নেই!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।