পারলে নিজেকে ইকারাকাস বানিয়ে ... কিছুক্ষন আগে কল এলো
"আগামিকাল সকাল থেকেই প্রস্তুত থাকবেন। বাংলা কলেজের সামনে গাড়ি ভাংচুর হতে পারে। "
অকালে ৬টি প্রান ঝরে গেল বলে আমারও মনে ব্যাথা আছে। আজ নিহতদের পরিবারে যে আর্তনাদ ার বিলাপ শুনে এলাম তা এখনো কানে বাজছে।
কিন্তু সকালে যে আতংক দেখেছি সাধারন পথচারি আর যাত্রীদের চোখে মুখে, তা ভুলে যাই নি।
হটাত করে গাড়ি ভাংচুর,রাস্তা অবরোধ এ ঘটনাগুলো অবশ্যই দুঃখজনক।
আর আজকের ঘটনায় যেন ঘোষনা দিয়ে নতুন উদ্যোমে গন্ডগোল এর প্রস্তুতি নেয়া হচছে।
এভাবে আর কত দিন? আমরা নিজেরা যা করছি বা অন্যকে করতে দিচ্ছি তা কোন ভাবেই সমাধান নয়,আমাদের আবেগের হিংস্র বহিপ্রকাশ মাত্র।
একটা এলাকার লোকজন ডাকাত ভেবে ভুল করে তরুন ৬ টা ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এ থেকেই বোঝা যায় আমাদের দেশে সাধারন মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা আজো নিশ্চিত হয় নি।
নুহ ট্রাজেডি বুকের ভেতরে যেন খামচে গেছে।
কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার এক ভদ্রলোক ছিনতাইকারির আক্রমনে আহত হয়েছেন।
তেল,গ্যাস রক্ষায় যারা হরতালে সামিল হয়েছিল তারা কেউ সন্ত্রাস বা অপরাধী নয়,কিনতু তা সত্বেও সরকার এদের উপর প্রশাসনিক বলপ্রয়োগে থামেনি।
আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করি যেখানে মা-বাবা,ভাই-বোন মিলে সন্ধ্যা বা রাত্রীভ্রমন তো দুরের কথা, দিনের আলোতেই নিজেদের স্বাধীন দেশে নিরাপদে ঘুরে বেড়ানোর কোন নিশ্চিত নিরাপত্তা নেই।
তবুও আমাদের হুশ হয় না একেবারে শেকর থেকে এ দেশটাকে , এ দেশের মানুষগুলোকে একটু উন্নয়ন আর জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তোলার জন্যে।
আমাদের উচিত পারিবারিক শিক্ষাটাকে আরো মজবুত কারা,প্রতিটি নারীকে শিক্ষিত ো সচেতন করে তোলা,সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষায় কিছু শক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া।
যে আম পচে গেছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার মানে অযথা সময় নষ্ট।
বরং আমাদের এখন আবশ্যক কাজ হলো যা এখনো ভাল আছে, যে সুষ্ঠ-সুন্দর প্রজন্ম এখনো আগত তাদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা, উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া।
একটা নতুন দিনে নতুন কিছু অঘটনের জন্যে অপেক্ষা করছি আর বার বার ভাবছি এ অন্ধকার থেকে আমরা কবে মুক্তি পাবো? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।