প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের অনুপম লীলাভূমি এই চট্টগ্রাম। প্রকৃতি ৫২৮৩ বর্গ কিলেমিটার বা ২০৪০ বর্গ মাইলের চট্টগ্রামকে যেন নিজের অকৃপণ হাতে সাজিয়ে দিয়েছে তার সব সৌর্ন্দয দিয়ে!শৈল-কিরীটিনী,নদী-মালিনী / বনানী কুন্তলা . . . চট্টগ্রামের উত্তরে ফেনী জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য,দেিণ কক্রাবাজার জেলা ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলা এবং পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। এই ভূ-খন্ডের অবস্থান যেমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ্য তেমনি সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি-অর্থনীতি-র্ধম-ভাষা-সাহিত্য এককথায় জীবনের প্রতিটি ক্ষেেত্র এই জনপদের কর্মকান্ড স্বাতন্ত্র্যমন্ডিত ও স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল।
বর্তমান চট্টগ্রাম জেলা চাটিগাঁও অথবা চাটগাঁও নামেও পরিচিত ছিল। এই নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
অনেকের মতে চীনের রাজকীয় দলিলে চট্টগ্রামকে বলা হয় “চাটিকান”। খ্রীষ্টিয় সপ্তম শতকের শেষ দিকে চীনা পন্টিক ইচিং বৌদ্ধ ধর্মীয় জ্ঞান আহরনের জন্য চট্টগ্রামে আসার পর থেকেই চট্টগ্রামের নামকরণ শুরু হয়।
মুসলমানগণ গৌঢ় জয় করার কিছুসময় পরে এখানে ইসলামের দাওয়াত দিতে বারজন আউলিয়ার আগমন ঘটেছিল। তাঁদের আগমনের কারণে চট্টগ্রামকে বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি বলা হয়। তাঁরা এই অঞ্চলে জ্বীন-পরী তাড়ানোর জন্য একটি বড় বাতি (চেরাগ) জ্বেলে উচুঁ স্থানে স্থাপন করেছিলেন।
কথিত আছে, এই বাতির আলো যতদূর ছড়িয়ে পড়েছিল ততদূর থেকে জ্বীন-পরী পালিয়ে গিয়েছিল এবং তখন থেকেই এই অঞ্চলে বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেছিল। চট্টগ্রামের অঞ্চলে ভাষায় “চাটি” শব্দের অর্থ “বাতি” বা “চেরাগ” আর “গাঁও” অর্থ “গ্রাম”। সুতরাং এ থেকেই এ অঞ্চলের নাম হয় “চাটিগাঁও”।
আবার বৌদ্ধদের ধারনা,চট্টগ্রাম নামটি “চৈত কেয়াং” বা “চৈতগ্রাম” নামের অপভ্রংশ। “চৈতগ্রাম” অর্থ “বৌদ্ধ কীর্তিস্তেম্ভর আবাসস্থল”।
কেউ কেউ আবার মনে করেন,খ্রীষ্টিয় ৯৫৩ সালে আরাকানের বৌদ্ধ রাজা বাংলাদেশ আক্রমণ করে বর্তমান চট্টগ্রাম একটি বিজয় স্তম্ভ স্থাপন করেন। সেই বিজয় স্তম্ভ লেখা ছিল “চিৎ-ত-গৌং” যার অর্থ “যুদ্ধ করা অন্যায়। ” এই শব্দ হতে চিটাগাং বা চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি হয়েছে বলেও ধারণা করা হয়।
এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্স-এর ধারণা, এই অঞ্চলের সবচেয়ে সুন্দর ুদে পাখি “চট্গ” থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি।
চট্টগ্রামের নামকরণের ইতিহাসে মতভেদ রয়েছে।
তাই দেখা যায়, নানা উৎস থেকে চট্টগ্রামের নামকরণের বিষয়টি নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।