জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায় রথম কথা হোল, এসলামের সকল প্রকার আমলের পূর্বশর্ত হোচ্ছে আল্লাহর তওহীদের প্রতি ঈমান। এই তওহীদ হোচ্ছে- লা এলাহা এল্লা আল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন সার্বভৌমত্বের মালিক বা হুকুমদাতা নেই। বর্তমানে ১৬০ কোটির মোসলেম নামক জাতিটি তাদের সার্বিক জীবনে আল্লাহর দেওয়া বিধানগুলিকে প্রত্যাখ্যান কোরে দাজ্জাল অর্থাৎ ইহুদী খ্রিস্টান সভ্যতার তৈরী করা বিধান, মতবাদ, তন্ত্র-মন্ত্র মানছে।
এর অর্থ তারা তাদের সার্বিক জীবনের হুকুমদাতা, এলাহ মানছে মানুষকে। এই কারণে তারা কলেমার চুক্তি থেকে বহির্গত হোয়ে গেছে, অর্থাৎ তারা আর মোমেন বা মোসলেম নেই। একটু আগেই বোললাম, এসলামের সকল আমল মোমেন-মোসলেমের জন্য। তাই যেহেতু এ জাতি মোমেন বা মোসলেম নয়, তাই যারা মো’মেন না তাদের তারাবি কেন ফরদ সালাহ করারও কোন মানে নেই, সেগুলি আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি।
তারাবী সালাহ আসলে কি, এসলামে এর স্থান কোথায় তা বর্ত্তমানের ধর্মব্যবসায়ী
আলেম মোল্লাদের ধারণার সম্পূর্ণ বাইরে। তারা সওমের মাসে প্রতি রাত্রে ২০ রাকাত তারাবীর সালাহ এমনভাবে বাধ্যতামূলক কোরে দিয়েছেন যেন তারাবী না পড়লে সওমের অঙ্গহানী ঘোটবে, এমনকি কেউ যদি সওম নাও রাখে তবু তার তারাবী পড়া উচিৎ। তাই বাস্তবে দেখা যায়, যারা ফরদ সালাহর ব্যাপারে গাফেল, তারাও তারাবীর ব্যাপারে সতর্ক। আশ্চর্য্যজনক বিষয় হোচ্ছে, কোর’আনে বা হাদীসে তারাবী শব্দটিই নেই। বলাবাহুল্য যে, আকীদার বিকৃতি ছাড়াও তারাবীর এত গুরুত্ব দেওয়ার পেছনে ধর্ম-ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক স্বার্থই প্রধান।
এসলামে তারাবীর উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব
গভীর রাতে রসুলাল্লাহ সব সময়ই অতিরিক্ত সালাহ কোরতেন, একে ‘কিয়াম আল লাইল’ বলা হয় যা বিশেষভাবে তাঁর জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। তিনি ব্যক্তিগত সালাহ কায়েমের জন্য মসজিদের নিকটেই একটি ছোট ঘর তৈরী কোরেছিলেন। রমাদান মাসে তিনি এশার পর পরই নিজ গৃহে এই সালাহ কায়েম কোরে ফেলতেন এবং অন্যান্য সময়ের চেয়ে সালাহ দীর্ঘ কোরতেন। দীর্ঘ করার উদ্দেশ্য ছিল মূলতঃ কোর’আনের মুখস্থ আয়াতগুলি ঝালিয়ে নেওয়া। একবার রমাদান মাসে তিনি এশার পরে নফল সালাহ কায়েম কোরছেন।
বাইরে থেকে তাঁর উচ্চস্বরে ক্বেরাতের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কয়েকজন সাহাবী ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে রসুলের সাথে জামাতে শরীক হন। পরদিন এই সংবাদ পেয়ে আরো বেশ কিছু সাহাবী আসেন রসুলের সাথে সালাহ কায়েম করার জন্য। কিন্তু সেদিন আর রসুলাল্লাহ সালাতে দাঁড়ান না এবং ঘরের বাইরেও আসেন না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা কোরে আসহাবগণ উচ্চস্বরে রসুলাল্লাহকে ডাকতে থাকেন এবং তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঘরের দরজায় ছোট ছোট পাথর ছুঁড়ে মারতে থাকেন।
তাঁদের এ আচরণে রাগান্বিত হোয়ে রসুলাল্লাহ বেরিয়ে এসে বলেন, ‘তোমরা এখনও আমাকে জোর কোরছ? আমার আশঙ্কা হয় এই সালাহ তোমাদের জন্য আল্লাহ না ফরদ কোরে দেন। হে লোকসকল! তোমরা এই সালাহ নিজ নিজ ঘরে গিয়ে কায়েম করো। কারণ কেবলমাত্র ফরদ সালাহ ব্যতিত তোমাদের জন্য সর্বোত্তম সালাহ হোচ্ছে সেই সালাহ যা নিজ গৃহে কায়েম করা হয়। ” (যায়েদ বিন সাবিত রা. থেকে বোখারী)। আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা কে জিজ্ঞাসা করেন, রমাদান মাসে রসুলাল্লাহর সালাহ কেমন ছিল।
তিনি বলেন, রসুলাল্লাহ রমাদান মাসে এবং অন্যান্য সময়ে রাতে এগারো রাকাতের বেশী সালাহ কায়েম কোরতেন না। তিনি চার রাকাত সালাহ কোরতেন, আবার চার রাকাত সালাহ কোরতেন (অর্থাৎ আট রাকাত), এবং তারপরে তিন রাকাত সালাহ (বেতর) কোরতেন (বোখারী)।
এর পর রসুলের জীবদ্দশায় জামাতে এই সালাহ আর কায়েম করার ইতিহাস নেই। প্রথম খলিফা আবু বকরের (রা সময়েও তারাবী সালাহ কায়েমের কোন নজির নেই। তাহোলে প্রশ্ন হোল, আজ এত গুরুত্বের সাথে প্রায় বাধ্যতামূলক ২০ রাকাত তারাবী পড়ার প্রচলন হোল কিভাবে? এর প্রকৃত কারণ হোচ্ছে আকীদার বিকৃতি হোয়ে এসলামের ছোট বিষয়গুলিকে মহাগুরুত্বপূর্ণ কোরে ফেলা।
আলেমগণ তারাবী সম্পর্কে তাদের মতামত প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে ওমরের (রা বরাত দিয়ে থাকেন। প্রকৃত ঘটনাটি ছিল এই যে, দ্বিতীয় খলিফা ওমরের (রা খেলাফতের প্রথম দিকে ১৪ হেজরীর রমাদান মাসে খলিফা একদিন দেখতে পান, মসজিদে একেক জন একেক দিকে উচ্চস্বরে ক্বেরাত কোরে এই নফল সালাহ কায়েম কোরছেন। তিনি বিচ্ছিন্ন এই মুসল্লীণের মধ্যে শৃংখলা বিধানের উদ্দেশ্যে তাদেরকে একজন এমামের অধীনে এসে সালাহ কায়েমের হুকুম দেন। (আব্দুর রহমান বিন আব্দুল ক্বারী থেকে বোখারী, এবং ইবনে সা’দ, কেতাব আল তাবাকাত, সুয়ূতি ইত্যাদি) এ ঘটনাটি থেকে এটা বলা যায় না তিনি তারাবীর প্রচলন কোরেছেন। তবে এর সূত্র ধোরেই পরবর্ত্তী এমামগণ জামাতে ২০ রাকাত বাধ্যতামূলক তারাবী প্রচলন কোরেছেন।
রসুল যেটি আশঙ্কা কোরেছিলেন, সেই নফল সালাহ এখন আকীদাগতভাবে বাধ্যতামূলক হোয়ে গেছে।
যেহেতু মহানবীর ব্যক্তিগতভাবে বেতর ও নফল মিলিয়ে এগার রাকাত সালাহ কায়েমের দলিল পাওয়া যায়, কাজেই এশার পর বেতরের আগে রমাদান উপলক্ষ্যে নফল হিসাবে একা একা সর্বনিু ৪ রাকাত থেকে শুরু কোরে ঊর্দ্ধে যত রাকাত খুশি নফল সালাহ কায়েম করা যেতে পারে। আরেকটি বিষয় হোল এই সালাহ প্রতিদিন ২০ রাকাত কোরে ফরদের মত বাধ্যতামূলকভাবে কোরতে হবে এমন ধারণা সঠিক নয়। কারণ রসুল এই সালাহ ফরদ হোয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রকাশ্যে কায়েম করা ত্যাগ কোরেছিলেন। বর্তমানে ধর্মব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে এভাবেই এসলামের কম গুরুত্বপূর্ণ বহুকিছু মহাগুরুত্বপূর্ণ বোলে স্থান কোরে নিয়েছে।
এই বিভ্রান্তিকর অবস্থা কিভাবে সৃষ্টি হোল
DP-1aব্রিটিশ খ্রিস্টানরা এই জাতিকে গোলাম বানানোর পর এরা যেন আর কোনদিন মাথা তুলতে না পারে সেই ব্যবস্থা পাকাপোক্ত কোরেছে। তাদের ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থাগুলির একটি হোল, এই জাতিকে তারা দিনমান আল্লাহর উপাসনা-বন্দেগিতে ব্যস্ত কোরে রাখবে। এর জন্য হাদীস, সেরাত, ফেকাহ থেকে তারা রসুলাল্লাহ ও তাঁর আসহাবদের ব্যক্তিগত আমলগুলি খুঁজে বের কোরল। প্রথমে তারা বের কোরল সালাতের তালিকা। এটা সাধারণ জ্ঞান যে এসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোচ্ছে আল্লাহ যেগুলি ফরদ কোরেছেন।
আর একটি দীনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোচ্ছে এর জাতীয় ও সামষ্টিক বিষয়গুলি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোচ্ছে সেই দীনকে প্রতিষ্ঠা করা। এসলামের বেলায়ও তাই। এসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোচ্ছে এর ভিত্তি তওহীদ, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব। এর পরে গুরুত্বপূর্ণ হোচ্ছে এই দীনকে মানুষের জাতীয় সামষ্টিক জীবনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করা বা জেহাদ করা।
এই বিষয়গুলি দীনের এবং উম্মাহর অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসলাম মানুষের ব্যক্তিগত জীবনকেও নিয়ন্ত্রণ করে, তাই ব্যক্তিগত চারিত্রিক উন্নয়নের জন্য এতে ঐচ্ছিক বা নফল আমলেরও বিধান আছে। যখন মানুষ ঐ অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলি পালন করে, তখন প্রশ্ন আসে ব্যক্তিগত নফল আমলগুলি কোরে আত্মার ও চরিত্রের উন্নয়ন ঘটানোর। ব্রিটিশ খ্রিস্টানরা যখন এই জাতির সার্বভৌমত্বের অধিকার নিজেদের হাতে নিয়ে নিল, তখন মোসলেমরা সেটাকে সহজভাবে নিল না, অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে জেহাদে অবতীর্ণ হোল। তাই ব্রিটিশদের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ হোয়ে দাঁড়ালো মোসলেম জাতির এই জেহাদমুখী চরিত্রকে বিলুপ্ত কোরে দেওয়া।
এই লক্ষ্যেই তারা একটি বিকৃত এসলাম তৈরী কোরল যেখানে তওহীদকে ব্যক্তিগত জীবনে এক আল্লাহর উপাসনা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হোল এবং জেহাদকে আত্মার বিরুদ্ধে বোলে চালিয়ে দেওয়া হোল। আর যত রকম সুন্নাহ, মোস্তাহাব, নফল নামাজ খুঁজে পাওয়া গেল যেমন- তারাবী, তাহাজ্জুদ, আওয়াবীন, এশরাক, চাশত এমন অনেক সালাহকে মহা-গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উপরে স্থান দেওয়া হোল। এরপর ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয় যেমন- হায়েজ-নেফাস, ঢিলা কুলুখ, দস্তরখান ইত্যাদি নিয়ে অগণিত মাসলা মাসায়েল তো আছেই। এতসব আমল ও সওয়াবের কাজ এই জাতির সামনে উপস্থাপন করা হোল যে এই আমলগুলি নিয়ে ব্যাপৃত থাকলে সেই জাতির পক্ষে আর সম্ভব হবে না জেহাদ কোরে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনা। তাদেরকে শেখানো হোল- রাজনীতি, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা এগুলি সব দুনিয়াবি ব্যাপার।
এগুলি এসলামের মুখ্য কিছু নয়, গৌণ এবং অপকৃষ্ট বিষয়। সুতরাং এদিকে নজর না দিয়ে ওপারের জন্য আমল যোগাও, এটাই পরহেজগার হওয়ার সঠিক পন্থা। যখন এই জাতি রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয় জীবনের কর্মব্যস্ততা থেকে মুক্তি (!) পেল, তখন তারাও গবেষণা কোরে আরও প্রচুর ব্যক্তিগত আমল বের কোরল এবং মানুষকে শিক্ষা দিল। আর ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ সাধারণ মানুষ সেগুলিকেই অতি সওয়াবের কাজ মনে কোরে রাতদিন খেটে ঐসব আমল কেরে যেতে লাগল এবং আজও কোরে যাচ্ছে। অথচ এমন বহু আমলও তারা কোরে যাচ্ছে যেগুলির কথা রসুলাল্লাহ (দ এবং তাঁর আসহাবরা কখনও শোনেনও নি, অথবা শুনলেও সেগুলির প্রতি তাঁরা কোন গুরুত্ব আরোপ করেন নি।
এই সুগভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হোয়ে এই সুবিশাল জাতি একটি প্রাণহীন লাশের মত অর্ধ পৃথিবী জুড়ে পড়ে রোইল। এই মরা লাশের গায়েই তারা আতর মেখে, চুল দাড়ির পরিচর্যা কোরে, চোখে সুরমা লাগিয়ে, দাঁত মেসওয়াক কোরে দিন গুজরান কোরে যাচ্ছে। তারা একবার দেখছেও না যে, এতো মরা লাশ। এই লাশের মধ্যে সবার আগে দরকার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা। এই প্রাণ হোচ্ছে- লা এলাহা এল্লা আল্লাহ (একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কাও হুকুম বিধান মানি না)।
আজ এই মোসলেম নাম জনসংখ্যাটি তাদের জাতীয় জীবনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী (এলাহ) হিসাবে আল্লাহকে মানছে না, তারা সামষ্টিক জীবনে আল্লাহর হুকুম-বিধানগুলি বাদ দিয়েছে, বাদ দিয়ে দাজ্জাল অর্থাৎ ইহুদী খ্রিস্টান ‘সভ্যতার’ তৈরী গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রসহ বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্রের বিধান দিয়ে তাদের জীবন চালাচ্ছে। এদের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষানীতি এমন কি সংস্কৃতি পর্যন্ত দাজ্জাল নিয়ন্ত্রিত। দাজ্জালকে প্রভু, এলাহ হিসাবে গ্রহণ কোরে তারা কার্যতঃ মোশরেক ও কাফের হেয়ে আছে। কাফের-মোশরেকদের প্রথম কাজ কি হওয়া উচিৎ? নামাজ পড়া, রোজা রাখা-নাকি আগে এসলামে প্রবেশ করা?
নিশ্চয়ই এসলামে প্রবেশ করা। সুতরাং এই জাতির প্রথম কাজ ইহুদী-খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’র বিধান ও কর্তৃত্বকে অস্বীকার কোরে আল্লাহকে একমাত্র বিধাতা হিসাবে মেনে নেওয়া।
তা না কোরে নামাজ, রোজা, হজ্ব, তারাবি, এফতার নিয়ে মাতামাতি করা নেহায়েৎ বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।
তাদেরকে আগে বুঝতে হবে যে, আজ দুনিয়াময় যে এসলামটা চোলছে এটা আল্লাহ-রসুলের এসলাম নয়, এটা খ্রিস্টান এবং মোসলেম ধর্মজীবিদের তৈরী বিকৃত বিপরীতমুখী একটি ধর্ম। এই এসলাম না তাদেরকে দুনিয়াতে শান্তি ও শ্রেষ্ঠত্ব দেবে, না আখেরাতে তাদেরকে জান্নাত দেবে। প্রকৃত এসলামের সময় মো’মেন মোসলেমরা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের, আল্লাহর হুকুমতের অধীন ছিলেন আর বর্তমানের মোসলেম নামধারী জাতিটি তাগুতের, দাজ্জালের সার্বভৌমত্ব তথা হুকুমতের অধীন। এই উভয় অবস্থার পার্থক্য এই জাতিকে আগে বুঝতে হবে।
আর রসুল তাঁর আসহাবদের জীবনের সর্বপ্রধান কাজ ছিল আল্লাহর সত্যদীনকে সমগ্র পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ কোরে সংগ্রাম করা। নবী ও সাহাবীদের কাছে যে বিষয়ের গুরুত্ব ছিল এক নম্বরে যেমন তওহীদ এবং জেহাদ, আজকের মোসলেম নামধারী কার্যতঃ কাফের মোশরেক জাতির কাছে তার কোন গুরুত্বই নেই। তাদের কাছে এক নম্বর বিষয় হোল দাড়ি আছে কিনা, টুপি আছে কিনা, জোব্বা আছে কি না, পকেটে মেসওয়াক আছে কি না। এই বিকৃত এসলাম থেকে এ জাতিকে বেরিয়ে আসতে হবে, নয় তো এপারে যেমন সকল জাতির পায়ের তলে পিষ্ট হোচ্ছে, ওপারে গিয়েও তারা পতিত হবে ভয়ঙ্কর জাহান্নামে। আজকে তারা যত আমল কোরে বহু সওয়াব কামাচ্ছেন বোলে ধারণা কোরছেন, সেই সব আমল তাদের সামনে ধূলা ময়লার মত বিক্ষিপ্ত কোরে দেওয়া হবে (সূরা ফোরকান ২৩)।
-সূত্র: ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।