বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি (৭১'এর পিশাচদের বিচারের দাবীতে)
এসলাম এজলাস করে করে দ্বীন গেল অজুহাতে
চলমান কালো তাবু বানাতে চাস রূপবতী বাঙালি নারীকে
পর্দার আবরণে ঢেকে দিতে চাইছিস বঙ্গকণ্যাকে মাথা থেকে পায়ে
তবে তোর মায়ের নেকাব খুলেছিলি কেন ৭১ এ !!
ভাবীর ব্লাউজ-শাড়ি, বোনের সালোয়ার-কামিজ
ছিড়েছিলি কেন ছিন্নভিন্ন করে ! একেই বুঝি দ্বীন রক্ষা বলে!
জলপাই রঙের গাড়িতে করে একদল পাক-জানোয়ার ডেকে
কেন লেলিয়ে দিয়েছিলি তোর গর্ভবতী মায়ের দিকে!
চন্দনা দি’র উপর থেকে যখন সরে গেল একপাল হিংস্র কুকুর
নিথর পড়ে ছিল সে। শক্তিও ছিল না যে চিৎকার করবে।
শুধু রক্ত ছিল মেঝেতে। রক্ত ছিল পায়ে। রক্ত ছিল- ঠোট বেয়ে বুকে।
আচড়ের দাগ ছিল সারা দেহে, গলায়-পিঠে-মুখে।
ঘৃণা ছিল লোমের কুপে কুপে। প্রতিবাদ ছিল না চোখে !
চোখই তো ছিল না পরে আর, তুলে নিছে বেয়নেটে।
অদৃশ্য দৃষ্টিতে শুধু আগুন ছিল- দাবানলের মতো তীব্র আগুন।
অচেনা হানাদার ফিরে গেছে লেজ গুটিয়ে, নাকে খত দিয়ে।
চেনামুখ রাজাকারগুলোকে খুঁজে ফেরে এখনো সে অদৃশ্য চোখে।
নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী আর গোলাম আযমদের রক্ত চাই- মৃত্যু চাই
মৃত্যু চাই- বিচার চাই, বিচার চাই- বিচার চাই দাবিতে
(চীতকার করে করে মায়েদের চীতকার বোনদের চীতকার-
ক্ষীণ হয়ে আসে সব শহীদের চীতকার !)- এখনি সময় বিচার করার
সময় হয়েছে এখন-
রাজাকারগুলোকে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবার
শহীদ জননী, বিধবা মাতা আর বীরঙ্গণাদের চোখের আগুন নেভাবার
সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের- কালিমা মুক্ত হওয়ার।
-আলীম হায়দার/ জুন ১০-২০১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।