আসসালামু আলাইকুম আমার মেয়েটা সিজার বেবি । তাই শীতকাল অথবা খুব ঠান্ডাতে,ও খুব নাজুক হয়ে পরে । সব সিজার বেবি'র হয় না কেও কেও বা কারো কারো হয় । আমার বেবিটা'র এই সমস্যা আছে । যাই হোক বেশ কিছু দিন আগের কথা ও'র তখন রাতে তখন ঘুম হয় না , খুব কান্না কাটি করে আমি বুঝি না ।
আমার আম্মা আর আমার ছোট বোন ও'কে দেখা শুনা করে । প্রসংঙঃ ওর আম্মু তখন জেদ্দা ( সাউদিয়া তে চাকুরি সংকাণ্ত কারনে ) ।
প্রথম প্রথম ওর কাঁশি নাকে পানি পরা আর সারা রাত কান্না কাটি ... রাতে কস্ট হলে আমার কাছে চলে আসতো । একদিন আমি ওকে আদর করে করে ঘুম পারাতে চেষটা করছিলাম , এ/সি ছাড়া যাছিল না ঠান্ডা আরো বেরে যাবে তাই ফানের নিচে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে দেখি ও নিঃস্বাস নিতে পারছে না ! ওর হিচ্কি হছে ও অসাভাবিক আচরন করছে ,আমি অস্থির হয়ে আম্মা কে ঢেকে তুলি ..ততক্ষনে ও আরো কাবু হয়ে পড়লো , এখন ও'র শরীর নিঃস্তেজ হয়ে পরছে ও নিঃস্বাস নিতে পারছে না ।
আমার জীবনের নিঃস্বাস ভারি হয়ে গেছে আমি নিঃস্চিত যে আমার হার্ট ফেইল করবে বা মাথা ঘুরে পড়ে যাব ।
আনিকা ঢক ঢক করে মুখ দিয়ে দম নিচ্ছে.. আর দম ফেলছে না ! ও'র শরীর স্থির ও'র দম্ বন্ধ । আম্মা দোওয়া ইউনুছ পড়ছে রায়হান ( আমার ছোট বোন ) ওকে কোলে নিয়ে ছুটছে আমি রায়হানের পিছনে পিছনে ,জানি না কি হচ্ছে, বুঝতে পারছিলাম না কিছু ,,,, দৌড়াতে দৌড়াতে একটা সি,এন,জি তে উঠলাম । সামনেই মনোয়ারা হাসপাতাল ।
পুরোটা সময় আমার নিঃস্বাশে জীবন ছিল না এলো মেলো পাগল প্রায় আমরা সবাই , ভয়ে আমাদের পৃথিবী কালো হয়ে গেলো ,,,,,, ।
পরদিন সকাল নাগাদ আনিকা ভালো হতে শুরু করলো ।
আমাদের পৃথিবী পুনরায় আনণ্দে ভরে উঠল 'আনিকা 'ও আমরা হাসপাতালে খুব মজা করলাম ওকে সেলাইন পুশ্ করা হতো একটা হাতে শুঁই লাগান থাকতো , সবাইকে শুঁই দেখাতো ! দেখ আমার কি হয়েছে ! এই তো ।
দয়াময়ের করুনাধারা আমার মেয়ে কে যেন চিরদিন আগ্লে রাখে এই দোয়া করবেন সবাই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।