"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরিয়া গেছে.। " সুঁই হয়ে ঢুকা আর ফাল হয়ে বের হওয়া গ্রাম বাংলার এই প্রবাদ জীবনের কোন বাঁকে এসে হয়ে যায় নির্মম সত্য। কিছু মানুষ নিজেই তার জীবনের একমাত্র সহচর। জীবনের কোন উাপাখ্যানেই তার সমব্যাথী, সহমর্মী কিংবা নিরাপদ আশ্রয় কেউ হয়ে উঠেনা।
স্বপ্ন কিছু মানুষের জীবনে ভুলভুলাইয়ার ফাঁদ।
একদিন স্বপ্ন দেখতে দেখতেই মরে যায় ঘুলঘুলির আবেগী চড়ুই। ব্যর্থতার ষোলকলায় ঋনাত্মক জীবন তখন পোষ্টমর্টেমের টেবিলে খাবি খায় বেওয়ারিশ।
মাঝে মাঝে জীবনের অস্থিরতার কম্পন রিক্টার স্কেলে মাপা যায়না। কেন এত অস্থির হয়ে উঠে মন? কিছু কিছু আঘাত সইবার ক্ষমতা থাকেনা বলেই এমন হয়। জীবনে খরস্রোতা নদী চাইনি।
চেয়েছি আশ্বিনের শান্ত আকাশ।
রোগ শয্যায় আমি দেখেছি পৃথিবীর বেগুনী রং। কোন এক চন্দ্রভূক অমবশ্যায় লক্ষ্মী পেঁচা মেডিসিনের গন্ধ লেপ্টে থাকা বিছানা, যন্ত্রণা মোড়ানো বালিশ মাড়িয়ে চলে গেছে দুরে বহুদুরে। অথচ দানিয়ুবের উন্মুক্ত বাতাসে তার শপথে ছিল অক্টোপাসের দৃঢতা।
মা বলতেন যার জন্য নাই তার জন্য মেজবানি বাড়িতেও নাই।
মায়ের এই কথার গভীরতা এখন হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করি। সুখে থাকতে চাই বলেই কি আমি সুখি হওয়ার অধিকার রাখি? না রাখিনা !
ব্যর্থ এসব মানুষের জন্য করুনাময় কবি রেখে গেছেন আক্ষেপের সুরেলা আর্তি... যাহা চাই তাহা ভূল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাইনা .......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।