শাকিলা তুবা
কোন এক এলোচুলো রমনী ভর সন্ধ্যায়
কবিতার খাতায় আঁকিবুঁকি করেছিল কবে
গর্ভের শিশুটিকে তখনই হেবা করে গেছে সবটা
মনের ওলিগলি থেকে কুঁড়িয়ে এনেছিল যত কবিতা
উত্তরাধিকার সূত্রে দিয়ে গেছে তার সবই শিশুটিকে।
রাতের শেষপ্রহরে স্বপ্ন দেখা হরিনের চোখ দেখেছে মেঘ
শাব্দিক অর্থে নকশাকাটা মাঠে দিগন্তজোড়া মায়া চাদর
এক পুরুষের লোমশ বুকে মাথা এলিয়ে মুদিত চোখ;
এ চোখে স্বপ্ন আঁকে না কোন হরিন, শুধুই ভাল লাগা
উত্তরাধিকার সূত্রে এ কোন সুখ পেয়েছ মেয়ে?
একের পর এক ক্ষয়ে গেছে, বয়ে গেছে চোরাস্রোত
উল্টোপায়ে হেঁটেছে জগত, চরমতৃপ্তিতে এলিয়ে পড়েছে যুবক
মেয়েটি শুয়ে থাকে আনমনে জলপ্রপাতের উপর,
শরীরি সুখের লেনদেনে অনীহা নিয়ে প্রতিবাদোম্মুখ
এ সবই কি ছিল তার উত্তরাধিকার পাওনা?
নিঃশব্দ আরতি শেষে দেবীর পায়ে বন্দনা গীত ঢেলে
পূজারী পালিয়ে যায় নির্দ্বিধায়, দেবী মেলে দেয় তৃতীয় নয়ন
শয্যাপাশে তবে তোমাকেই দিয়েছিল ঠাঁই, বিস্বাসঘাতক?
পুনর্বসু নক্ষত্রের লগ্নে মেহেদির শিকড় কেটে দিয়ে গেছে কেউ
ভেজা মনের ভেতর কথা বলে ওঠে উত্তরসূরী রমনী।
কল্পিত শুভ্র কাজল চোখে ঠেসে ভাবে অতি সাদা এক জগত দেখবে
বিষন্ন রমনী এ কোন বিষন্ন সন্ধ্যা উপহার দিয়ে গেছে তোমায়?
রাত জাগা পাখীর মত থেমে থেমে কু ডেকে ওঠে মনের গহীনে
শহরের শেষপ্রান্তের আলো ঝলমলে পানশালায় ছুটে যায় মন
এটুকু উত্তরাধিকারে পাওয়া নয়, পরবর্তী প্রজন্মকে পৌরাণিক প্রতিসর।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।