আমি আমার মতন।
জামালপুরে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঝাওলা গোপালপুরের জামাইমেলা। প্রায় দুইশ বছর থেকে চলে আসা এই মেলাকে ঘিরে পূর্ব জামালপুরের তিনটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে গেরস্থের বাড়িতে বাড়িতে এখন মেয়ে-জামাই নিয়ে চলছে উৎসবের আমেজ। জামালপুরে ঝাওলা গোপালপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পহেলা চৈত্র থেকে শুরু হয় তিনদিনব্যপী এই ঐতিহ্যবাহী জামাইমেলা। মেলাকে ঘিরে পূর্ব জামালপুরের বাঁশচড়া, নরুন্দি, ইটাইল, ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে ছিল উৎসবের আমেজ।
এসব গ্রামের গেরস্থরা মেলা উপলক্ষে নাইওর নিয়ে আসে মেয়ে-জামাইকে। এই তিনটি দিন মেয়ে-জামাইকে নানা উপহার, সালামী দেওয়া ছাড়াও সব ধরনের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এই উৎসব আনন্দে শরিক হতে দূরে বিয়ে দেওয়া মেয়ে আর জামাইরা অপেক্ষায় থাকে সারা বছর। মেলা উপলক্ষে শ্বশুরবাড়ি এসে সবকিছুকে ছাড়িয়ে জামাইরা মন ভরে উপভোগ করে শ্বশুরবাড়ির আদর-আপ্যায়ন। প্রায় দুইশ বছর আগে এই মেলার প্রচলন করেছিল এই অঞ্চলে বসবাসকারী সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
ভারত বিভক্তির আগ পর্যন্ত বারুনি স্নান উপলক্ষে এখানে বসতো চৈত্রমেলা। মেলাকে ঘিরে হিন্দু-মুসলিম সবাই মেতে উঠত নানা উৎসব অনুষ্ঠানে। মেলাকে ঘিরে গেরস্থের বাড়িতে জামাই আগমনের সূত্র ধরে ভারত বিভক্তির পর এই মেলা পরিচিতি পায় জামাইমেলা হিসেবে। এবার বিশাল এলাকাজুড়ে বসা এই মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্যের সবকিছুর সঙ্গে গেরস্থের প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র, ফার্নিচার ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী গোপালপুরের বিখ্যাত নানা রকমের মিষ্টির পসরা নিয়ে বসে দোকানিরা। বিশেষ করে মেলায় প্রতিটি এক কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টি দৃষ্টি কাড়ছে সবার।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাই তাম আমরা
আগে কি সুন্দর দিন কাটাই তাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।