প্রথম লিখছি
আমাদের নীতিবোধ জাগ্রত হয় কিভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুজলে আমরা দেখতে পাই যে, যে যার নীতির উৎস খুঁজে নিয়েছেন সর্বপ্রথম ধর্ম থেকে। তারপর ক্রমান্নয়ে পরিবার ও সমাজ। কিন্তু এটা সত্যি যে কোন শিশু (-১৮) ভালো/খারাপ বুঝতে কখনো সংবিধান পরে না। এমন কি আমাদের সমাজে প্রতি এক হাজার পরিবারে হয়ত এক ঘরে সংবিধান পাওয়া যাবে। দেশের একটা অংশ(সংখা খুবই কম) ছাড়া বাকি জনগণ এটা পড়ার আগ্রহও প্রকাশ করে না।
তাই বলা যায় দেশের জনগণ বিশেষ অজ্ঞ দেশের আইন এর আওতা ও পরিধি সম্পর্কে। বস্তুত আমরা জানি না দেশের নিয়ম নীতি বা কিভাবে আমরা চলবো। এই জন্য সমাজে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। আর যেটুকু শৃঙ্খল থাকি তা শুধু মাত্র ধর্মের বদৌলতে। প্রকৃতপক্ষে কোনো ধর্ম খারাপ কাজ করার নির্দেশ দেয় না।
তাই সরকার সব ধর্মের সমান অধিকার দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সর্বশ্রেষ্ট বলে একটা কথা আছে। যাই হোক কথা হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্তা যেখানে আমরা প্রায় ১৮ বছর পার করি। না পাই একটা ধর্মের বিশ্লেষণ অথবা সংবিধান এর বিশ্লেষণ (বি. এ. সম্মান-এ আবার পাওয়া যেতে পারে)। আর শিক্ষা ব্যাবস্তায় এর অনুপস্তিতিতে ''মিডিয়া '' হতে পারে আমাদের নৈতিকতার মানদন্ড।
মিডিয়াতে আমরা কতটুকু ভালো শিখতে পাই ? হিন্দী গানের কলি যা সদ্য শেখা গালাগালি মনে হয়। কিছু প্রেম/যৌনতা, নাস্তিকতা যা বিংশ শতাব্ধীর উপহার, কিছু ধংসাত্মক কল্প কাহিনী। তাছাড়া বিনোদনের উৎস কখনো নৈতিকতার উৎস হতে পারে না। সবশেষ কথা হলো যে সমাজে নৈতিকতার উৎস নাই সে সমাজ তো শূন্যেই ভাসবে, তাই নয় কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।