নৈতিকতার প্রথম পাঠ ও আমাদের বিজ্ঞাপন
নৈতিকতার সংজ্ঞা সময়ের সাথে সাথে পরবির্তন হয়- এটা সবারই জানা। কিন্তু, কিছু কিছু মূল জিনিস থাকে যার আবেদন বা প্রয়োজনীয়তা সব কালেই থাকে -এ ব্যাপারেও হয়ত একমত হবেন অনেকেই। সততা, নিষ্ঠা, পরোপকারইত্যাদিগুণগুলোর চর্চা আজকাল কতটুকু হচ্ছে আমাদের দেশে , দেশের দিকে একবার তাকালেই বোঝা যায়। দূর্নীতি আজ সর্বব্যাপি, সর্বগ্রাসী। তবে আশার কথা বর্তমান সরকারের ‘দূর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ লাগামটা একটু টেনে ধরেছে।
দূর্নীতির অন্যতম কারণ নৈতিকতার স্খলন। নৈতিকতার লেশ মাত্র থাকলে আমরা প্রতারণা, ঘুষ গ্রহণ ইত্যাদি করতে পারিনা। নৈতিকতার শিক্ষা ছোটবেলাতেই হতে হয়। আগে ছোট বেলায় পড়ানো হত ‘ সকালে উঠিয়া..... ভাল হয়ে চলি। ’ গুরুজনেরাও দিতেন বিভিন্নগুণের শিক্ষা।
বর্তমানে কোন অভ্যাস গঠনে মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশী। বিশেষ করে বিজ্ঞাপনের প্রভাব মারাত্মক। ইদানিং আমাদের বিজ্ঞাপণে বাচ্চাদের ব্যবহার অনেক বেশী। সেই সব শিশুরা যা যা করে, সমবয়সীরা সেটাই অনুসরণ করতে চেষ্টা করে এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কী দেখছি আমরা?
একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায় দুটো বাচ্চা ছেলে-মেয়ে এক বৃদ্ধ লোককেদাদা ডাকছে; কিন্তু লোকটি যে তাদের দাদা নন তা বোঝা যায় পরক্ষণেই।
এও দেখা যায় যে চকলেটের কৌটা নিয়ে তারা পালাচ্ছে। এটা আমাদের বাচ্চাদের কী শেখায়? ‘প্রতারণা’ বললে কি খুব বেশী বলা হবে?
আরেকটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায় একটি বালক তার বোনের বন্ধুর কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চাইছে এবং সেই চাওয়ার পদ্ধতিটি খুবই বাজে। একজন অতিথির কাছ থেকে এভাবে চাওয়াটা কতটুকু শোভন? আবার বাচ্চাদের মুখ বন্ধ রেখে মায়েদের চাপাবাজি চালিয়ে যাবার কৌশল শেখাচ্ছে আরেকটি বিজ্ঞাপন।
ভবিষ্যত প্রজন্মকে নৈতিকতার পাঠ শেখাতে আমাদের আরেকটু যত্নবান হওয়া উচিত নয় কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।