নিয়মের শৃঙ্খল যখন আমাকে বেঁধে রাখতে চায়
বিধবা রহিমনের প্রানপ্রিয় ছাগলটির মত সারাটাবেলা,
এগিয়ে দেয় মোরগের খুঁদকূড়ো সন্ধ্যায়
উচ্ছিষ্ট, পরিত্যক্ত লোকমা,
যখন প্রচলিত প্রপঞ্চগুলো প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যায়
প্রবঞ্চণার খেরোখাতা মনের অষ্পৃশ্য দেয়ালটিকে মাড়ানোর জিঘাংসায় যখন তৎপর,
আমি প্রতিবাদী হতে শিখি।
ওরা বলে, তুই বধির হয়ে যা
এসব দেখে শুনে তোর কাজ নেই।
সান্তনার নির্লজ্জ ‘বাণী’ ওদের মুখেই শোভা পায়।
প্রগতির নিশাচররা যখন চুরি করে নিয়ে যায়
মৃত পিতার গোরের কাফন
ওরা বলে, তওবা আস্তাগফিরুল্লাহ
নাউযুবিল্লাহ, নাউযুবিল্লাহ!
অতঃপর ঘিরে রাখে বাঁশের দেয়ালে পুরনো কবর-
দ্বিতীয়বার;
স্লোগান দেবার সৎসাহস ওদের নেই,
চোর, ভন্ড, প্রাগৈতিহাসিক সাদা লেবাসের বিপরীত স্রোতে
ভাটা পড়ে যায় ওদের উচ্চারণের জোয়ার!
না জানি ঘুম ভেঙে যায়
গোরস্থানের বিদেহী আত্মার!
জীবিত এই সব লোকের আত্মাই আসলে মৃত,
সবচেয়ে পরাভূত।
প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে ওঠার উৎসাহটুকু
আজ অবধি ওদের জেগে ওঠেনি।
ভোরের সূর্যকে ওদের খুব ভয়,
আমাকে নিয়েও ততটা সন্ধিহান, ততটা ভীত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।