একটি অনিয়মিত লিটল ম্যাগাজিন
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চলতি মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া এবং ভেজাল রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের কারনে আলু সহ রবি শস্য উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর এ উপজেলায় আলু চাষীরা তাদের জমির চার ভাগের এক ভাগ জমিতে আগাম আলু চাষ করে থাকেন। তারা আগাম উৎপাদিত আলু থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের মুনাফা অর্জন করেন।
এ বছরও আলু চাষীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় আগাম আলু চাষের প্রস্তুতি নিলেও বৈরী আবহাওয়া ও ভেজাল রাসায়নিক সারের কারনে তা ভেস্তে যেতে বসেছে। দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতে ঘন কুয়াশার কারনে আলু রোপনের জন্য প্রস্তুতকৃত জমি আলু চাষের জন্য উপযোগী হয়ে পড়ে না।
ফলে জমিতে আলু বীজ লাগানোর পরে তা পচন ধরে। উপজেলার আলু চাষীদের অভিযোগ বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে আলু চাষের প্রস্তুতি গ্রহন করলেও তা থমকে দিয়েছে ভেজাল রাসায়সিক সার ও কীটনাশক। কারন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার অপরিহার্য বলে মনে করেন আলু চাষীরা। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক শ্রেণীর সার ব্যবসায়ী আলু চাষের মৌসুম কে সামনে নেখে ভেজাল ও নিম্নমানের রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকে বাজার ছয়লাব করে দিয়েছে। ফলে আলু চাষীরা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক কিনতে এসে প্রতিনিয়ত প্রতারনার শিকার হচ্ছে।
উপজেলার ফলগাছা গ্রামের আলু চাষী আব্দুর ছাত্তার ও জাফর আলী জানান, ভেজাল রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের কারনে আলু চাষের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। উপজেলার সর্বত্র ভেজাল ও নিম্নমানের সার এবং কীটনাশক বিক্রি বন্ধে উপজেলা কৃষি বিভাগ তদারকী ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আলু চাষীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।