আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবাধ্য সন্তান

(উৎসর্গঃ মা দিবসে সকল মায়েদের প্রতি) কত সাধনার, কত মমতার তোর বুকের মানিক-ধন অনেক বড় হয়ে গেছে ‘মা’, ঐ বটগাছটার মতন। ছোট ছোট হাত, উকিবুকি চোখ যে আশ্রয়ে পেয়েছিল ঠাই সেই হাত আজ লম্বা অনেক, মা’কে লাগে না তাই! খাও বাবা খাও, এইতো একটু, খেয়েছিস বাবা তুই? আমার মা’য়ের সেই উৎকণ্ঠা, হৃদয়ের কোন কোঠরে থুই! ডালপালা আজ বেশ গজিয়েছে আমার নিজেই গড়েছি স্নেহের খামার খেয়েছো জানু? খাওনি কেন? খেয়ে নাও না সোনা! তুমি না খেলে আমিও খাবো না, এটাতো তোমার জানা! জানু খেয়ে নেয়, খেয়ে নেই আমি, সব দায়িত্ব হলো সাড়া ওপাশে আমার দুঃখিনী ‘মা’, তাকে খেতে দেয়নি কেউ তাড়া! এই ধরাধামে পেলাম যা কিছু, আমার হৃদ ধুকপুক করা জান আশেপাশের কেউ দেয়নি আমায়, সব মা’য়ের অবদান। তবুও প্রিয়াই আমার জানু তার তরেই আমি নতজানু হে দয়াময়, আর কত পাপে তুই আমায় করবি মাফ? কতটা কষ্টে থেমে যেতে পারে, মা’য়ের প্রার্থনার দুই হাত? মা’য়ের পরনে মলিন শাড়ি, আমার জানুর পোষাক বেশ বাহারী নির্লজ্জ আমি হাত পেতে নেই, দিতে পারিনি সুখের স্বাদ। জানুর ফোনে ঘন্টা দুয়েক ‘মা’ ফোন দিলে মিনিটখানেক সময়ের হিসেব তখন যে বড় মনে কষে দেয় ছাপ রক্ষা করো হে প্রভু, এক জীবনে আর কত বাড়াবো পাপ! যদি বলি ‘মা’, ভালোবাসি অনেক জানি “বোকা ছেলে” কাঁদবি খানেক তোর বিশ্বাসে ধরেনি ফাটল, আসেনি অনাস্থা প্রস্তাব মোর শত অন্যায় কমাতে পারেনি তোর স্নেহের উত্তাপ! হে রহিম, দয়াময় প্রভু প্রতিটি মা’য়ের আয়ুষ্কাল তুমি, বাড়াও হাজার বর্ষকাল থেমে যাক সময়, অনর্থক প্রনয়, শুধু মা’য়ের জয়গান। তোর পদতলে হোক উৎসর্গিত জীবন, আমার শীরস্ত্রান মাফ করো খোদা, মাফ কর “মা”, আমি তোর অবাধ্য সন্তান।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।