সিরিয়ায় এখন এক সংঘাতপূর্ণ বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। নিজেদের দুর্বলতা ও ব্যর্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের বাইরের শত্রুরা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সিরিয়া যুদ্ধে ইতোমধ্যে লক্ষাধিক লোক নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই নিজ দেশের সরকারি বাহিনীর হাতে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হয়েছে।
দেশের জনগণের বিরুদ্ধে পরিচালিত এই যুদ্ধ বা সংঘাতে ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষ প্রাণরক্ষার্থে প্রতিবেশী দেশসমূহে পালিয়ে গেছে। স্বৈরাচারী ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদ সরকারের শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই মূলত এত প্রাণহানি ও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশটি গৃহযুদ্ধের হুমকিতে রয়েছে দীর্ঘদিন থেকেই। সিরিয়ার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই সুযোগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আজ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ ইসরায়েল এবং তুরস্কের মতো দেশগুলো সিরিয়ার ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার ব্যাপারে তৎপর।
সিরিয়ায় চলমান অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে যেমন দেশটিতে সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটেছে। সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য ইউরোপিয়ান দেশগুলো ততটা আগ্রহী নয়। সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া, চীন, ইরাক ও ইরানের সম্পর্ক বেশ ভালো। সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপগুলো এবং পশ্চিমা নেতারা সিরিয়া সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান। সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ এই সংকটে বিদেশি শক্তি কর্তৃক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা এবং সর্বশেষ পশ্চিমা শক্তি ও জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক ও অন্যান্য অবরোধ আরোপে প্রভাব পড়েছে।
সিরিয়ার সংকট সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থানে ব্যবধান রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।