জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক
যারা গণতন্ত্রের ফাঁকা বুলি আওড়ায়, গণতন্ত্রের আদর্শ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন যুক্তরাজ্যের দিকে আঙ্গুল উঁচু করে দেখায় তারা এখন দেখুক স্বৈরাচার উৎখাতে তথাকথিত গণতন্ত্রপ্রেমীদের কতটা স্বেচ্ছাচারী এবং স্বৈরাচারী মনোবৃত্তি। স্বৈরাচার আসাদকে উৎখাত করতে যেসব শক্তি উঠে পড়ে লেগেছে, তারা সিরিয়াতে তাদের একটি তাঁবেদার সরকার বসাতে চায়। সিরিয়া ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতির সাথে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক রাজনীতির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে পটু সউদী আরবের নিজস্ব স্বার্থও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত অবস্থান ও তেল-সম্পদের উপর দখল বিস্তারের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে তার আধিপত্য বজায় রাখতে চায়। আরো কারণ হলো, তার মিত্র দেশ ইসরাইলের নিরাপত্তা বিধান করা।
সউদী ওহাবী সরকার প্রকৃতপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলেরই স্বার্থরক্ষা করবে। এই স্বার্থরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের জাতীয় স্বার্থ থাকলেও সউদী আরবের ক্ষেত্রে রয়েছে গুটিকতক প্রিন্সের ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষা।
সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সউদী আরব। বাশার আল আসাদের সরকারকে উৎখাতের জন্য সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ ও অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা ছাড়াও সম্প্রতি সে আরব লীগের সম্মেলনে আরব দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া মিশনে সমর্থন দিতে অনুরোধ জানায়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত ৩ আগস্ট প্রতিনিধি পরিষদের এক শুনানিতে বলে, আরব দেশগুলো সিরিয়া যুদ্ধের সমস্ত ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিভিন্নভাবে সঙ্কটকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা কাজে না লাগায় শেষ আশ্রয় হিসেবে সউদী আরব যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে চাচ্ছে। কাতার এ পর্যন্ত তিন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে সিরিয়া সঙ্কটকে কেন্দ্র করে। আগামী কিস্তিতে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ সিরিয়া সঙ্কটের নেপথ্য কাহিনী নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।