জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক
প্রথম পর্বের পর.............
কাতার পারস্য উপসাগর থেকে সিরিয়া দিয়ে তুরস্কে প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে যেতে চায়, যা বাশার আল আসাদ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার মধ্য দিয়ে এই পাইপলাইন যাওয়ার পক্ষে। রাশিয়ার উপর থেকে ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভরতা কমানো তাদের মূল লক্ষ্য।
আরেক পশ্চিমা ও ইসরাইলের মিত্র তুরস্কও এই প্রকল্প থেকে লাভবান হবে। সউদী আরব, কাতার চায় সিরিয়াতে একটা ‘তাবেদার সরকার বসাতে, যাতে তাদের অঞ্চলের জ্বালানি শক্তির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
কিন্তু আসাদ চায় রুশ সমর্থনে এই পাইপলাইন আটকে রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে সুবিধা দিতে।
সাংবাদিক ডেইল গাভলাস দুই যুগ ধরে এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে। গাভলাস যুক্তরাষ্ট্রের ডেইলি টেলিগ্রাফকে জানায়, সউদী যুবরাজ বান্দার বিন সুলতান সে পুতিনকে এই বলে হুমকি দেয় যে, যদি রাশিয়ান সরকার সিরিয়া ইস্যুতে তার অবস্থান না বদলায়, তাহলে আগামী বছর রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে চেচেন বিদ্রোহীদের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা চালাবে। এছাড়া পুতিনকে যুবরাজ বান্দার বিন সুলতান প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আসাদের পতন ঘটলে সিরিয়ায় রাশিয়ার নৌঘাঁটি তারা রক্ষা করবে। এছাড়া ১৫০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার প্রস্তাবও সউদী আরব পুতিনকে দিয়েছে।
মূল কথা হচ্ছে- আসলে সিরিয়া সঙ্কট হলো প্রাকৃতিক সম্পদ, ধর্ম ও অর্থ সম্পর্কিত একটি কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট।
সিরিয়াতে সামরিক আঘাত করার অজুহাত সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সউদী আরবের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী কিস্তিতে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রথম পর্ব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।