সিরিয়া প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পার্লামেন্টের শরণাপন্ন হওয়ার পর ফ্রান্সেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের ওপর।
‘দ্য গার্ডিয়ান’ বলছে, ভিন্ন দেশ আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের সরকারকে বা রাষ্ট্রপ্রধানকে পার্লামেন্টের অনুমতি নিতে হয় না। তবে ফরাসি সংবিধান অনুযায়ী, ভিন দেশে চার মাসের বেশি সময় ধরে আক্রমণ চালাতে হলে পার্লামেন্টের অনুমতির প্রয়োজন হবে। সম্প্রতি মালিতে ফরাসি বাহিনীর হস্তক্ষেপের পর চার মাস অতিবাহিত হয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
গত ২১ আগস্ট সিরিয়ায় সাধারণ জনগণের ওপর স্নায়ুনাশী রাসায়নিক ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কয়েক শ মানুষ নিহত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ওই হামলা ও মৃত্যুর জন্য সিরীয় সরকার দায়ী এবং এ কারণে সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উত্খাতের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের উচিত সামরিক অভিযান চালানো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদও বলছেন, সামরিক হামলার বিকল্প নেই। কিন্তু সিরিয়ায় যেকোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বের জনমত দানা বেঁধে উঠেছে।
ফ্রান্সের বিরোধী দল ও মধ্যডানপন্থী গণ-আন্দোলন মোর্চা বা ইউনিও পুয়ো আ মুভমা পপুলার (ইউএমপি) শীর্ষ নেতা ফ্রাঁসোয়া ফিলো আজ রোববার বলেন, এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়া উচিত। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ‘দা ডিমোস’ সংবাদপত্রকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়া ফ্রান্সের যুদ্ধে যাওয়া উচিত হবে না।
’
আসছে বুধবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টে সিরিয়া বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ভোটাভুটি হওয়ার কোনো ঘোষণা নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।