যে কোন লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়তে পছন্দ করি।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পৃথিবীতে কমবেশী ষাট লক্ষ লোক নিহত হয়েছিল বলে জানা যায়। এর সিংহ ভাগ লোকের মৃত্যু হয়েছিল ইউরোপে। এর ফলে একদিকে যেমন শ্রম ষংকট দেখা দিয়েছিল, অপরদিকে তেমনি নারী সংখ্যাধিক্য সৃষ্টি হয়েছিল। জার্মানিসহ গোটা তিনেক দেশ বলতে গেলে নারীস্থানে পরিণত হয়েছিল।
যার ফলে অন্য দেশ থেকে অভিবাসী হিসেবে বহু লোককে ইউরোপে আসতে উৎসাহিত করা হয় এবং নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। সেই থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত জনসংখ্যা ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি বছর কয়েক লক্ষ্ লোককে ইউরোপে নাগরিকত্ব সমেত অতবা নাগরিকত্ব ছাড়া কাজের সুযোগ (ওয়ার্ক পারমিট) প্রদান করা হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অভিবাসী সম্পর্কে ইউরোপের দেশ গুলোর অবস্থান পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপের জনসংখ্যা ঘাটতি অব্যাহত থাকার আরো কিছু কারণ আছে। মূখ্য কারনটি হল ইউরোপীয় নারীদের সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা।
এই অক্ষমতার পিছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমতঃ নারীদের মদ্যপান, দ্বিতীয়ত, ধুমপান এবং তৃতীয়তঃ কর্মজীবি হিসেবে চাকুরী। যে কারণে অনেক নারী সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। আরো দুটি কারণের কথা আলোচিত হয়ে থাকে। সে দুটি কারণ কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে।
কারণ দুটি হল, বিলম্বে অধিক বয়সে বিবাহ এবং গর্ভপাতের প্রবণতা। বলা হয়ে থাকে যে, বিলম্বে অধিক বয়সে বিবাহ করলে নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতা প্রকৃতিগতভাবে অক্ষম হয়ে যায়। অপর দিকে এক বা একাধিক বার গর্ভপাত করানোর ফলে অনেক ক্ষেত্রে নারী সন্তান ধারণ ক্ষমতা হারায়।
যেসব দেশে জনসংখ্যা ঘাটতি প্রকট এবং শ্রম চাহিদা পূরণের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে বিদেশ থেকে অভিবাসী আনতে হয়, সেই সব দেশে পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা কতটা ছিল? ইউরোপীয়রা জম্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী উদ্ভাবন এবং উৎপাদনে ছয় দশকের শুরুতেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল কেন? এক্ষেত্রেও তিনটি কারণ আলোচিত হয়ে থাকে। প্রথমতঃ ইউরোপে সামাজিক বাস্তবতায় নারী পুরুষের সম্পর্ক একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
ফলে নারীদের গর্ভধারণও এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক।
বিস্তারিতের জন্য নীচের লিংকটি দেখুন।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।