আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হৃদয় ভেঙে গেছে জ্বলছে তুষচাপা আগুন

সৌভাগ্যই বলতে হবে। গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের মতো ৬২টি অপরাধ সংঘটন ও সহযোগিতার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরও বেঁচে গেছেন মৃত্যুদণ্ড থেকে। জেল হয়েছে ৯০ বছরের। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক গোলাম আযমের কথাই বলা হচ্ছে এখানে। মৃত্যুদণ্ড না হয়ে ৯০ বছর জেল হওয়ায় অনেকটাই খুশি গোলাম আযম ও তার দল জামায়াতে ইসলামী। কারণ ৯২ বছর বয়সী উচ্চমার্গীয় এই ইসলামী নেতা বাঁচবেনই বা কত দিন। অন্যদিকে, মনের কষ্ট মনেই পুষে রাখতে হলো একাত্তরে সম্ভ্রমহারা মা-বোন আর স্বজনহারাদের। হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গেছে তাদের। দীর্ঘর্ ৪১ বছরের তুষচাপা আগুন নিভে যাওয়ার কথা থাকলেও তা আরও জ্বলে উঠেছে দাউ দাউ করে। তবে কিছুটা স্বস্তি এসেছে এই ভেবে যে অপরাধীর সাজা তো অন্তত নিশ্চিত হয়েছে! যদিও গোলাম আযমের শাস্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে আপিল করেছেন রাষ্ট্র পক্ষ ও তার পক্ষের আইনজীবীরা।

গোলাম আযমের বিচার এবং এর রায় এটাই প্রমাণ করেছে যে অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, আইনের হাত থেকে পালানোর সুযোগ তার নেই। আরও একটি শিক্ষণীয় বিষয় এ রায় থেকে পাওয়া যায়, তা হচ্ছে- মন্দ লোক হয়তো দশকের পর দশক তার কুকীর্তি চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু একটা সময় আসে, যখন আর পালানোর সুযোগ থাকে না তার। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গোলাম আযমের বিচার করেন। আদালত রায়ে তার পর্যবেক্ষণে বলেন, গোলাম আযম একাত্তরে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন, এর শাস্তিস্বরূপ নিশ্চিতভাবেই তার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যে শাস্তি তাকে দেওয়া হলো, তা শুধুই তার বয়স বিবেচনায়। গোলাম আযমের দেওয়া আদেশ-নির্দেশ একজন সেনাপ্রধানের চেয়েও ছিল শক্তিশালী। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে আনা পৃথক ৬২টি অপরাধের সব কটিই প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালে। তিনি ছিলেন উঁচু মাপের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক নেতা ও পাকিস্তান-সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান, যার নির্দেশে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির ওপর চালানো হয় গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের মতো বর্বর নির্যাতন। ৪ এপ্রিল, ১৯৭৩। ঠিক মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় গোলাম আযম সাক্ষাৎ করেন গণহত্যার স্থপতি জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে। সেখানে পাকিস্তানের 'আঞ্চলিক অখণ্ডতা' রক্ষায় কাজ করতে জামায়াতে ইসলামীকে পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। গোলাম আযম ওই সময় মুক্তিযুদ্ধকে অভিহিত করেন 'ভারতীয় হস্তক্ষেপ ও দেশ দখলের পাঁয়তারা' বলে। 'ভারতের অনিষ্টকর অভিপ্রায়' ব্যর্থ করতে 'স্বদেশপ্রেমী পাকিস্তানি সেনাদের' সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তিনি। এরই অংশ হিসেবে তিনি গড়ে তোলেন 'শান্তি কমিটি', যারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে সহযোগিতা দিয়ে আসছিল হানাদার বাহিনীকে। অন্যদিকে গোলাম আযম মুক্তিযোদ্ধাদের আখ্যা দিয়েছিলেন 'দুষ্কৃতকারী' বলে।

২৫ মার্চের গণহত্যার পর পরই পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণ হারায় পূর্ব পাকিস্তানের। নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে গোলাম আযম শান্তি কমিটিকে সেনাবাহিনীর মতোই ব্যবহার করেন সিভিল প্রশাসনের ওপর। এই শান্তি কমিটি গড়া হয় গোলাম আযমের নেতৃত্বাধীন জামায়াতের সদস্যদের দিয়েই। তারা হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা, সিভিল প্রশাসন তথা সাধারণ মানুষের খোঁজ দেওয়ার কাজেই ব্যবহৃত হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা, তাদের স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং হিন্দুদের জায়গাজমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করে তা পুনর্বণ্টনের দায়িত্ব পালন করতে থাকে শান্তি কমিটির সদস্যরা। ১ কোটি বাংলাদেশি ওই সময় তাদের ভয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ভারতে। আর এই সুযোগে তারা লুট করে নেয় পালিয়ে যাওয়াদের সম্পদ। শান্তি কমিটির শাখা আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অমানবিক নির্যাতন, লুটপাট, হত্যাযজ্ঞ চালায় সাধারণ মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের ওপর। নারীদের, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী, মা কিংবা বোনদের ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত হয় তারা। আর্চার ব্লাড, পরে যিনি মার্কিন কনসাল জেনারেল হয়েছিলেন, ওই সময়কার ঢাকাকে অভিহিত করেছিলেন 'একটি বোবা ও আতঙ্কের নগরী' বলে। একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে শুরু হয় গণহত্যা। আক্রমণের শিকার হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজপথে লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো ডেথ স্কোয়াড সেই এক রাতেই হত্যা করে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর এক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যু ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। আর ঢাকার অর্ধেক মানুষ পালিয়ে যায় অন্যত্র। ৩১ মার্চ ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেট জানায়, ঢাবির রোকেয়া হলে বহু নারীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে গুলি করে, পদদলিত করে হত্যা করা হয় ধর্ষণের পর, যাদের শরীর ছিল নগ্ন। এর কয়েক দিন পর ১৩ এপ্রিল ঢাকায় ২৫ মার্চের গণহত্যার সমর্থনে মিছিল করে শান্তি কমিটি, যার নেতৃত্ব দেন গোলাম আযম। তিনি ও তার অনুসারীরা মিছিলে স্লোগান তোলেন_ 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ, ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক'। ওই সময়ের ঘটনা প্রসঙ্গে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর কমান্ডার অবশ্য বলেন, জামায়াত বা রাজাকাররা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা খুব বেশি একটা পালন করেনি। লে. জে. এ এ কে নিয়াজি, যিনি একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন, তার নিজের লেখা 'বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান' বইয়ে বর্ণনা দেন 'আর্মি অব রাজাকার'-এর গঠন, তাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের জোগান ও অন্যান্য সহযোগিতা সম্পর্কে। বইয়ে তিনি লেখেন, রাজাকারদের প্রশিক্ষণ দিতে গঠন করা হয় পৃথক একটি সেনা পরিদফতর। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধে তাদের সরবরাহ করা হয় মেশিনগান, স্টেনগান ও কলাকৌশল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আযমের গর্হিত কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামে। পত্রিকাটিতে প্রকাশিত গোলাম আযমের উসকানিমূলক বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য বহন করে যে তিনি ছিলেন নৃশংসতা ও যুদ্ধাপরাধের পরিকল্পনাকারী, যা একাত্তরে নতুন জন্ম নেওয়া একটি দেশকে ক্রমে গ্রাস করতে যাচ্ছিল।

দৈনিক সংগ্রামে গোলাম আযমের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, 'বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান হচ্ছে ইসলামের গৃহস্বরূপ। তাই পাকিস্তানের খণ্ডিত হওয়ার প্রশ্নে জামায়াতের কর্মীরা বসে থাকতে পারে না।' তিনি মুক্তিপ্রাণ মানুষকে অভিহিত করেন 'ইসলাম ও পাকিস্তানের শত্রু, বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী' বলে। ৪ আগস্ট খুলনায় দলের এক সভায় গোলাম আযম তার অনুসারীদের উদ্দেশ করে বলেন, 'বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধ্বংস এবং কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক দেশ গড়তে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে জামায়াতের পতাকাতলে এক হতে হবে।' দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার 'হিন্দু অনুসারীরা' পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে বিভ্রান্ত ও প্ররোচিত করছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির দ্বারা।" গোলাম আযম এ ধরনের বক্তব্য ঠিক তখনই দিয়ে আসছিলেন, যখন মানবতার ইতিহাসে হানাদার বাহিনী চালাচ্ছিল নিষ্ঠুরতম নৃশংসতা। গোলাম আযম ২৫ মার্চের রাতের গণহত্যায় সরাসরি নিজেকে করেছিলেন সম্পৃক্ত। ৩ সেপ্টেম্বর দলীয় এক সভায় তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ও বিদ্রোহ দমনে আমাদের প্রয়োজন নিয়মতান্ত্রিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।' পাকিস্তানকে 'ইসলামের ক্ষেত্র' উল্লেখ করে একাত্তরের আগস্টে গোলাম আযম বলেন, 'যদি মুসলমানরা পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে এটা নিশ্চিত যে ইসলাম ও দেশ হুমকিতে পড়বে।' ঠিক এর পরপর নিশ্চিত পরাজয় জেনে হানাদার বাহিনী ও গোলাম আযম এক বিধ্বংসী পরিকল্পনা অাঁটে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় বুদ্ধিজীবী নিধনের। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা যুদ্ধের শেষ দিনগুলোয় অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে শুরু করে বুদ্ধিজীবী নিধন। ১৪ ডিসেম্বর তারা বাঙালি শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, চিত্রশিল্পী, লেখক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের ওপর চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের কেউই আর ফিরে আসেনি। দিনটিকে এখনো বাংলাদেশে 'শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস' হিসেবে পালন করা হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ মুহূর্তে গোলাম আযম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যাতে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয় এর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্দসমর্পণের পরও বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাতে থাকেন গোলাম আযম। পাকিস্তানে থাকাবস্থায় তিনি গঠন করেন 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি-ইস্ট পাকিস্তান রেট্রাইভ্যাল কমিটি'। পূর্ব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় তিনি শুরু করেন আন্তর্জাতিক পদচারণ। ১৯৭২ সালে লন্ডনে গোলাম আযম শুরু করেন সংগঠনটির কর্মকাণ্ড পরিচালনা। এর মাধ্যমে তিনি ষড়যন্ত্র অাঁটতে থাকেন কীভাবে বাংলাদেশকে আবার পূর্ব পাকিস্তানে রূপ দেওয়া যায়। ১৯৭৩ সালে ম্যানচেস্টারে ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস ইসলামিক সোসাইটির বার্ষিক সম্মেলন ও লেইচেস্টারে ইউকে ইসলামিক কমিশনের সভায় বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দেন তিনি। ১৯৭৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটির সভা ডাকেন মাহমুদ আলীদের মতো পাকিস্তানিদের নিয়ে। যেহেতু তারা এতে ব্যর্থ হন তাই আসে নতুন সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানিদের নিয়ে গড়ে তোলা হবে কনফেডারেশন। ওই সভায় গোলাম আযম বাংলাদেশে কনফেডারেশনের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ১৯৭৭ সালে ইংল্যান্ডে হলি ট্রিনিটি চার্চ কলেজে এক সভায় তুলে ধরেন এর গুরুত্ব। গোলাম আযম ১৯৭২ সালে রিয়াদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক যুব সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং পুনরায় পূর্ব পাকিস্তান গঠনে কামনা করেন মুসলিম বিশ্বের সহযোগিতা। ১৯৭৩ থেকে '৭৬ পর্যন্ত অন্তত সাতবার তিনি সৌদি বাদশাহর সঙ্গে দেখা করেন এবং অনুরোধ করেন, সৌদি আরব যেন কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়। মক্কায় ১৯৭৪ সালে রাবেতায়ে আলমে আল ইসলামী আয়োজিত অনুষ্ঠানে এবং '৭৭ সালে বাদশাহ আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে পুনরায় বাংলাদেশবিরোধী ভাষণ দেন তিনি। লিবিয়ার বেনগাজি শহরে ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে বাংলাদেশের স্বীকৃতির বিরোধিতা করে জোর তদবির চালান গোলাম আযম। একই বছর দেশটির রাজধানী ত্রিপোলিতে ইসলামী যুব সম্মেলনে তার ভাষণে ছিল পরিষ্কারভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা। '৭৩ সালে মিশিগানে অনুষ্ঠিত মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা অ্যান্ড কানাডার বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত প্রত্যেকের প্রতি পাকিস্তান-বাংলাদেশ কম্বাইনিং মুভমেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান গোলাম আযম। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি তুলে ধরেন বাংলাদেশবিরোধী বক্তৃতা। ১৯৭৮ সালে তিন মাসের বাংলাদেশি ভিসায় পাকিস্তানি পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসেন গোলাম আযম। উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান-বাংলাদেশ কনফেডারেশনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। দেশবিরোধী এমন অবস্থান ও ভূমিকার কথা অন্য কারও ক্ষেত্রে ঘটেনি। আর তাই বাংলার মানুষের দুঃখবোধ থাকাটা স্বাভাবিক যে কেন এমন একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড হলো না। এ দেশের মানুষ এখনো প্রত্যাশায় ইতিহাসের বর্বরতম এই হন্তারকের মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগে থেকে আসবে। কার্যকর হবে সেই রায়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.